প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ২১:১৪ পিএম
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৮ পিএম
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রবা ফটো
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আজ বিকাল ৫টায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন চলচ্চিত্রের নন্দিত জুটি ফেরদৌস ও পূর্ণিমা।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এবার চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অভিনেতা খসরু (বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম খান খসরু) ও অভিনেত্রী রোজিনা (রওশন আর রোজিনা)। নায়িকা রোজিনা নিজের হাতে পুরস্কার গ্রহণ করলেও দেশের বাইরে থাকায় খসরুর পুরস্কার নেন অভিনেতা আলমগীর।
এরপর একে একে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায় পুরস্কার গ্রহণ করেন শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সভাপতিত্ব করেন৷ তিনি তার বক্তব্যে, দেশে সাংস্কৃতিক বিপ্লব জরুরি বলে দাবি করেন। তার আগে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্যসচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
পুরস্কার বিতরণ শেষে সন্ধ্যা ৭টায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি 'মুজিব : একটি জাতির রূপকার' চলচ্চিত্রের পরিচালক ও কলাকুশলীদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি সময় পেলে চলচ্চিত্র উপভোগ করেন বলেও জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শেষে পরিবেশন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পারফর্ম করেছেন সাদিয়া ইসলাম মৌ, নুসরাত ফারিয়া, মাহিয়া মাহি ও তমা মির্জার একক নাচ। আরও ছিল সাইমন সাদিক-দীঘি, আদর আজাদ-পূজা চেরী, সোহানা সাবা-গাজী নূর ও জায়েদ খান-আঁচল, অপু বিশ্বাস ও তমা মির্জার দ্বৈত নাচ। সংগীত পরিবেশন করেন বালাম, কোনাল, সাব্বির, লিজা।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে নাচের কোরিওগ্রাফি করছেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ।
এবার আজীবন সম্মাননাসহ মোট ২৭টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে, এবার পুরস্কারের সংখ্যা ৩২টি। এবারের আসরে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে মুহাম্মদ কাইউমের ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ এবং রায়হান রাফীর ‘পরাণ’। ‘শিমু’র জন্য শ্রেষ্ঠ নির্মাতার পুরস্কার পেলেন রুবাইয়াত হোসেন। চঞ্চল চৌধুরী হাওয়া (বাতাস) চলচ্চিত্রে তার প্রধান ভূমিকার জন্য সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হন, যেখানে সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কার ২০২২ যৌথভাবে জয়া আহসান চলচ্চিত্র ‘দ্য বিউটি সার্কাস’এবং রিকিতা নন্দিনী শিমু চলচ্চিত্র ‘শিমু’র জন্য পেয়েছেন।
পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন মো. নাসির উদ্দিন খান ‘পরাণ’ সিনেমার জন্য এবং আফসানা করিম মিমি ওরফে আফসানা মিমি ‘পাপ পুণ্য (ভাইস অ্যান্ড ভার্চু)’ সিনেমার জন্য সেরা সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন।
শুভাশিস ভৌমিক ‘দেশান্তর’ সিনেমার জন্য নেতিবাচক চরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান। ‘রোহিঙ্গা’ ও ‘বিরোত্তো’ সিনেমার জন্য যৌথভাবে সেরা শিশুশিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন বৃষ্টি আক্তার ও মুনতাহা আমেলিয়া। ‘পেয়ার চাঁপ’ সিনেমার একটি গানের জন্য সেরা সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন রিপন খান (মাহমুদুল ইসলাম খান)।
‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার ‘ই মন ভিজে যা’ গানের জন্য যৌথভাবে বাপ্পা মজুমদার এবং ‘হৃদিতা’ সিনেমায় ঠিকানা বিহীন তোমাকে গানের জন্য চন্দন সিনহা যৌথভাবে সেরা গায়কের পুরস্কার পান।
আতিয়া আনিশা পেয়ার চাঁপ সিনেমার ‘এই শোহরের পথে’ গানটির জন্য সেরা গায়িকা পুরস্কার পেয়েছেন। প্রামাণ্যচিত্র বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঘোরে ফেরা’শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কৃত হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- রবিউল ইসলাম জীবন (সেরা গীতিকার), শওকত আলী ইমন (সেরা সুরকার), ফরিদুর রেজা সাগর (গল্প), খোরশেদ আলম খসরু (গল্প), মুহাম্মদ কাইয়ুম (চিত্রনাট্যকার), এস এ হক অলিক (সংলাপ), সুজন। মাহমুদ (সম্পাদক), হিমাদ্রি বড়ুয়া (সেরা শিল্প নির্দেশনা), ফারজিনা আক্তার (সেরা শিশু শিল্পী বিভাগে বিশেষ পুরস্কার), রিপন নাথ (সাউন্ড ডিজাইনার), তানসিনা শাওন (কস্টিউম) এবং মো খোকন মোল্লা (মেকআপ)।