× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

একাই কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার

মো. আমান উল্লাহ, বাকৃবি

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫২ এএম

আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:০০ এএম

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। এই গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদের ব্যক্তিদের দায়িত্ব ও কাজের পরিধিও অনেক বেশি। অনেক সময় নিজ নিজ দপ্তরে কাজ করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাদের। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেজিস্ট্রার এবং কোষাধ্যক্ষের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বর্তমানে একই ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে বাকৃবির রেজিস্ট্রার এবং ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছেন মো. অলিউল্লাহ। তাই একজন ব্যক্তি দুটি দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে পারছেন কি না, বাকৃবিতে কি যোগ্য লোকের অভাব, কী কারণে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগে এত দেরি? এমন নানান আলোচনা-সমালোচনা চলছে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মো. অলিউল্লাহকে। ১ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন তিনি। পরে গত বছরের ২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২৫তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ভারমুক্ত করে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ হিসেবেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন মো. অলিউল্লাহ। তার আগে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন মো. রাকিব উদ্দিন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দুবার সময় বাড়ানো হয়েছিল রাকিব উদ্দিনের। কিন্তু কোষাধ্যক্ষের পদে বাকৃবি প্রশাসন যোগ্য কাউকে খুঁজে পায়নি এতদিনেও। তাই অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে মো. অলিউল্লাহকে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (সংস্থাপন-৫) আরীফ জাহাঙ্গীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমনটা কখনও হয়নি, একই সঙ্গে দুই দায়িত্ব দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। যেখানে এক শাখাতেই একজন ব্যক্তি কুলিয়ে উঠতে পারেন না, সেখানে আরেকটা শাখার দায়িত্ব! সমস্যা হবে, বিশৃঙ্খলা বড় আকারে দেখা দেবে; এটাই স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, কোষাধ্যক্ষ অফিসের লোকজন ফাইল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে দৌড়াদৌড়ি করছে। রেজিস্ট্রার অফিসে এক পাশে সংস্থাপনের ফাইল, অন্য পাশে কোষাধ্যক্ষের ফাইল পড়ে থাকে। একজন ব্যক্তি কোনোদিনই এ ধরনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কুলিয়ে উঠতে পারেন না। এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম। কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব একটা দক্ষতার জায়গা। যদি অভিজ্ঞতা না থাকে এবং ওই ব্যাকগ্রাউন্ডের না হয়, তাহলে কীভাবে ভালোভাবে কোষাধ্যক্ষের কাজ করা যায়? এটি আসলে অস্বাভাবিক।

এ বিষয়ে বাকৃবির উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান বলেন, একজন রেজিস্ট্রারের যে পরিমাণ কাজের পরিধি তার থেকে বেশি কাজ একজন কোষাধ্যক্ষের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সেকশনে কত টাকা বাজেট আছে, কোন ক্রয়কার্যটা কীভাবে সম্পাদন করা হবে, কতটুকু বাজেট স্যাংশন করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট সক্ষমতা কত; এসব কাজ একজন কোষাধ্যক্ষ করে থাকেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যত কর্মকর্তা-কর্মচারীর ফাইল আছে, সেগুলো রেজিস্ট্রারকে দেখতে হয়। দুই পদের কাজ যেহেতু একজন করছেন, এতে করে কার্যক্রমের বিষয়গুলো একটু ধীরগতিতে হচ্ছে। নিঃসন্দেহে তার ওপর চাপ পড়ছে। বাকৃবির মতো একটি জায়গায় যোগ্য ব্যক্তি কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয় সমস্যার মুখে পড়বে। 

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা মো. অলিউল্লাহর সঙ্গে  মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘একজন ব্যক্তি দুই দায়িত্ব পালনে হিমশিম খেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কিন্তু ঠিকই চলমান রয়েছে। কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, এজন্যে কাজগুলো আমি নিজেও তদারকি করছি। চেষ্টা করছি খুব দ্রুতই কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার। কিন্তু যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। যোগ্য এবং দক্ষ ব্যক্তি নিয়োগে তাই একটু সময় নিচ্ছি। রেজিস্ট্রারকেও এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী আমরা বিজ্ঞাপন দিয়ে দক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেব।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা