× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রাবির হলের কক্ষ থেকে ছুরিকাহত শিক্ষার্থী উদ্ধার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫০ পিএম

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৫:২২ পিএম

আহত শিক্ষার্থী জয়দেব দাসকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রবা ফটো

আহত শিক্ষার্থী জয়দেব দাসকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রবা ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলের কক্ষ থেকে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ্ মখদুম হলে ৩৪১ নম্বর কক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম জয়দেব দাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়।

ওই শিক্ষার্থী অনেক দিন ধরেই অস্বাভাবিক আচরণ করছিল বলে দাবি করেন শিক্ষক, সহপাঠী ও তার রুমমেট।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক পারভেজ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী, রুমমেট ও প্রাধ্যক্ষের বরাতে তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে জয়দেবের চিৎকার শুনে আশপাশের শিক্ষার্থীরা ৩৪১ নম্বর রুমের সামনে আসে। এ সময় তারা তার বুকের নিচে ছুরি ঢুকে থাকতে দেখে। পরে কয়েকজন তাকে ধরাধরি করে ছুরি বের করে। এরপর শিক্ষার্থীরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

ওসি বলেন, আমরা কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জয়দেবের রুমমেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘৪-৫ দিন ধরে জয়দেব অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। সে বাড়ি যেতে চেয়েছিল। তবে বিভাগের অ্যাসাইনমেন্টসহ কিছু কাজ থাকায় যেতে পারেনি। শুক্রবার বেলা ১১টায় তার ছোট ভাই ক্যাম্পাসে আসে। তারা দুই ভাই একসঙ্গে দুপুর ও রাতের খাবারও খেয়েছিল। তারপর হঠাৎ রাতে এ ঘটনা ঘটে।’

একই হলের ৩৪৬ নম্বর কক্ষের আবাসিক এবং ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ বলেন, ‘আমার রুম থেকে এসে দেখি, জয়দেব নিজের বুকে নিজেই ছুরি চালাচ্ছিল আর গালাগালি করছিল। শোরগোল শুনে তখন অনেকেই এসে পড়েছিল ওখানে। প্রথমে এই অবস্থা দেখেই আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভয়ে আমি দৌড়ে চলে যাই ওখান থেকে। তখন রুমের ভেতরে কাউকে দেখিনি। এরপর অনেকেই রুমের সামনে চলে আসল।’

আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কয়েকজন রুমের মধ্যে ঢুকার পরে দেখি, ছুরিটা বের করে এক জায়গায় রাখা হয়েছে এবং জয়দেব মেঝেতে শুয়ে আছে। ওর ছোট ভাই পাশেই দাঁড়িয়েছিল। ছুরিটা বের করার পরে আমরা একটা কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান ঢেকে দিয়েছিলাম, যাতে রক্ত বেশি বের না হয়। এরপর আমি, আকাশসহ কয়েকজন তাকে নিচে নামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জয়দেব মেঝেতে শোয়া অবস্থায়ই তার ছোট ভাইকে উদ্দেশ করে বলেতেছিল, ‘তুই আমাকে ছুরি মারছিস’। তবে তার ভাই এটা অস্বীকার করে বলতেছিল, সে নিজেই নিজের বুকে ছুরি মেরেছে। এভাবে তারা দুই ভাই একে অপরকে দোষারোপ করতেছিল। ঘটনার সময় রুমের মধ্যে জয়দেবের রুমমেটরা কেউ ছিল না। আমরা যখন রুমের মধ্যে ঢুকি, তখন তারা দুই ভাই শুধু রুমের মধ্যে ছিলেন। এখন কে যে ছুরিটা মেরেছে, সেটা সিউর না। আশপাশের রুমের কেউ ভয়ে বের হয় নাই। অন্য রুমের শিক্ষার্থীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। অনেকক্ষণ ধরে চিল্লানো শুনেই আমরা ঘটনাস্থলে আসি।’

এ বিষয়ে শাহ মাখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘সে এখন রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছে। হলের শিক্ষার্থী, পুলিশ ও চিকিৎসকরা সবাই যথেষ্ট কো-অপারেট করেছে। সে নাকি বেশ কিছুদিন থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। এটা তার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও জানে। তার এক রুমমেটও একই কথা বলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে, সেটা এখনও নিশ্চিত না। জয়দেব নাকি বলেছে যে, তার ভাই তাকে আঘাত করেছে। আর হলের কিছু শিক্ষার্থীরা বলছে, সে নিজেই নিজের শরীরে আঘাত করেছে। মতিহার থানার ওসির জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছে, সে বুকে চাপ ধরে থাকার কারণে ইউটিউব দেখে স্নায়ুবিক আর ব্লাড প্রেশারের ওষুধ খায়। সে আহত হলেও কথা বলেতেছিল। মনে হচ্ছিল, বড় কোনো সমস্যা হয়নি। পুলিশ কক্ষ থেকে আলামতগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে। আর আমরা হল প্রশাসন আপাতত রুমটা সিলগালা করে রেখেছি।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা