সাভার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৪ ১৫:১৫ পিএম
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৪ ১৫:২৭ পিএম
পাঁচ দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের’ ব্যানারে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ৩টা পর্যন্ত তাদের অবরোধ কর্মসূচি চলছে।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্ত করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা এবং র্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা; ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা; নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।
এদিকে অবরোধ চলাকালে নতুন প্রশাসনিক ভবনে কর্মচারী-কর্মকর্তাদের কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও আসেননি।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার পর পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন ভিসি স্যার যৌক্তিক স্বীকার করে মেনে নেবেন। কিন্তু আমরা প্রশাসন থেকে কোনো উদ্যোগ দেখতে পাইনি। মশাল মিছিল পরবর্তী প্রক্টরের বিষয়ে ভিসির নিকট দায়মুক্তির অভিযোগ পেশ করা হলেও গত সিন্ডিকেটে তা এড়িয়ে যান। মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে বাধ্য করার কথা থাকলেও প্রশাসনের নেই কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে প্রশাসন নির্বিকার। স্বাভাবিক আন্দোলনে প্রশাসনের টনক নড়ে না বিধায় প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করতে আন্দোলনকারীরা বাধ্য হয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি বলেন, ‘আমরা উপাচার্যের কাছে আমাদের দাবি বারবার জানিয়েছি। তিনি আমাদের কাছে প্রতিবার সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু গতকালের সিন্ডিকেট সভায় প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ ছাড়াও অছাত্রদের হল থেকে বের করার বিষয়ে প্রশাসনের গাফিলতি আছে। এজন্য আমরা আর উপাচার্যের নিকট আস্থা রাখতে পারছি না। তাই আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছি।’