অবন্তিকার আত্মহনন
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৪ ১৯:১৫ পিএম
ফাইল ফটো
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় একদম শুরু থেকে সবকিছু খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত উচ্চক্ষমতার তদন্ত কমিটি।
রবিবার (১৭ মার্চ) বিকালে পাঁচ সদস্যের এ কমিটির প্রথম সভা শেষে কমিটির সদস্য ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা দীর্ঘক্ষণ সভা করেছি। ২০২২ সাল থেকে ঘটনার যে সূত্রপাত হয়েছে, সেই শুরু থেকে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, অভিযোগপত্র আমরা সংগ্রহ করেছি। যেহেতু আমরা ঘটনার বিস্তারিত এখনও কিছু জানি না, তাই কমিটির সকল সদস্য এক কপি করে কাগজপত্র নিয়েছি। সেগুলো আমরা বিস্তারিত পড়ে দেখব এবং ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।’
অধ্যাপক আবুল হোসেন আরও বলেন, ‘আরও দুই-তিনটি সভা করার পর ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত আয়ত্তে আসার পর আমরা তদন্তের বিষয়গুলো কোন দিকে এগোবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। প্রতিটি বিষয় সুক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করে তদন্তের কাজ শেষ করা হবে।’
শুক্রবার (১৫ মার্চ ) রাতে জবির আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা ফেসবুকে শিক্ষক ও এক সহপাঠীকে দায়ী করে একটি পোস্ট দেন। এর কিছুক্ষণ পরই কুমিল্লার নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নেন ওই ছাত্রী। আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই শিক্ষার্থীর পোস্ট করা সুইসাইড নোটে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে হয়রানি, হুমকিসহ নানা অভিযোগ তোলা হয়। আর সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসে ডেকে নিয়ে হয়রানি ও মানহানির অভিযোগ তোলেন। তা ছাড়া ‘সেক্সুয়ালি অ্যাবিউজড কমেন্ট’ করার অভিযোগ তোলেন আত্মহননের পথ নেওয়া ওই ছাত্রী।
এ ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। আগুন জ্বালিয়ে ভোর পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত দেড়টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ক্যাম্পাসে এসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। তার আশ্বাসের পরও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থামাননি। পরে জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার বিকালে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করে। শনিবার রাতে অবন্তিকার মা কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান, শিক্ষক দ্বীন ইসলামসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। শনিবার রাতে পুলিশ অভিযুক্ত আম্মান ও দ্বীন ইসলামকে আটক করে।