প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:১০ পিএম
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি : সংগৃহীত
সরকারি কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করে অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবে জেলার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুরুতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট (অনার্স) কোর্স চালু না করে সরকারি কলেজের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের দায়িত্ব নেবে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও পরামর্শ বাস্তবায়নে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অনুরোধ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন হলে সরকার তা করবে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন সমস্ত কলেজ বা শতবর্ষী কলেজগুলোকে রেসপেক্টিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত করে অ্যাকাডেমিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে।’ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সরকারের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে আগ্রহী বলে জানান।
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরুতেই আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কোর্স চালু না করার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলো হচ্ছে, সেগুলো কেন শুরুতেই আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কোর্সগুলো করছে? সেই জেলায় ইতোমধ্যে যেসব সরকারি কলেজ আছে তাদের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কোর্সগুলো মনিটরিং করুক। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কোর্সগুলো মনিটরিং করবে এবং পোস্টগ্র্যাজুয়েট কোর্স বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা করে করবে। শুরুটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তো একটা চ্যালেঞ্জিং টাইম।’
তিনি বলেন, ‘ওপেন ইউনিভার্সিটি সারা দেশের নন-ফরমাল এডুকেশনের অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজটা করছে, তাহলে কেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কলেজের অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজ করতে পারবে না। একসময় তো করত। পূর্বে যদি করার ক্যাপাসিটি থেকে থাকে তাহলে এখন তো সিস্টেম আরও বাড়ার কথা।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত কলেজকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেখানেও হয়তো চ্যালেঞ্জ আছে। সেই চ্যালেঞ্জটা তো আমরা অতিক্রম করছি। শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করেছে। কিন্তু আমরা নড়িনি। সাত কলেজের মান ইম্প্রুভ হয়েছে।’