বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫৯ এএম
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩৬ পিএম
সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রধান ভবনের দ্বিতীয় তলার ২৫০ নম্বর রুমে রবিবার রাতে আগুন লাগে। প্রবা ফটো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রধান ভবনের দ্বিতীয় তলার ২৫০ নম্বর রুমে রবিবার রাতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে হলের শিক্ষার্থীদের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গেছে, রবিবার (০৮ এপ্রিল) রাত ২টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে হল প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হল সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে ওই রুমটির সব শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গিয়েছিল। তাই রুমে কেউ ছিল না। তবে আগুনে পুড়েছে শিক্ষার্থীদের বই, সার্টিফিকেট, তিনটি ট্রাঙ্ক, টেবিল চেয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে হলের একই ব্লগে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী সাব্বিরুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ২টার দিকে ২৫০ নম্বর রুমটিতে আগুন লাগে। এ সময় রুমটি তালাবদ্ধ ছিল। রুমের সবাই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গেছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে রুমটির তালা ভাঙা হয়। পানি আর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এর মধ্যেই তিনটি ট্রাঙ্কসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, বই, খাতা, কাপড় পুড়ে যায়।
এ শিক্ষার্থী আরও জানান, রুমটিতে চারজন থাকত। এর মধ্যে দুজনের কাগজপত্র পুড়ে গেছে।
ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও অগ্নিদগ্ধ রুমটির আবাসিক শিক্ষার্থী আইয়ুব মোড়ল মোবাইলে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘রুমের আমরা সবাই বাড়িতে ছিলাম। আগুন লেগে রুমের বেশ ক্ষতি হয়েছে। লাগেজ, ট্রাংক, বিছানা সব নষ্ট হয়েছে।’
আগুন লাগার বিষয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা বলেন, ‘ইলেকট্রনিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে বন্ধ রুমটিতে আগুন লেগে যায়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা আগুন নেভাতে ছুটে যাই। ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুর্বল বৈদ্যুতিক লাইন ও সাধারণ ক্যাবলে ভারী ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার ফলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়াও রুম ছেড়ে যাওয়ার সময় রুমের জিনিসপত্র ঠিক আছে কি না, সেটাও যাচাই করে নেওয়া উচিত ছিল।’
সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক সেখানে যাই। ফায়ার সার্ভিসকেও বলা হয়েছিল এবং তারা এসেছিল। তবে তার আগেই শিক্ষার্থীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেছিল।’
আগুন লাগার কারণ হিসেবে রুমটিতে শিক্ষার্থীদের অসচেতনতা, ইলেকট্রনিক লাইনে দুর্বলতাকে দায়ী করে প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ইলেকট্রনিক লাইনে দুর্বলতা থাকলে হল অফিসে রিপোর্ট করতে হয়, হলে ইলেকট্রিশিয়ান আছে। তারা ঠিক করে দেবে। এ ছাড়াও ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার আগে রুমের কোথায় কী আছে সেসব গুছিয়ে যাওয়াও তো শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব। এখন তাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটা তো পুষিয়ে উঠা বেশ কষ্টের। অনেকের তো সার্টিফিকেটও পুড়ে গেছে। বিষয়টা আসলেই কষ্টের।’
এ সময় ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের রুমের লাইট, ফ্যান ও ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করা ও সার্বিক সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম।