প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১৪:৫৩ পিএম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১৫:১১ পিএম
বাংলা চলচ্চিত্র অঙ্গনের এক উজ্জল নক্ষত্র ছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালী দিনগুলোতে চোখ ফেরালেই মনে পড়ে যাবে তার কথা। কখনো দাপুটে নায়িকা, কখনো বা মা, বড় ভাবী, সংসারের বড় বৌ, বিধবা, মহিয়সী নারী চরিত্র, বাদশাহ মহলের নির্বাসিত বেগম চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছেন। ‘এই ঘর এই সংসার’ সিনেমাতে সালমান শাহ ও আলীরাজের বড় বোনের চরিত্রটি তো আজও দর্শকের মনে জীবন্ত।
সেই জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজী আফসারীর আজ ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৭ সালের ৯ মার্চ কিডনিজনিত রোগে মাত্র ৫৭ বছর বয়সে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। তার চলে যাওয়ার এ দিনটিতে অনেকেই মনে করেছেন তাকে।
চলচ্চিত্রে তিনি রোজী সামাদ বা রোজী আফসারী দুটি নামেই পরিচিত। তবে তার পারিবারিক নাম ছিল শামীমা আক্তার রোজী। ১৯৪৬ সালের ২৩ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালি যুগের অভিনেত্রী রোজী ১৯৬২ সালে আব্দুল জব্বার খান পরিচালিত ‘জোয়ার এলো’ ছবির মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি জনপ্রিয়তা পান ১৯৭৪ সালে মুক্তি পাওয়া নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘আলোর মিছিল’ সিনেমা দিয়ে।
পরের বছরই ১৯৭৫ সালে ‘লাঠিয়াল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন রোজী।
এ অভিনেত্রী অভিনয়জীবনে ৪ দশক ধরে ৩৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে পাকিস্তানের ‘জাগো হুয়া সাবেরা’, ‘পুনম কি রাত’সহ ২৫টি উর্দু সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। তার সেরা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সূর্য গ্রহণ’, ‘সূর্য সংগ্রাম’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’।
এছাড়া অন্যান্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘ওরা ১১ জন’, ‘এতটুকু আশা’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘অশিক্ষিত’, ‘প্রতিকার’ ইত্যাদি। তার সর্বশেষ অভিনীত ছবি ‘পরম প্রিয়’ ২০০৫ সালে মুক্তি পায়।
১৯৮৬ সালে ‘আশা নিরাশা’ নামে একটি সিনেমা পরিচালনা করেন তিনি।
ব্যক্তিজীবনে রোজি আফসারী এক মেয়ে ও এক ছেলের জননী। তিনি প্রথম বিয়ে করেন পরিচালক ও প্রযোজক আবদুস সামাদকে। সে সংসারে কবিতা সামাদ নামে এক কন্যা রয়েছে তার।
এরপর সে সংসারে বিচ্ছেদ হলে ১৯৮৫ সালে বিয়ে করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মালেক আফসারীকে। বয়সে মালেক আফসারী তার ২০ বছরের ছোট হলেও দীর্ঘ ২২ বছর সংসার করেছেন তারা। সেই দাম্পত্য জীবনে রবি আফসারী নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে তাদের।