কুমিল্লায় ছাত্রলীগ নেতাদের মোটরসাইকেল কাণ্ড টাকায় মীমাংসা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হল থেকে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আরেক ছাত্রলীগ নেতার মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ টাকার বিনিময়ে সমঝোতা হয়েছে। উভয়পক্ষ বিষয়টি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছে।

মোটরসাইকেলের মালিক দাবি করা ছাত্রলীগ নেতা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক নূর উদ্দীন হোসাইন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর সিসিটিভি ফুটেজের জন্য আবেদন করেন। 

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল মোস্তফা রিয়াদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জিলান আল সাদ এহসান ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আরমান সিদ্দিকী একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছেন।

মোটরসাইকেলের মালিক দাবি করা নূর উদ্দীন হোসাইন বলেন, ‘তারা বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। এছাড়া মোটরসাইকেলের পরিবর্তে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়েছে তারা। তবে কত টাকার বিষয়ে সমোঝতা হয়েছে সেটা আমি বলতে চাচ্ছি না।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রেজাউল মোস্তফা রিয়াদ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সমাধান করে ফেলেছি। মোটরসাইকেলের পরিবর্তে টাকা প্রদান করা হয়েছে।’ আরেক অভিযুক্ত জিলান আল সাদ এহসান বলেন, ‘আমাদের বন্ধুদের মধ্যে যে দূরত্ব ছিল সেটা আমার আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে ফেলেছি। সর্বশেষ রিয়াদ বাইক নিয়েছিল। এরপর তার কাছ থেকে হারানো গেছে। তাই সে নূর উদ্দীনকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘এটা হলের বিষয়। হল প্রসাশনই বিষয়টা দেখবে।’ এ ব্যাপারে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

গত ৩১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক নূর উদ্দীন হোসাইন বাইক 'চুরির' ঘটনায় ফুটেজ সংগ্রহ ও অপরাধী শনাক্ত করতে আবেদন করেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পরও চুরির বিষয়টি অস্বীকার করেন রেজাউল মোস্তফা রিয়াদ, জিলান আল সাদ এহসান ও আরমান সিদ্দিকী। পরে হল সংলগ্ন মেসের একটি ফুটেজ আসে প্রতিদিনের বাংলাদেশের কাছে। সেখানে তাদের মোটরসাইকেল ঠেলে ঠেলে নিয়ে যেতে দেখা যায়।