বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:২০ পিএম
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৫০ পিএম
দেশের নন্দিত অভিনেতা ও পরিচালক আবুল হায়াত। ৭ সেপ্টেম্বর ৭৮ বছরে পা রাখলেন তিনি। বয়সকে হার মানিয়ে এখনও তিনি হাজির হন নানামুখী চরিত্রে, অভিনয়ের মুগ্ধতা ছড়িয়ে।
এবার জানা গেল, এই অভিনেতা নিজের জীবনের জানা-অজানা গল্প তুলে আনছেন বইয়ের পাতায়। একজন লেখক হিসেবে সুনাম রয়েছে আবুল হায়াতের। নাটকের চিত্রনাট্যের পাশাপাশি তিনি লিখেছেন বেশ কিছু বই।
সেই অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই এবার লিখতে চলেছেন আত্মজীবনী। এ খবরটাই নিশ্চিত করলেন অভিনেতার মেয়ে বিপাশা হায়াত।
গতকাল বাবার জন্মদিন উপলক্ষে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এই তথ্য জানান অভিনেত্রী, লেখিকা, পরিচালক ও চিত্রশিল্পী বিপাশা।
তিনি লেখেন, ‘কিছুদিন আগে তিনি (আবুল হায়াত) লিখতে শুরু করেছেন তার আত্মজীবনী। আমার পূর্বপুরুষ ও তাদের দেশান্তরিত হওয়ার ইতিহাস। তার কাছ থেকে স্বপ্ন ধার করে আমি দিন গুনছি এই সম্পূর্ণ ইতিহাস জানার জন্য। লিখে চলো আব্বু। তোমার সকল স্বপ্ন পূর্ণ হোক প্রিয়তম সহযাত্রীর হাত ধরে।’
এ ছাড়া বাবাকে নিয়ে বিপাশা লিখেছেন, ‘প্রতিটি সুন্দরের স্পর্শ তাকে নতুন জীবন দিয়ে চলে। প্রতিটি স্বপ্ন তাকে প্রাণস্পর্শ দেয়। কর্মের ভেতর দিয়ে তিনি সেই সুন্দর আর স্বপ্ন ছড়িয়ে দেন চারপাশে। সন্তানের দূরত্ব তাকে বেদনার্ত করে, কিন্তু দেশমাতৃকার দূরত্ব তাকে নির্জীব করে। জন্মস্থান নয়, বাংলাদেশকে তিনি দিয়েছেন তার নিঃশেষ অধিকার।
বাবা আবুল হায়াতের এবারের জন্মদিন উপলক্ষে ফেসবুকে বিপাশা আরও লিখেছেন, ‘যে অপূর্ব মানুষটির কারণে আমার সকল কর্মের সূত্রপাত, ১৯৪৪ সালের আজকের এই দিনটিতে তাঁর জন্ম হয়েছিল অখণ্ড উপমহাদেশের ভারতীয় অংশে। যে শিশুর জীবনের শাখা-প্রশাখা বিস্তার করার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গের জজান ভূখণ্ডে, ইংরেজ শাসনের অগ্নিঝরা দেশ বিভাগ তার শুধু ভাগ্যই বদলে দেয়নি, তাকে বাংলাদেশের মৃত্তিকার সন্তান হিসেবে বেঁচে থাকার কারণ ঘটিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতি তার ধমনি ও শিরা-উপশিরায় রক্তের বদলে বয়ে চলে। এ দেশের প্রতি তার মায়া যেন জন্মান্তরের। তেমনই ভালোবাসায় দেশ আর দেশের মানুষ তাকে জড়িয়ে রেখেছে, যেমন থাকে জননীর মমতায় শিশু।’
এ মানুষটিকে আমি আটাত্তরবার নয়, অসংখ্যবার জন্মাতে দেখেছি। প্রতিটি সুন্দরের স্পর্শ তাকে নতুন জীবন দিয়ে চলে। প্রতিটি স্বপ্ন তাকে প্রাণস্পর্শ দেয়। কর্মের ভেতর দিয়ে তিনি সেই সুন্দর আর স্বপ্ন ছড়িয়ে দেন চারপাশে।’
প্রবা/এলএ/এমজে