× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সাক্ষাৎকার

সব সময় সাধারণ থাকতেই পছন্দ করি: পলাশ নূর

মৌসুম আহমেদ

প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ১৩:২৬ পিএম

আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩ ১৬:৫৬ পিএম

সব সময় সাধারণ থাকতেই পছন্দ করি: পলাশ নূর

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় হেভি মেটাল ব্যান্ড ওয়ারফেজ। তরুণ প্রজন্মের কাছে একটি ভালোবাসার নাম। নব্বই দশকের ব্যান্ড শ্রোতা থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্ম মুখিয়ে থাকে ওয়ারফেজের স্টেজ শো কিংবা নতুন গানের জন্য। বর্তমানে এই ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট পলাশ নূর। সম্প্রতি তিনি আড্ডা দিলেন প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর সঙ্গে। ওয়ারফেজ ও পলাশ নূর এই দুই মিলে নানা জানা-অজানা বিষয় জানা গেল এই সংগীতশিল্পীর কাছে থেকে। লিখেছেন মৌসুম আহমেদ...

সব মিলে কেমন যাচ্ছে ব্যস্ততা?

ব্যস্ততা বেশ ভালোই যাচ্ছে। সত্যি কথা বলতে ওয়ারফেজ খুবই ব্যস্ততম একটা ব্যান্ড। দীর্ঘ মহামারির পর ব্যান্ড মিউজিকে আবারও যেন প্রাণ ফিরে এসেছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরাই বর্তমানে বেশি শো করছি। তাই ওয়ারফেজ নিয়েই মোটামুটি ব্যস্ত থাকা হয়। পাশাপাশি আমি ব্যক্তিগত জীবনে চাকরিও করি। বর্তমানে বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থায় যুক্ত আছি। এ ছাড়া টিভিতে উপস্থাপনা করি। আর আমি যেহেতু গানের মানুষ, গান নিয়েই ব্যস্ত থাকা হয়। সবকিছু মিলে বলতে গেলে বেশ ব্যস্ত সময়ই পার করছি। 

শো কেমন চলছে

সম্প্রতি চট্টগ্রামে শো করলাম। এই শোটি ছিল ব্র্যাকের আয়োজনে ক্যারিয়ার হাব লঞ্চিং ইভেন্ট। বেশ ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি আমরা। সব মিলে দারুণ উপভোগ করেছি। 

এবার আপনার সংগীতজীবনের যাত্রা সম্পর্কে জানতে চাই

আমি মূলত ছোটবেলা থেকেই তালিম নিয়ে গান শিখেছি। উচ্চাঙ্গ শিখেছি, নজরুলসংগীত শিখেছি। সংগীতের শুরুটা হয় মূলত আমার আব্বার হাত ধরেই। আব্বা একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। পাশাপাশি শখেই গান করতেন। আর তালিমের বিষয়ে যদি বলি সে ক্ষেত্রে আমি একটা বড় সাপোর্ট পেয়েছি রংপুর শিল্পকলা থেকে। যেহেতু আমার হোম টাউন রংপুরেই। পাশাপাশি বাসায় বিশেষভাবে তালিম দিতেন মিজানুর ইসলাম মাজু স্যার। এ ছাড়াও তমাল গান্ধী লাহিরি ও মাহাবুবউদ্দিন ভুঁইয়া স্যারও আমাকে গানের ক্ষেত্রে বেশ সহযোগিতা করেছেন। তারা সবাই ছিলেন রংপুরে গানের জগতে খুব প্রসিদ্ধ মানুষ। ব্যান্ড জগতে এসএসসির পর থেকেই অংশগ্রহণ শুরু হয়েছে।

কিছু সংগীতপাগল বন্ধু ও ভাই মিলে একটা ব্যান্ড গঠন করি। স্থানীয়ভাবেই আমাদের ব্যান্ড ওই সময় বেশ জনপ্রিয়তা পায়। তারপর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় এসে একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে ইংলিশ বিষয়ে ভর্তি হলাম। তখন রেডিও একটিভ নামের একটি ব্যান্ড গড়ে তুলি। এই ব্যান্ড নিয়ে আমরা ২০১১ পর্যন্ত কাজ করেছি। ২০০৭ সালে ডি-রকস্টার রিয়েলিটি শোতে আমরা অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করি। আর আমি বেস্ট ভোকাল এওয়ার্ড পাই। তারপর বেশ কিছু ব্যক্তিগত কারণে আমরা আর ব্যান্ডটা চালিয়ে যেতে পারিনি। আগ থেকেই ওয়ারফেজের সঙ্গে আমার বেশ সখ্য ছিল। সেই সুবাদে পরে ওয়ারফেজে যুক্ত হই।

ওয়ারফেজে যুক্ত হওয়ার ঘটনাটি কেমন ছিল

ওয়ারফেজের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক ছিল। প্রায় আড্ডা হতো টিপু ভাই, কমল ভাইদের সঙ্গে। টুকটাক কাজও হতো আমাদের। তা ছাড়া টিপু ভাই, কমল ভাই আমাকে অনেক পছন্দ করতেন আগে থেকেই। একসময় মিজান ভাই যখন ফাইনালি ব্যান্ড ছেড়ে দিলেন তখনই আমার কাছে ওয়ারফেজের পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসে। আর এভাবেই ওয়ারফেজের সঙ্গে আমার যাত্রাটা শুরু হয়েছিল। এটা ছিল স্বপ্নের মতো ব্যাপার। 

আপনি উপস্থাপনাও করেন, কেমন উপভোগ করেন এই ব্যাপারটা...

আসলে উপস্থাপনার বিষয়টি আমার কাছে সব সময়ই ইউনিক একটি বিষয় ছিল। কখনও উপস্থাপনা করব, এটা ভাবিনি। তবুও প্রায় আট বছর হলো দেশের একটা স্বনামধন্য টিভি চ্যানেলে মিউজিক্যাল টক শোতে উপস্থাপনা করছি। যেহেতু গানের মানুষ, গান নিয়েই কথা বলতে হয়, তাই আমি এই ক্ষেত্রটাতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে আমি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বড় জনপ্রিয় সংগীতজ্ঞ ও কিংবদন্তিতুল্য গানের মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। শুধু তা-ই নয়, আমি তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি ও শিখতে পেরেছি। এটা আমার কাছে একটা অনেক বড় উপলব্ধি। 

আপনি নাকি বেশ ভালো রান্নাও করেন। রান্না নিয়ে বিশেষ কিছু করতে যাচ্ছেন শোনা যাচ্ছে 

জি, ঠিকই শুনেছেন। আমি রান্নাটাও বেশ উপভোগ করি। সত্যি বলতে রান্নাটাও আমার কাছে একটা আর্ট মনে হয়। যেহেতু আমি সৃজনশীল মানুষ, সেহেতু রান্নার মাঝেও আমি আমার সৃজনশীলতা খুঁজে পাই। রান্নার বিষয়টি যদিও আমার আম্মার কাছ থেকে, খালাদের কাছ থেকে টুকটাক শেখা, তবে পরবর্তী সময়ে আমার স্ত্রীও আমাকে এ বিষয়ে বেশ সহযোগিতা করেছে। সবকিছু মিলে সম্প্রতি আমি আর আমার স্ত্রী একটি উদ্যোগ নিয়েছি, সেটা হলো রান্নার ভিডিও ব্লগ করা। আমার রান্না খেয়ে ইতোমধ্যে আমার কাছের মানুষ ও আত্মীয়স্বজন বেশ প্রশংসা করেছেন। আর তখনই আমার মনে হলো বিশেষ আয়োজন কেন নয়? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার এই সৃজনশীলতার বিষয়টি দেখাতেই পারি। তাই এই উদ্যোগ। 

নিজের লাইফস্টাইল কীভাবে মেইনটেইন করেন

আমি খুবই সহজ-সরল জীবন যাপন করার চেষ্টা করি। খুব বেশি চাকচিক্য আমাকে টানে না। সব সময় সাধারণ থাকতেই পছন্দ করি। আমি মনে করি, সাধারণভাবে চলার মধ্যে যে আনন্দটা তা আর অন্য কিছুতে নেই। আজীবন সাধারণ হয়েই বাঁচতে চাই। 

অবসরে কী করেন?

অবসরে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাই, ছবি তুলি। আর বেশিরভাগ সময় আমি আমার মেয়েকেই দেই। আমার মেয়ে অনেক বেশি ছোটাছুটি করে। আমি ওর সঙ্গে বাচ্চাই হয়ে যাই বলতে গেলে।

সামনে আপনাদের ব্যান্ডের শিডিউল কী? 

আমরা সামনে একেক করে কিছু গান রিলিজ করব। রিলিজের আগেই সব কিছুর আপডেট দেওয়া হবে। আর জুলাইয়ের শেষের দিকে আমাদের ফ্রান্সে কনসার্ট হওয়ার কথা চলছে। এ বছরের শেষের দিকে কানাডা ও আমেরিকায় আমাদের কনসার্ট আছে।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা