বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৯ পিএম
সংবিধানের চারটি মূলনীতির আলোকে 'ধ্রুব-৭২' নামে ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রবা ফটো
অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান। সে কারণেই
একে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান হিসেবে মনে করা হয়। দেশ স্বাধীনের মাত্র এক
বছর পরেই ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরেক্ষতা ও
বাঙালি জাতীয়তাবাদ এই চারটিকে মূলনীতি করে বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর করা
হয়।
সেই চারটি মূলনীতির আলোকে 'ধ্রুব-৭২' নামে ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ প্লাজার চারটি পিলারকে দেওয়া হয়েছে ভাস্কর্যের রূপ। পুরো জায়গাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সংবিধান আঙিনা’। ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকালে এর উদ্বোধন করেন ভাস্কর্য-স্থাপনার রূপকার বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদযাপন
ভাস্কর্যে বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা চারটি সুউচ্চ স্তম্ভে উৎকীর্ণ করা আছে। ‘জাতীয়তাবাদ’ স্তম্ভে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন পতাকার আদল, ‘সমাজতন্ত্র’ স্তম্ভে চারটি গ্রন্থ আছে যেখানে অধ্যয়ন ও জ্ঞানের গভীরতা বোঝানো হচ্ছে, ‘গণতন্ত্র’ স্তম্ভে কলমের নিব দিয়ে মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতা বোঝানো হচ্ছে আর ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ স্তম্ভে সমাবর্তন ক্যাপ দিয়ে সংস্কারমুক্তিকে বোঝানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুম হাওলাদার বলেন, ‘নবনির্মিত ধ্রুব-৭২ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতার কথা ভাবায়। বাহাত্তরের সংবিধানের চারটি মূলনীতিকে ধারণ করেছে এই স্থাপনা। এটি আমাদের শিক্ষার্থীদের মনে সংবিধান সম্পর্কে সচেতনতা ও স্বাধীনতার গুরুত্ব অনুধাবনে সহায়ক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি মাননীয় উপাচার্য স্যারকে ধন্যবাদ জানাই যিনি এই কাজটির পরিকল্পনা এবং রূপদান করেছন।’
উপাচার্য সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘বাংলাদেশের
প্রথম সংবিধান বাহাত্তরের সংবিধান নিয়ে দেশে হয়তো এটিই প্রথম স্থাপনা। আমি গত দুই বছর
ধরে এমন একটি কাজের ব্যাপারে ভেবে অবশেষে সবার সহযোগিতায় স্থাপনাটি রূপদান করতে
পারলাম। ধ্রুব ৭২-এ সংবিধানের চার মূলনীতি তুলে ধরা হয়েছে, যাতে ছাত্র-শিক্ষক ও
সাধারণ মানুষের সম্মুখে তা উজ্জ্বল হয়ে থাকে।’
এদিকে সংবিধান কার্যকর হওয়ার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছে নজরুল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন
উপাচার্য। আলোচনায় অংশ নেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান
অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.
মো. রিয়াদ হাসান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, লোকপ্রশাসন ও সরকার
পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের প্রধান আজিজুর রহমান, আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান মো.
আহসান কবীর।