দিনাজপুর ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৪৩ পিএম
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৩৫ পিএম
পুকুর থেকে কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রবা ফটো
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) পুকুর থেকে কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি। এ সময় আরেক ছাত্রীকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য অনুষদের সামনের পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই কলেজছাত্রীর নাম সাদিয়া আক্তার প্রীতি। তিনি দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী গাউসিয়া মহল্লার মো. সাদেক আলীর মেয়ে। জীবিত উদ্ধার হওয়া লিপা ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মোস্তফার মেয়ে। তারা দুজনে দিনাজপুর সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ’বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে দুজন শিক্ষার্থী পড়ে গেছে, এমন খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আমরা যাই। গিয়ে দেখি দুজন শ্রমিক তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তাদের উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসক শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর ছাত্রী নিপাকে আইসিউইতে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা এখনও জানতে পারিনি কীভাবে তারা পুকুরের পানিতে পড়ে গেল। পুলিশ তদন্ত করে বের করবে। আমরা সহযোগিতা করব। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ’আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত করি। তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ঘটনা জানতে পারিনি। তবে সরকারি কলেজের ছাত্রী কী জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়েছিল এবং সেখানে কী ঘটেছিল, সেই বিষয়টি মাথায় নিয়ে তদন্ত করছি। এখনোই কিছু বলার মতো তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা তদন্ত শেষে সবকিছু জানাতে সক্ষম হব।’
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ হোসেন জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’