প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৩ পিএম
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪০ পিএম
এ প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। সদা হাস্যোজ্জ্বল, সাবলীল অভিনয়, মোহনীয় রূপমাধুর্যে এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন অসংখ্য দশর্কের হৃদয়ে। অভিনয়ে যেমন পটু, নাচেও বেশ পারদর্শী। পাশাপাশি উপস্থাপনায়ও সাবলীল। প্রায় ১৩ বছরের ক্যারিয়ার তার। এর মধ্যে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় নাটক ও টেলিছবি।
এর বাইরে ওয়েব কিংবা সিনেমায়ও দেখা গেছে এ লাক্সসুন্দরীকে। বিয়ের পর বিরতি নিয়েছিলেন। এরপর আবার কাজে ফেরেন; তবে নিয়মিত হননি। নতুন বছরে পরিকল্পনা করছেন নিয়মিত হবেন অভিনয়ে।
মুমতাহিনা টয়া বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে পেরেছি, এটা আমাকে আনন্দ দেয়। আমার পুরো ক্যারিয়ারে এ রকম অনেক কাজই আছে যেগুলো দর্শকের প্রশংসিত। এখনও অনেকের কাছ থেকে মন্তব্য কিংবা মেসেজ পাই সে কাজগুলো নিয়ে। সেই ভালোবাসার টানেই আমি সব সময় নিয়মিত থাকার চেষ্টা করেছি। মাঝে বলতে পারেন একটা লম্বা বিরতি নিয়েছিলাম। এরপর অল্প কিছু কাজ করলেও সেভাবে নিয়মিত হতে পারছিলাম না। পরিবার এবং অন্যান্য কাজ নিয়ে নিজের কিছু ব্যস্ততা ছিল। তা ছাড়া আমি যে সময়টায় বিরতি নিয়েছিলাম তখন ভালো গল্প কিংবা স্ক্রিপ্ট পাচ্ছিলাম না। তাই ভাবলাম একটু বিরতি নিই। যে ধরনের কাজ সব সময় করে আসছিলাম ঠিক সেসবই আসছিল আমার কাছে। বিরতিটা একদম নিজের ইচ্ছাতে নেওয়া, অন্য কোনো কারণ এখানে নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর নিয়মিত কাজ করব। পরিকল্পনা করেছি। কিছু কাজ নিয়ে কথা হচ্ছে। শিগগিরই শুরু করব। দীর্ঘদিন ধরে এখানে আছি, এখান থেকে অনেকের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। দর্শকেরও আমাদের প্রতি অনেক প্রত্যাশা থাকে। অনেকেই জিজ্ঞেস করেন কেন কাজ করছি না! কবে দেখতে পাবÑ এ রকম নানা প্রশ্ন। আর বিরতি নেব না, এখন অভিনয়ে সময় দেব।’
টয়ার বাবা ব্যবসায়ী, মা স্কুলশিক্ষক। দাদাবাড়ি নোয়াখালী হলেও সেখানে খুব বেশি থাকা বা যাওয়া হয়নি। এখন যেকোনো উৎসব বা পারিবারিক অনুষ্ঠানের সূত্রে যাওয়া হয়। কিন্তু বেড়ে ওঠা, কিশোরবেলা সবটুকুই কেটেছে রাঙামাটির প্রকৃতির সঙ্গে। পাহাড়ের ওপর তাদের একটা সুন্দর বাড়ি। এখনও পরিবারের সবাই মিলে মাঝেমধ্যে সেখানে বেড়াতে যান। ২০১১ সালের শুরুতে লাক্স সুপারস্টার হিসেবে শোবিজে পথচলা তার। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি সায়েদ জামান শাওনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। শাওন পেশায় কেবিন ক্রু ও অভিনেতা। তার সঙ্গে পাঁচ-ছয় বছরের পরিচয় ছিল টয়ার। চিরকুট নামে একটি শর্টফিল্ম করতে গিয়ে দুজনের বন্ধুত্ব হয়। তারপর ধীরে ধীরে প্রেম, পরিণয়। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় বিয়ে করেন। কাজে একটু বিরতি আসে। তবে হারিয়ে যাননি অন্য অনেকের মতো। প্রতিবারই জানান দিয়েছেন তিনি আছেন। মুমতাহিনা টয়ার ভাষ্যে, ‘আমি কিন্তু হারিয়ে যাইনি। ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছিল যে আমার একটু বিরতি দরকার, তা নিয়েছি। অভিনয় একটু কমিয়েছিলাম। এ ছাড়া যেকোনো অনুষ্ঠান কিংবা প্রয়োজনে আমাকে কিন্তু পাওয়া যায়। যেহেতু স্বামী, সংসার আছে সবকিছু সামলে নিজেকেও কিছুটা সময় দিতে হয়।’
নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতেও সরব হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন টয়া। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন সুযোগ পেলে বড়পর্দায়ও হাজির হতে চান। ভালো গল্প এবং পরিচালক হলে ‘হ্যাঁ’ বলতে দ্বিতীয়বার ভাববেন না বেঙ্গল বিউটি সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হওয়া টয়া।