× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শুভ জন্মদিন

স্মৃতিতে সবুজ হ‍ুমায়ূন আহমেদ

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৩৫ এএম

আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:১৭ পিএম

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হ‍ুমায়ূন আহমেদ। ফাইল ছবি

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হ‍ুমায়ূন আহমেদ। ফাইল ছবি

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হ‍ুমায়ূন আহমেদ। কলম হাতে তিনি লেখার জাদুকর। বাংলা সাহিত্যে শরৎচন্দ্রের পর গল্প বলার এত ক্ষমতা কম লেখকের মধ্যেই দেখা গেছে। তিন শতাধিক গ্রন্থে নতুন নতুন গল্প বুনন করে গেছেন তিনি। কয়েক প্রজন্মের তরুণ পাঠককে তিনি বই পাঠের প্রতি তীব্রভাবে আকুল করতে পেরেছিলেন। তার নানা উক্তি প্রজন্মের পর প্রজন্ম গ্রহণ করেছে জীবনের নানা বোধ প্রকাশ চর্চার জন্য।একজন নাটক চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেও তিনি অনন্য, কালজয়ী হয়ে আছেন। হিমু, বাকের ভাই, শুভ্র, রুপা তার অনন্য সৃষ্ট চরিত্র। যারা নাটকের হাত ধরেও তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। মোনা, বদি, ছোট চাচা, বড় মামা, মাজেদা খালা, আনিসসহ অনেক চরিত্র এখনও জনপ্রিয় এদেশের পাঠক দর্শকের কাছে। তার লেখা অনেক গানও জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

আজ তার ৭৬তম জন্মদিন। এদিনে তাকে স্মরণ করেছেন তার প্রিয় মানুষরা। যারা তার সান্নিধ্য পেয়েছেন, তার সঙ্গে কাজ করে আলোকিত হয়েছেন। লিখেছেন মহিউদ্দিন মাহি

 

হ‍ুমায়ূন আহমেদ ছিলেন সত্যিকারের গল্পকারআসাদুজ্জামান নূর


হ‍ুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল দীর্ঘদিনের। আমাদের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক ছিল। তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বন্ধুত্ব অটুট ছিল। মান-অভিমান যে হয়নি তা নয়। অনেকবার হয়েছে। হ‍ুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে মান-অভিমান হয়েছে, ঝগড়া হয়েছে, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে সব ভুলে গেছি আমরা। তার রাগ যেমন ছিল আবার ঠান্ডা হতেও সময় লাগত না। একবার শুটিং করতে গেছি। আমার ছোট একটি দৃশ্য আছে। শুটিং স্পটে দুপুরে পৌঁছে যাই। কিন্তু দুপুর শেষ করে সন্ধ্যা নামে। আমার কাজটুকু আর হয় না। এভাবে সারা দিন কেটে যায়। একসময় আমি বলি কাজটুকু শেষ করে দিতে। হ‍ুমায়ূন কাজে ডুবে ছিলেন। আমার শুটিং না হওয়ায় বিরক্ত হই। তিনিও বিরক্ত হয়ে বলেন, যান আপনাকে লাগবে না। এরপর কোনো কথা না বলে আমিও চলে আসি। মাঝরাতে দলবল নিয়ে হ‍ুমায়ূন আহমেদ আমার বাসায় হাজির। আমার স্ত্রীকে রান্না করতে বলেন। শুরু হয় তুমুল আড্ডা। দিনের বেলায় মান-অভিমানের কথা কারও মনে নেই। এই রকম শিশুর মতো সরল ছিলেন হ‍ুমায়ূন আহমেদ। মান-অভিমান হতে সময় লাগত না, সেটা কেটে যেতেও সময় লাগত না।

হ‍ুমায়ূন আহমেদ ছিলেন সত্যিকারের গল্পকার। গল্প বলা মানুষ ছিলেন। খাঁটি গল্প বলা মানুষ যাকে বলে। তার গল্পে জটিলতা মারপ্যাঁচ কম থাকত। সংলাপ লিখতেন সরলভাবে। খুব সহজ করে সংলাপ লিখতেন। অথচ কী আশ্চর্য! সেই সব দারুণ দারুণ সংলাপ মানুষের মুখে মুখে ফিরত। এখানেই ছিল তার গল্প বলার জাদু। এখানেই অনন্য তিনি।

 

হ‍ুমায়ূন আহমেদ আমার কাছে আফসোসের নাম: রিয়াজ আহমেদ


আজ স্যারের ৭৬তম জন্মদিন। তিনি বেঁচে থাকলে দিনটি হয়তো তার সঙ্গেই কাটাতাম। জানাতামা হৃদয় থেকে ভালোবাসা। যেহেতু তিনি আমাদের মাঝে নেই। তারপরও তিনি তার নির্মাণ অর্জন দিয়ে আমাদের হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন। আমি স্যারের অসংখ্য জনপ্রিয় কালজয়ী নাটকে অভিনয় করেছি। দুই দুয়ারী দারুচিনি দ্বীপ সিনেমায় অভিনয় করে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। স্যার আমার অভিনয়ের ধরনকে বদলে দিয়েছিলেন। সব শ্রেণির মানুষের কাছে তিনি আমাকে নায়ক বানিয়েছেন। তাকে নিয়ে আমি গণমাধ্যমে নিজের মতমত জানিয়েছি হাজারবার। এবার শুধু একটি কথাই বলতে চাই, তার মৃত্যু নিয়ে আমার এখন শুধুই আফসোস হয়। কারণ তার চলে যাওয়ার পর থেকে দেশের নির্মাণে তেমন কোনো কাজ আসেনি, যাতে করে আমরা বলতে পারব যে, না আরেকজন হ‍ুমায়ূন আহমেদকে আমরা পেয়েছি। তার ধারে কাছেও এখন পর্যন্ত কেউ যেতে পারেনি। আর ভবিষ্যতে পারবে বলেও আমার মনে হয় না। তার নতুন নতুন গল্প-উপন্যাস মিস করেন পাঠকরা। বইমেলা এলেই সেই আফসোস হাহাকার আমরা দেখতে পাই। লেখক কিংবা নির্মাতা হ‍ুমায়ূন আহমেদের এই শূন্যতা সব সময় আমাকে ব্যথিত করে। আমি অভিভাবক হ‍ুমায়ূন আহমেদকেও মিস করি।

 

তিনি আমার জন্য একটা আশীর্বাদ: ফারুক আহমেদ


জনপ্রিয় ধারাবাহিকউড়ে যায় বকপক্ষী’। এই নাটকে বিখ্যাত ঢোলবাদক তৈয়ব নামে একটি চরিত্রে আমি অভিনয় করেছিলাম। সেই চরিত্র এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, পরে সবাই আমার এই নামটিকেই বেশি ব্যবহার করতেন। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব সহকর্মীরা মজা করে জিজ্ঞেস করতেন ‘ তৈয়ব, খবর কী?’ এখনও অনেকে দুষ্টামি করে। আর দর্শক-ভক্তদের সঙ্গে দেখা হলে তারা এখনও তৈয়ব ভাই বলে ডাকে। এই চরিত্রের অনেক সংলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এ ছাড়া স্যারের অনেক নাটকে কাজ করেছি যেগুলোর চরিত্র খুবই জনপ্রিয়। যেমন আজ রবিবার নাটকের মতি ভাই চরিত্রটি।

হ‍ুমায়ূন আহমেদ স্যার আমার জন্য একটা আশীর্বাদ ছিলেন। আমি আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তার লেখা নির্দেশনায় কাজ করেছি। তিনি আমাকে সব সময় তার পছন্দের চরিত্রটি দিতেন। আমি কখনও তার সঙ্গে কাজ করে ক্লান্ত হইনি। জীবনের অনেকটা সময় তার সঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছি। বলতে গেলে পরিবারের থেকে বেশি সময় হ‍ুমায়ূন স্যারের শুটিং সেটে কাটিয়েছি।

উনার সঙ্গে স্মৃতির শেষ নেই। কোনটা রেখে কোনটা বলব। শুধু এটুকুই বলব যে, তাকে হারানোর যে স্মৃতি, সেটি আজীবনেও ভোলা হবে না আমার। তবে অসুস্থ হওয়ার পর যখনই স্যারের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম, তিনি একটা কথাই বলতেনÑ ‘ফারুক আর কিছুদিন বেঁচে থেকে যেতে পারলে ভালো হতো। জীবন আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। শেষবেলায় এসে খুব জানতে ইচ্ছে করছে, আমি জীবনকে কী দিলাম।’

 

খুব ভরসা করতেন আমাকে : ডা. এজাজ

আমার অভিনয়ে পদার্পণের বিষয়টি সবারই কমবেশি জানা। তবে অভিনয় শুরু করার পর প্রথম দিকে আমি খুব ভয় পেতাম। এমন গুণিজনের সামনে কীভাবে নিজেকে প্রমাণ করব, সেই বিষয়টি সব সময় আমাকে আলাদা করে চিন্তিত করে তুলত। তবে শুরু থেকেই তার বুদ্ধিদীপ্ত নির্দেশনা আদরে নিজেকে অল্প দিনের মধ্যেই প্রমাণ করে ফেললাম। তিনি আমার ওপর আস্থা রাখতে শুরু করলেন। খুব ভরসা করতেন আমাকে। এরপর অভিনয়ের পাশাপাশি প্রোডাকশনের সবার দায়িত্ব আমার ওপর ছেড়ে দিলেন। সবাই কী খাবে, কীভাবে ঘুমাবে সব আমি দেখাশোনা করতাম। কাজের মাধ্যমে স্যারকে আমি কতটা সন্তুষ্ট করতে পেরেছি, সেটি আমি জানি না। তবে একটা ঘটনা বলি। আমরাশ্যামল ছায়া’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলাম। চলচ্চিত্রের নির্মাতার চেয়ারে স্যার বসা। একটি দৃশ্য আছে, যেখানে আমি এবং অভিনেতা ফারুক আহমেদ দুজন দেশ স্বাধীনের সংবাদ শুনতে পাই। এরপর নৌকা থেকে পাড়ে তাকিয়ে দেখি আমাদের দেশের জাতীয় পতাকা ওড়ছে। লাল-সবুজের পতাকা দেখে আমরা দুজন স্যালুট দেই। এরপর দৃশ্য শেষ হওয়ার পর দেখি স্যারের চোখের দুইপাশ দিয়ে পানি পড়ছে, যা দেখে আমরা ইউনিটের সবাই ইমোশনাল হয়ে যাই। পরে রাতের বেলা স্যার আমাকে ডেকে বলেন, ‘ডাক্তার ভালো করেছ। তোমার অভিনয় দেখে মনে হচ্ছিল আসলেই মুক্তিযুদ্ধের ময়দানে আছি।

 

স্যার ছিলেন ক্রিকেটপাগল মানুষ : স্বাধীন খসরু

 হ‍ুমায়ূন আহমেদ আমার কাছে একজন পিতৃতুল্য মানুষ ছিলেন। তিনি আমার গুরু। উনি আমার শিক্ষক, বন্ধু, অতঃপর একজন ভালো সঙ্গী। তার সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। উনাকে আমি ভাই ডাকতাম। তার সৃষ্টিকর্ম নিয়ে কথা বলার সাধ্য আমার নেই। প্রতিনিয়ত আমি তার কাছ থেকে শিখেছি। তার সঙ্গেদখিন হাওয়া’তে থাকার স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বলে। আড্ডায় তিনি ছিলেন মধ্যমণি। আমার দেখা একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক তিনি। দেশের স্বাধীনতার পক্ষে কিংবা কোনো সংকটে তার কলামে বিষয়গুলো ওঠে আসত।

একবার শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম হলের নামকরণ নিয়ে অনেক ঝামেলা চলছিল। সেসময় পুলিশ তাকে প্রটোকল ছাড়া সেখানে যেতে বারণ করেছিল। কিন্তু তিনি দলবল নিয়ে সিলেট চলে যান এবং অনশন করেছিলেন।

তিনি ছিলেন ক্রিকেটপাগল। এমনিতে তিনি ক্রিকেট খুব একটা বুঝতেন না। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থেকে কোনো খেলা মিস করতেন না। এক দিন কাপাসিয়ায়শ্যামল ছায়া’ ছবির শুটিং সেটে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন বাংলাদেশের খেলা কবে? আগামীকাল খেলা হওয়ার কথা জানতে পেরে তিনি শুটিং বন্ধ করে দিলেন। বললেন, শুটিং বন্ধ থাকলেও কেউ ঢাকা যেতে পারবে না। কারণ তিনি সবার সঙ্গে একসঙ্গে নুহাশপল্লীতে ওইদিন খেলা দেখবেন। আরেকবার সুইজারল্যান্ডে শুটিংয়ে গিয়েছিলাম। ওই সময় বাংলাদেশের সিরিজ চলছিল ইংল্যান্ডের মাটিতে। আশরাফুলের সেঞ্চুরি করা ম্যাচটি যাত্রাপথে থাকার কারণে দেখতে পেলাম না। হ‍ুমায়ূন ভাই তখন অনেক আফসোস করছিলেন। পরে সুইজারল্যান্ডে যেখানে ছিলাম সেখানে ক্রিকেট খেলা দেখার ব্যবস্থা ছিল না। সেদিন আবারও বাংলাদেশের ম্যাচ ছিল। সেদিন প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূর পাড়ি দিয়ে আমরা জুরিখে পৌঁছলাম। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছিলাম। কিন্তু সবাই সেখানে ফুটবল খেলা দেখায় ব্যস্ত। পরে একটি অস্ট্রেলিয়ান পাবে গিয়ে হ‍ুমায়ূন ভাই অনেক অনুরোধ করলেন বাংলাদেশের খেলা দেখার ব্যবস্থা করতে। তার কথায় গলে গিয়ে পাব মালিক খেলা দেখার ব্যবস্থা করেন।

তিনি এখন আমাদের মাঝে নেই, তবে তার শূন্যতা প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়ায় আমাদের। তার প্রতিটি সৃষ্টিকর্ম আজীবন বাংলা সাহিত্যে বেঁচে থাকবে। এখনও বৃষ্টি পড়লে তার কথা মনে পড়ে। আসলে তিনি তো প্রকৃতিতে এখনও বেঁচে আছেন। এমন মানবিক মানুষকে কেউ ভালো না বেসে থাকতে পারে!

 

স্যারের শিক্ষা আমাকে আজীবন অনুপ্রাণিত করবে : জাকিয়া বারী মম

স্যারকে ব্যাখ্যা করার মতো কোনো শব্দ আমার কাছে নেই। তিনি তার নিজের ব্যাখ্যা, লেখালেখি কাজের মাধ্যমে দিয়ে গেছেন। তাকে ধারণ করে আমরা ভবিষ্যতের দিকে কতটা এগোতে পারছি, সেটাই হচ্ছে আসল বিষয়। কারণ শুধু বাংলাদেশে নয়, তার মতো একজন কিংবদন্তি এই উপমহাদেশে এখনও আসেনি আর ভবিষ্যতেও আসবে বলে আমার জানা নেই। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

২০০৭ সালে স্যারের গল্পে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আমার সিনেমা জগতে পদার্পণ হয়। প্রথম সিনেমা দিয়েই আমি সেরা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়লাভ করি; যা ছিল আমার জীবনের স্মরণীয় একটি ঘটনা। এই সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে স্যারের সঙ্গে আমার অনেকটা সময় আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়। তার সঙ্গে আড্ডা দিয়ে যেই শিক্ষা আমি গ্রহণ করেছি, তা আমাকে আজীবন অনুপ্রাণিত করবে। স্যারের অকালমৃত্যুতে আমাদের যেমন হৃদয় কাঁদে, তেমনই তার জন্মও আমাদের গর্বিত করেছে। আমি সেটাকেই উপভোগ করি।

 

তাকে নিয়ে আরও চর্চা হওয়া উচিত: ফেরদৌস আহমেদ


হ‍ুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে অনন্তকাল বললেও তার মেধা, প্রতিভা, গ্রহণযোগ্যতা কিংবা তার সঙ্গে কাটানো সময়ের স্মৃতিচারণ করে শেষ করা যাবে না। তিনি আমার অনেক চিন্তাকে প্রভাবিত করেছেন। আমাকে অনেক বদলে দিয়েছেন মননে। আমি মনে করি তাকে নিয়ে আরও চর্চা হওয়া উচিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বইমেলায় অটোগ্রাফ নিতে গিয়েছিলাম। ওই সময়ই স্যারকে প্রথম দেখা। তবে আগুনের পরশমণি সিনেমার শুটিংয়ের সময় পরিচয় হয়। ফিল্ম সোসাইটি করতাম তো, তাই এফডিসিতে গিয়েছিলাম সেদিন। নৃত্যপরিচালক আমির হোসেন বাবু ভাই পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন স্যারের সঙ্গে। এরপর উনার সঙ্গে আমার কাজের সুযোগ হয়। এটা আমার জন্য গর্বের। নুহাশপল্লীতেচন্দ্রকথা’ সিনেমার জন্য প্রথম আমি স্যারের সঙ্গে কাজ করি। এখানে আসার পর ভূত নিয়ে অনেক গল্প শুনেছি। প্রথম দিন আমি বাথরুমে বেসিনে গিয়ে দেখতে পেলাম, মানুষের দাঁত খুলে রাখা। দেখেই চিৎকার করে উঠলাম। স্যার বললেন, ফেরদৌস, ভূত নাকি? পরে আস্তে আস্তে জানতে পারলাম, যখনই ভূতের ভয় দেখানোর ব্যাপারগুলো ঘটত, তখন স্যার কাছাকাছি থাকতেন না। স্যার নিজেই এসব ঘটাতেন। আনন্দ দেওয়ার জন্যই এমনটা করতেন বলে শুনেছি। প্রায় এক যুগ ধরে এই শিশুসুলভ মানুষটি শুয়ে আছেন নুহাশপল্লীতে। নুহাশপল্লীতে পা রাখলেই আমার মনে হয়, এখানে স্যার আছেন। হুট করে আমাকে ডাক দিয়ে বললেন, ফেরদৌস, এবার ঠিকঠাক শটটা দাও তো।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা