নৃত্যশিলপী সংস্থার দাবি
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩ ২০:১১ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নৃত্যশিলপী সংস্থার নেতারা। প্রবা ফটো
প্রতিবছর শিল্পকলার সব শাখায় গুণী শিল্পীদের একুশে ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে সম্মানিত করা হয়। দেওয়া হয় তাদের অবদানের স্বীকৃতি। তবে নৃত্যকলার বেলায় পদক প্রদানে ধারাবাহিকতা রক্ষা হচ্ছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ নৃত্যশিলপী সংস্থার নেতারা। রবিবার (১২ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে এ হতাশা ব্যক্ত করেন নৃত্যশিল্পীরা।
সম্মেলনের বক্তব্য দেন সংস্থার সভাপতি মীনু হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নীলুফার ওয়াহিদ পাপড়ি, শিল্পী সোহেল রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি দীপা খন্দকার, সংগঠনের গবেষণা সম্পাদক নিগার চৌধুরী।
সভাপতি মীনু হক বলেন, শুধু বিনোদনের জন্যই নৃত্য না, মানুষের চিত্তের বিকাশ ঘটায় এ শিল্প। এমন কোনো দেশ নেই যেখানে এ শিল্পীদের প্রাধান্য নেই।
তিনি বলেন, চার বছরের বিরতি দিয়েও একুশের পদক প্রদানের নজির আছে। স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে মাত্র দুবার। সংস্কৃতিবান্ধব বর্তমান সরকারের কাছ থেকে নৃত্যশিল্প এবং নৃত্যশিল্পীরা প্রতিনিয়ত যে সহযোগিতা পাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে নৃত্যশিল্পী, নৃত্যজন, নৃত্যপ্রেমিরা মর্মাহত।
সংগঠনের ঘোষণা পত্রে মীনু হক বলেন, একথা অনস্বীকার্য যে নৃত্যের ভাষা আন্তর্জাতিক। এদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, গৌরবের ইতিহাস বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দিতে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করতে নৃত্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অথচ জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্তি থেকে যখন নৃত্যশিল্প বঞ্চিত হয়, তখন জাতির কাছে একটি বার্তাই পৌঁছায়, নৃত্যশিল্প চর্চায়, বিকাশে, গবেষণায় নৃত্যশিল্পীদের কোনো অবদান নেই এবং নৃত্যশিল্প একটি গুরুত্বহীন শিল্প মাধ্যম।
দীপা খন্দকার বলেন, সবাজায়গায় আমাদের প্রাধান্য থাকে, প্রাপ্তির জায়গায় শূন্য।
সংগঠনের গবেষণা সম্পাদক নিগার চৌধুরী বলেন, ষোলকলার শ্রেষ্ঠকলা হিসেবে আখ্যায়িত নৃত্যকলা, নিজস্ব স্বকীয়তায়সমৃদ্ধ। ললিতকলার নান্দনিক শাখার ঐশ্বৰ্য্যমণ্ডিত এক প্রাচীনতম বিদ্যা। কঠোর পরিশ্রম, সাধনা ও নিষ্ঠা ছাড়া এই বিদ্যা অর্জন তারা নৃত্যের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি-ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরছেন, উপস্থিত করছেন বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল দীর্ঘ সংগ্রামের কাহিনী। এমনকি করোনায় ঘরবন্দি বিশ্ব যখন স্থবির, তখনও বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পীরা এবং বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাদের শিল্পচর্চাকে সচল রেখেছেন।