কক্সবাজার পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত
টানা ৫ মাস ধরে বেতন পান না কক্সবাজার পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী। তারা আশা করেছিলেন এবার ঈদুল ফিতরে বকেয়া বেতনসহ বোনাস পাবেন। কিন্তু ভাগ্য মন্দ। কী এক অজানা কারণে তারা বেতন-বোনাস থেকে বঞ্চিত হলেন। ফলে পরিবার নিয়ে তাদের এবারের ঈদ আনন্দ মাটি হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এরই মধ্যে কক্সবাজারে বন্ধ হয়ে গেছে ব্যাংক লেনদেন।
কোনো কোনো শিক্ষকের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে অবহেলার কারণে তারা বেতন-বোনাস থেকে বঞ্চিত হলেন।
তবে প্রধান শিক্ষক আমিমুল এহসান মানিক বলেন, সবার মতো তিনিও বেতন-বোনাস পাননি। চেক ইস্যুর কথা শুনেছেন। তবে কী কারণে বেতন-বোনাস হলো না, সেটি তিনি জানেন না। তার দায়িত্ব পালনের অবহেলার অভিযোগ অসত্য এবং বিভ্রান্তকর বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিদ্যালয়-সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যমতে, কক্সবাজার পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন ৩৭ জন আর কর্মচারী ৮ জন। জানুয়ারি মাসের ভর্তি প্রক্রিয়ার বিবরণ মতে, প্রতিষ্ঠানটিতে ৮৮৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা সর্বশেষ বেতন পেয়েছেন ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। ডিসেম্বর থেকে শুরু করে চলতি এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৫ মাস বেতন বকেয়া রয়েছে।
এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ঈদের আগেই বেতন-বোনাস পরিশোধের নির্দেশনা থাকলেও কক্সবাজার পৌরসভা পরিচালিত একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা তা পেলেন না। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অবেহলার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিষ্ঠানটির ইংরেজি বিষয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তাহামিদুল মুনতাসির বলেন, এখনও ৫ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আশা করেছিলেন বোনাসটা অন্তত পাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা-ও পেলেন না।
তাহামিদুল মুনতাসির বলেন, প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের অদক্ষতার কারণে এটা হয়েছে। পৌরসভা থেকে বেতন ছাড় দিয়ে ব্যাংক-চেক ইস্যু হলেও কোনোভাবেই এই টাকা পাওয়া গেল না। ব্যাংক বন্ধ আর পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
আইসিটি বিভাগের শিক্ষক সুজন দাশ বলেন, বেতন-বোনাস নিয়ে প্রধান শিক্ষকের উদাসীনতার কারণে এমনটা হলো। কারণ পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে তারা বেতন ছাড় দিয়েছেন।
শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিস জানিয়েছেন, শুধু শিক্ষকতা করে জীবন পরিচালনা করেন তিনি। বিকল্প কোনো আয়ের উৎস নেই। এখন ঈদ কীভাবে করবেন তিনি নিজেও জানেন না।
প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ২০ জুলাই নতুন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের নিয়োগের পর থেকে রহস্যজনক কারণে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন নিয়ে নাটকীয়তা চলছে।
কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী মো. সরওয়ার সালাম জানান, বেতন ও বোনাস দেওয়ার জন্য ব্যাংকের চেক ইস্যু করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু না পাওয়ার কারণ কী, তা জেনে বলতে হবে। তিনি খোঁজখবর নিচ্ছেন।
তবে কত মাসের বেতন ইস্যু হয়েছে, তা বলতে পারেননি পৌরসভার প্রধান নির্বাহী মো. সরওয়ার সালাম।
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.