বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩ ১৮:২৪ পিএম
আপডেট : ২৭ মে ২০২৩ ১৯:৩১ পিএম
দীপ্ত বিশ্বাস। প্রবা ফটো
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের বাণিজ্য বিভাগের (সি ইউনিট) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা দিয়েছেন দীপ্ত বিশ্বাস নামে এক শিক্ষার্থী। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও মেধাবী এই শিক্ষার্থী জয় করেছেন অনেক প্রতিবন্ধকতা। এবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে কাজ করতে চান দেশের জন্য।
ভর্তি পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে শ্রুতি লেখকের সাহায্যে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা দেন দীপ্ত। পরীক্ষা শেষে প্রতিদিনের বাংলাদেশের সঙ্গে কথা হয় দীপ্ত বিশ্বাস ও তার মা দিপীকা সরকারের।
দীপ্ত বিশ্বাসের মা জানান, চার বছর বয়সে দীপ্ত বিশ্বাসের ব্রেটিলাতে স্পট ধরা পড়ে। তখন থেকেই দূরের লেখা স্পষ্ট দেখতে পারে না দীপ্ত। ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা দেখতেও সমস্যা হতো। চিকিৎসা করালেও কোনো লাভ হয়নি বরং দিনেদিনে দৃষ্টি শক্তি কমেছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে তিনি জানান, এটি দীপ্ত বিশ্বাসের জিনগত সমস্যা। কোনো প্রকার চিকিৎসায় লাভ হবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
দীপ্ত বিশ্বাসের বাড়ি পুরান ঢাকার নারিন্দায়। কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাণিজ্য বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় শ্রুতি লেখকের সাহায্যে পরীক্ষা দিয়েছে দীপ্ত। শ্রুতি লেখকের নাম মো. সাব্বির ইসলাম।
ছোটবেলা থেকেই শ্রুতি লেখকের সাহায্য নিয়ে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে এসেছেন বলে জানান দীপ্ত বিশ্বাস। ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশের সেবায় কাজ করতে চান তিনি।
প্রতিদিনের বাংলাদেশকে দীপ্ত বলেন, ‘পরীক্ষা ভালো হয়েছে। কিছু প্রশ্ন শর্ট সিলেবাসের বাইরে থেকে এসেছে। শ্রুতি লেখক থাকায় পরীক্ষা দিতে কোনো সমস্যা হয়নি। আশাকরি ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাব। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে দেশের জন্য কাজ করতে চাই।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের উপপ্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ব্যবস্থায় দীপ্ত বিশ্বাসের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অসুবিধা যাতে না হয় সেজন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।