প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:১৪ এএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৯ এএম
বাংলাদেশে কারাতে বলতেই আমরা বুঝি চিত্রনায়ক মাসুম পারভেজ রুবেলের নাম। তিনি তার অভিনীত প্রতিটি সিনেমায় কারাতেকে এত শৈল্পিক এবং নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করেছেন যে, পরে অনেকেই কারাতে শিখতেও উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। সিনেমার রুপালি পর্দায় রুবেলকে প্রথম অ্যাকশন নায়ক হিসেবে কারাতে উপস্থাপন করতে দেখা যায় প্রয়াত শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লড়াকু’ সিনেমায়। সিনেমাটি ১৯৮৬ সালের ১৮ আগস্ট মুক্তি পায়। এতে রুবেলের বিপরীতে নায়িকা ছিলেন পাপড়ি। এরপর রুবেল বহু দর্শকপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
সিনেমায় অভিনয় করলেও ৩৮ বছর ধরে রুবেল কারাতের শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। তার কারাতে শিক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘দ্য ফাইট স্কুল’ থেকেই তিনি কারাতে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। আগে রাজধানীর টিঅ্যান্ডটিতে প্রশিক্ষণ দিতেন। ২৩ বছর ধরে তিনি রাজধানীর ৪ ইস্কাটন গার্ডেন রোডের মাঠে কারাতে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। কেন কারাতে শেখা জরুরিÑ এ প্রসঙ্গে রুবেল বলেন, ‘ঢাকা শহরে কিছু স্থানে কারাতে শেখানো হয় যেখানে ভর্তি ফি অনেক বেশি। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের কারাতে শেখা সম্ভব না। আমার স্কুলে সবাই কারাতে শিখতে পারেন। সেদিন একজন রিকশাওয়ালা ভাই আসছিলেন, তার ছেলে কারাতে শেখার আগ্রহ প্রকাশ করে। আমি বলেছি, আপনার ছেলের কোনো টাকা লাগবে না। আমি যদি এতটুকুই না করতে পারি, তাহলে ক্যামেরার সামনে বড় বড় কথা বলে কী লাভ। কারাতে শেখাতে গিয়ে আমি সমাজের বিশেষ কোনো ক্লাস মেইনটেইন করি না। কারাতে সবার জন্য। আমি বাংলাদেশের ঘরে ঘরে কারাতে পৌঁছে দিতে চাই। আর প্রত্যেক বাবা-মাই চান তার সন্তান সুস্থ থাকুক। এজন্য তাকে নিয়মিত ব্যায়ামে থাকাটা জরুরি। কারাতে যদি নিয়মিত করে কেউ, সে সুস্থ থাকবে। আর কারাতে প্রচণ্ডভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। মাঝেমধ্যে আমরা এমন কিছু পরিস্থিতির মুখোমুখি হই, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে কারাতের বিকল্প নেই। কারাতে কখনও কোনো অপরাধজনিত কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে দেয় না। বরং অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শেখায়। যে কারণে কারাতে শেখা জরুরি।’
এদিকে রুবেল কিছুদিন আগে শেষ করেছেন মিজানুর রহমান শামীমের পরিচালনায় ‘বীর বাঙ্গালী’ সিনেমার কাজ। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে একই পরিচালকের ‘হায়েনা’ সিনেমার কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন এই চিত্রনায়ক।