বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪৭ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের ফল অসঙ্গতিপূর্ণ উল্লেখ করে পুনর্মূল্যায়নের দাবি করেছেন পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত নম্বর না পাওয়া পরীক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তার নিকট প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী এ দাবি জানান। এসময় তারা প্রত্যেকে অভিযোগপত্র জমা দিতে চাইলেও অনুষদের অধিকর্তা তিনজনের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সবার খাতা পুনর্মূল্যায়নের আশ্বাস দিলেও পরীক্ষার্থীরা বলছেন তাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। কারও কারো খাতায় ১৫-২০ নম্বরের ঘাটতি রয়েছে। কারও কারও খাতায় ভুল উত্তরের সংখ্যা বেশি দেখানো হয়েছে। কিছু কিছু শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, তাদের সঠিক উত্তরের সংখ্যা মিল থাকলেও প্রতি সঠিক উত্তরে নম্বর ১ দশমিক ২৫ না দিয়ে ১ করে দেওয়া হয়েছে। অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী উপস্থিত থাকার পরও কেন মাত্র তিন জনের অভিযোগ গ্রহণ করা হলো এ নিয়ে
উত্তরপত্রে নম্বরের মান ঠিক রাখা হয়নি উল্লেখ করে সাদ্দাম হোসাইন নামের এক পরিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে ১ দশমিক ২৫নম্বর। আমার যে উত্তর সঠিক হয়েছে সেগুলো এই নম্বর দিয়ে গুণ করলে অনেক হয় কিন্ত এক নম্বর করে ধরলে ফলের সঙ্গে মেলে। এইখানে ক্যালকুলেশনে ভুল থাকতে পারে।’
কাঙ্ক্ষিত নম্বরের চেয়ে কম পেয়েছেন বলে মনে করছেন তৌফিক আহমেদ শিপন নামের এক পরীক্ষার্থী।
তিনি বলেন, ‘দেশের স্বনামধন্য কোচিং সেন্টারের দেওয়া উত্তর ও সহায়কের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছি আমার ৭০ এর মতো নম্বর আসবে। কিন্তু ফল প্রকাশ হলে দেখা গেছে ৬১ দশমিক ৫০ পেয়েছি। হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের নম্বর গণনার ক্ষেত্রে কোনো ক্রুটি থাকতে পারে।’
অভিযোগ দিতে এসেছিলেন আরমান হোসেন নামের এক পরীক্ষার্থীর মা।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ভালো পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু ফল দেখে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হয়েছে। তাই আমি অভিযোগ দিতে এসেছি। ডিন স্যার কয়েকজনের আবেদন রেখে তাদের খাতা আবার দেখতে চেয়েছে। আশা করি তাদের খাতা চ্যালেঞ্জে টিকে গেলে আমদের সবার খাতা দেখা হবে। এজন্য যদি প্রতিদিনই রাজশাহীতে আসা লাগে তাহলেও আমি রাজশাহীতে আসার জন্য প্রস্তুত আছি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা ‘এ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক এক্রাম উল্যাহ বলেন, ‘উত্তরপত্রের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েল কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দক্ষ পাঁচজন শিক্ষকের উপস্থিতিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। কয়েকবার চেক করার পরেও আমরা র্যানডম কিছু ওএমআর বের করে ম্যানুয়ালি মূল্যায়ন করে মিলিয়ে দেখেছি। উভয় মূল্যায়ন পদ্ধতিতেই ফল একইরকম ছিল। তাদের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগ মূল্যায়ন করতে আমি তিনটি অভিযোগপত্র জমা রেখেছি। ওই তিনজন পরীক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এইগুলো পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে। যদি ন্যুনতম অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে অভিযোগ গ্রহণ করে সবার উত্তরপত্র আবার মূল্যায়ন করা হবে।’