সাক্ষাৎকার
মৌসুম আহমেদ
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৩ ১৭:০৩ পিএম
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৩ ২২:০৪ পিএম
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ও অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা। বাস্তব জীবনে কিংবা পর্দায় তিনি একজন সহজ ও সাবলীল মানুষ। দীর্ঘ অভিনয়ের যাত্রায় দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সুন্দর সুন্দর চরিত্র। একজন পাকা অভিনেত্রী হিসেবে নিজের জায়গাটা বেশ শক্ত করে নিয়েছেন অনেক আগেই। ছোটপর্দা কিংবা ওটিটিতে তার অভিনয় সব সময়ই প্রশংসনীয়। সম্প্রতি বড়পর্দায় নতুন চমক নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে হৃদি হকের পরিচালনায় নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘১৯৭১ : সেই সব দিন’-এ অভিনয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি তার সমসাময়িক ব্যস্ততা ও নানা জানা-অজানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রতিদিনের বাংলাদেশের সঙ্গে।
মুক্তির অপেক্ষায় আছে আপনার অভিনীত সিনেমা ‘১৯৭১ : সেই সব দিন’। এই সিনেমায় কাজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা জানতে চাই?
কাজের অনুভূতিটা বেশ ভালো ছিল। ‘১৯৭১ : সেই সব দিন’ সিনেমার নাম শুনেই বুঝতে পারছেন সিনেমাটি ১৯৭১-এর প্রেক্ষাপটে নির্মিত সিনেমা। যেখানে একটি ছোট্ট চরিত্রে আমাকে দেখতে পারবেন। কাজের অভিজ্ঞতাও ছিল বেশ মনে রাখার মতো, একটু আলাদা। সিনেমায় আমাকে দুটি লোকশনে কাজ করতে হয়েছে। একটি ঠাকুরগাঁও, ঠিক বর্ডারের কাছে; অন্যটি সাভার ক্যান্টনমেন্টে। আনন্দের বিষয় এই, প্রথম কোনো নারী পরিচালকের পরিচালনায় কাজ করলাম। আমাদের পরিচালক ছিলেন হৃদি হক আপু। আপুর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা ছিল দারুণ। কারণ উনি নিজেও একজন পারফর্মার। শুটিংয়ের আগে আমরা বেশ কয়েকবার ব্রিফিং ও রিহারসেলের জন্য বসেছি। তার পর পরিকল্পনা করেই শুটিং করেছি। আপুর নির্দেশনায় কাজটি বেশ সাচ্ছন্দ্য নিয়ে করেছি। তিনি বিস্তারিত হাতে হাতে সিকুয়েন্সগুলো বুঝিয়ে দিয়েছেন। সবকিছু মিলে আপু যা চেয়েছেন আমি ও আমাদের টিম তার পুরোটাই দিতে পেরেছি। কারণ ১৯৭১ সালকে আমরা চেষ্টা করেছি একটু ভিন্নরূপে উপস্থাপন করতে। সবকিছু মিলে পুরো সময়টা মনে রাখার মতো ছিল। কাজের অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ।
এখন কী নিয়ে ব্যস্ততা?
ঈদের নাটকের জন্য বেশকিছু কাজ শেষ করলাম। ইতোমধ্যে জামাল মল্লিকের পরিচালনায় একটি নাটকে কাজ করেছি। আমার বিপরীতে ছিলেন ইরাফান সাজ্জাত। এটা মূলত একটি ফ্যামিলি ক্রাইসিসের গল্প। এখানে দর্শক আমাকে একটু ভিন্নরূপে দেখতে পারবেন। অন্যদিকে, সাইদুর জামান রাসেলের পরিচালনায় আরও একটি কাজ করলাম। নাটকের নাম ‘কপাল’। এখানে আমার সহ-অভিনেতা ছিলেন সোহেল। একজন প্রবাসীর জীবনের গল্প নিয়ে মূলত নির্মিত হয়েছে নাটকটি। পাশাপাশি আরও বেশকিছু কাজ আসবে, যেসবের সব তথ্য আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
ওটিটিতে কোন কাজ করছেন ইতোমধ্যে?
ওটিটি নিয়ে আমি আগাম কোনো কথা বলব না। কখনোই বলিনি। কারণ আমাদের ওটিটির সঙ্গে চুক্তি থাকে বেশকিছু বিষয় নিয়ে। সেক্ষেত্রে আগেই কোনো তথ্য আপাতত দিতে পারছি না।
নিজেকে কীভাবে সময় দিচ্ছেন?
আমার প্রচুর অবসর সময়। কারণ আমি বেছে বেছে কাজ করি। অবসরে আমি বাসায় বেশিরভাগ সময় থাকি। মুভি দেখি, গল্পের বই পড়ি। হাতে টুকটাক কাজ থাকলে সেগুলো করার চেষ্টা করি। আবার কোনো স্ক্রিপ্ট থাকলে সেটা নিয়ে একটু স্টাডি করি। পাশাপাশি জিমেও এখন বেশ সময় দিচ্ছি। আর সময় পেলেই ঢাকার আশপাশ থেকে একটু ঘুরে আসার চেষ্টা করি। তাতে মন ফ্রেশ থাকে, এই তো। এভাবেই নিজের জন্য সময়টুকু বরাদ্দ রাখি।
অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলোর ওপর বেশি নজর দেন?
অভিনয়ের ক্ষেত্রে সব সময়ই আমি গল্প, চরিত্রের ওপর বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তারপর সব ঠিকঠাক থাকলে কাজ শুরু করি। আর তাই আমার কাজও বেশ কম করা হয়। গল্প ও চরিত্র পছন্দ না হলে আমি চেষ্টা করি তা না করার।
এবার ঈদের পরিকল্পনা কি?
এই ঈদটা আমার কাছে একটু অদ্ভুত মনে হয়। কারণ কুরবানির ঈদটা আমার কাছে মর্মান্তিক লাগে। পশু জবাই, এই ব্যাপারটা আমি ছোটবেলা থেকেই নিতে পারি না। যদিও এটা আমাদের ধর্মীয় ব্যাপার। আর পরিকল্পনার কথা যদি বলেন- তবে বলব, আমি আমার পরিবারকেই সময় দেই। তেমন বিশেষ কোনো পরিকল্পনা থাকে না।