বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৭ পিএম
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৮ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রবা ফটো
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন ছাত্রকে র্যাগিং ও মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুরের ঘটনায় চূড়ান্ত শাস্তি হিসেবে ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের একজন স্থায়ী ও ৫ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান।
তিনি বলেন, ‘ মঙ্গলবার শৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটি বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিল।’
রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা যায়, ‘চূড়ান্ত বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে একদিকে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীকে চিকিৎসাকেন্দ্র ভাঙচুরের অভিযোগে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের দায়ে বিভাগটির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।‘
বহিষ্কৃতরা হলেন, রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য (স্থায়ী), হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার হাসান, শেখ সালা উদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব।
২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের তাহমিন ওসমান নামে নবীন শিক্ষার্থী লিখিতভাবে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। পরদিন ওই অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ১৯ ডিসেম্বরের ছাত্রশৃঙ্খলা সভায় অভিযুক্তদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র ভাঙচুরের পর ২০২৩ সালের ১০ জুলাই মেডিকেল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়। এই অভিযোগের পাঁচ দিন পর রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। পরে তদন্ত প্রতিবেদনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর কেনো তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে তাকে শোকজ করা হয়েছিল। তবে উপস্থিত না হওয়ায় তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।