প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৪৫ পিএম
‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’-এ অংশগ্রহণের জন্য আবেদন শুরু হয়েছে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে আবেদনের সময়। ১০ মে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। ২ এপ্রিল ঢাকার সার্কিট হাউস রোডে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয়ে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত জুরি বোর্ডের ১ম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে আরও বলা হয়, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদেরকে নির্ধারিত ছকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফরম/ছক বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট www.bfcb.gov.bd থেকে ডাউনলোড করেও ব্যবহার করা যাবে। প্রত্যেক আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের ২ কপি ডিভিডি/পেনড্রাইভে জমা দিতে হবে। পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত শিল্পী, কলাকুশলী, ব্যক্তিদের প্রত্যেকের ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবিসহ বাংলায় লেখা জীবনবৃত্তান্ত, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), শিশুশিল্পীদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
প্রতিবছরের মতো এবারও ২৮টি ক্ষেত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হবে জানা গেছে। এগুলো হলোÑ আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্বচরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্বচরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী খল চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী, শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গায়ক, শ্রেষ্ঠ গায়িকা, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সুরকার, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা এবং শ্রেষ্ঠ মেকাপম্যান।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, কেবল বাংলাদেশি নাগরিকগণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন; যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে, তবে যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্রের বিদেশি শিল্পী এবং কলাকুশলীগণ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না; জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত এবং ২০২২ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত হতে হবে।
স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সেগুলোকে অবশ্যই ২০২২ সালে সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত হতে হবে।