প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:০৮ পিএম
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৩১ পিএম
রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদার অভিনিত নাটক ‘লাভ লেটারস’ নির্দেশনা দিয়েছেন ত্রপা মজুমদার
নাট্যদল থিয়েটারের নতুন নাটক ‘লাভ লেটারস’। এর আগেও বেশ কয়েকবার মঞ্চস্থ হয়েছে। যেহেতু এ নাটকের দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেশের মঞ্চনাটকের সফল সুখী তারকা দম্পতি রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদার; তাই নাটকটির মঞ্চায়নের শুরু থেকেই দর্শকের কাছ থেকে বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার এ নাটকটির অষ্টম মঞ্চায়ন হলো।সেদিনও বেশ ভালো সাড়া মিলেছে দর্শকের কাছ থেকে। যারা বলেন মঞ্চনাটকে দর্শক মেলে না তাদের ভুল প্রমাণ করেছে রামেন্দু-ফেরদৌসীর নাটক ‘লাভ লেটারস’। দুজন প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্কের ষাট বছরের ধারাবাহিক ইতিহাস, যা তুলে আনা হয়েছে কিছু চিঠিপাঠের মাধ্যমে, যার মধ্যে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধও। থিয়েটারের ৪৮তম নতুন এ প্রযোজনার নাম লাভ লেটারস। বিশ্বখ্যাত নাট্যকার এ আর গার্নির এ নাটকটির বাংলা অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম। নির্দেশনায় আছেন ত্রপা মজুমদার। রাজধানীর মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাটকের অষ্টম প্রদর্শনী হয় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায়। টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছিল ১০০০/৫০০/৩০০/২০০। পরবর্তী শোয়ের জন্য অগ্রিম বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে ০১৭১৮০৭৩২৭৭ নম্বরে।
থিয়েটারের নতুন এ নাটকটি নিয়ে ত্রপা মজুমদার বলেন, ‘শুরু থেকেই দর্শকের কাছ থেকে যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে আসছি তাতে সত্যিই মুগ্ধ আমরা। দর্শকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। এ নাটকটি আমরা কয়েক বছর আগে শুরু করেছিলাম। ভাবনাটা শুরু হয়েছিল আমাদের সবার প্রিয় অভিনেতা শ্রদ্ধেয় আলী যাকের যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন মনে হয়েছিল, তাকে নিয়ে মঞ্চে যদি কিছু করতে পারি তাহলে আমাদেরও একটা প্রাপ্তি হয়, তারও ভালো লাগবে। তখন আবদুস সেলিম স্যারকে অনুরোধ করেছিলাম, এটার বাংলা করে দেওয়ার জন্য। স্যার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলা রূপান্তর করে দিয়েছেন। আমরা আলী যাকেরসহ এটা করেছি, কিন্তু পরে তার স্বাস্থ্যটা অনেক খারাপ হয়ে যায়। আমরা বারবারই মহড়ার উদ্যোগ নিয়েও আর করতে পারিনি শেষ পর্যন্ত। তিনি তখন বাবাকে বলেছিলেন, আপনারা শুরু করুন, আই উইল জয়। কিন্তু সে সৌভাগ্য আমাদের আর হয়নি। পরে মা ও বাবাকে নিয়ে সেটা করলাম। এটা নিতান্তই পাঠাভিনয়।’
ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, ‘এখনও সুস্থ শরীরে মঞ্চে অভিনয় করে যেতে পারছি এটাই অনেক আনন্দের। দর্শক আগ্রহ নিয়ে নাটক দেখতে আসছেন, এই তো প্রাপ্তি আমাদের। আমরা এ নাটকের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ মিশিয়েছি। যদিও পাঠাভিনয়, তবু তার সঙ্গে মিউজিকসহ অনেক কিছু যুক্ত হয়েছে।’