বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৫৫ পিএম
মোহাম্মদ ইকবাল মনোয়ার। প্রবা ফটো
সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দৈনিক যায়যায়দিনের সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।
২ আগস্ট দুর্নীতি বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন করার পর বক্তব্যকে বিকৃত করার অভিযোগ এনে তাকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইকবাল মনোয়ারের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ ও রুল জারি করেন।
ইকবালের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘এখন থেকে শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ার প্রতিষ্ঠানের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সবকিছুতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তার আর বাধা নেই।’
তিনি বলেন, ‘কোনো সংবাদে যদি উপাচার্য সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে তার প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে। তা না করে ইকবালকে বহিষ্কার করে উপাচার্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ইকবাল সংবাদকর্মী হিসেবে শুধু উপাচার্যের হুবহু বক্তব্য তুলে ধরেছেন, যার অডিও রেকর্ড তার কাছে রয়েছে। সংবাদ প্রকাশের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯(২)(খ) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন করেছে।’
এর আগে ৯ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আটজনকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়। ইকবাল মনোয়ারের পক্ষে এ আইনি নোটিস পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান। তিন দিনের সময় দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যানকে ডাকযোগে ও ই-মেইলে এ আইনি নোটিস পাঠানো হয়।