বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:২৮ পিএম
এসডিজি অর্জনে স্মার্ট অ্যাকুয়াকালচার ও মৎস্য চাষ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দুই দিনব্যাপী তৃতীয় দ্বিবার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই সম্মেলন আয়োজন করে ফিশারিজ সোসাইটি অব বাংলাদেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। সম্মেলনে ৩০০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন, যাদের পাঁচজন বিদেশি।
ফিশারিজ সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য এমদাদুল হক চৌধুরী।
উপাচার্য বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে মানুষের মাথাপিছু পুষ্টির প্রাপ্যতা ২২৫০ কিলোক্যালোরি। এর ৭০ শতাংশ আসে উদ্ভিজ্জ উপাদান থেকে। আর প্রোটিন প্রাপ্ততার হার মাথাপিছু ৬৬ গ্রাম। এরও ৭০ শতাংশ আসে উদ্ভিজ্জ উপাদান থেকে। ঘাটতি পূরণ করতে মাৎস্য সেক্টর বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। গবাদিপশুর বর্জ্যসহ নানা বর্জ্য পুকুরে মাছের খাদ্য হিসেবে প্রদান করা বন্ধ করতে হবে। তাহলে নিরাপদ মাছ উৎপাদন সম্ভব হবে। বর্তমানে মাছে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো কন্ট্রোল করা না গেলে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট কন্ট্রোল করা যাবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. খুরশেদ আলম বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে যুগান্তকারী সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলের মাছ উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। অ্যাকুয়াকালচার থেকে বাংলাদেশের ৪৭ শতাংশ মাছ উৎপাদন হয়। দেশের জনসংখ্যা ২০৫০ সাল নাগাদ ২০ কোটিতে পৌঁছাবে। তাই সমুদ্রের গভীরে মাছ ধরার জন্য লং লাইন ফিশিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছের সর্বোচ্চ যোগান নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সমুদ্রসম্পদ রক্ষা করতে হলে প্লাস্টিক দূষণ কমাতে হবে। মাইক্রো প্লাস্টিক সমুদ্র দূষিত করার ফলে মাছ মারা যায়। কারণ মাছ এগুলো হজম করতে পারে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এ কে এম নওশাদ আলম, বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, ডিপার্টমেন্ট অব ফিশারিজের (ডিওএফ) উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাৎস গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহসেনা বেগম তনু এবং কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার।