বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:০৩ পিএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দের পদত্যাগ দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক শিক্ষক এই কর্মসূচি পালন করেন।
জীববিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ১৯৯৪ সালের সিন্ডিকেট প্রদত্ত ক্ষমতায় উপাচার্য যদি শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে দেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবদ্ধ পর্ষদগুলোর থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। আমার মনে এটা সামরিক ফরমানের চাইতে কম নয়। এটা বিশেষ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত আছে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, আমরা আইন ও বাংলা বিভাগের নিয়োগ বন্ধ করার কথা বলেছিলাম। এটা শুধু একটা বিষয় নয়। টিপ অব দ্য আইচ বার্গ। এই যে বিশাল দুর্নীতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করার যে ফিরিস্তি তার সামান্যতম হচ্ছে আইন বিভাগের নিয়োগ। রাতের আঁধারে নিশাচর প্রাণীর মতো পালিয়ে গিয়ে আপনি আইন বিভাগের নিয়োগ বোর্ড করেছেন। এটা লজ্জাজনক, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ন্যাক্কারজনক এক ঘটনা। আপনার নৈতিক সাহস নেই। আপনি নৈতিকতা হারিয়েছেন। উপ-উপাচার্যও একই রকম প্রক্রিয়ার অংশ। যতক্ষণ উপাচার্য ও উপ উপাচার্য বিদায় না হচ্ছেন, আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
এদিন বিকাল ৩টায় সাংবাদিকদের সামনে উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার সার্বিক বিষয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতদিন অবধি আমার উপর আস্থা রাখবেন ততদিন অবধি কোনো অন্যায় এবং অযৌক্তিক দাবির কাছে মাথা নত করব না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার কন্যা এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। আমাদের উপ-উপাচার্যও একজন মুক্তিযোদ্ধা। সুতরাং কোনো অন্যায় ও অন্যায্য দাবির কাছে আমরা হার মানব না।