প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৫:২১ পিএম
ঈদেই আসছে চঞ্চল-জেফারের মনোগামী
একের পর এক চমক নিয়ে ‘মনোগামী’
নামে সিনেমার কাজটি শুরু করেছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। প্রথমত, দেশের একটি ওটিটি
প্ল্যাটফর্ম থেকে ভালোবাসা মন্ত্রণালয় চালু করেছিলেন তিনি। সেখান থেকে ভালোবাসার নানামাত্রিক
গল্পের কিছু সিনেমার ঘোষণা আসে। এর মধ্যে নিজেই দুটি সিনেমা দখলে রাখেন। তার একটি মুক্তি
পেয়েছে গেল বছর। সেটি ছিল ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। এতে ফারুকীর নিজের জীবনের
গল্প বলেছেন তিনি। পরিচালনার পাশাপাশি প্রথমবার তিনি অভিনয়ও করেছেন এ সিনেমার হাত ধরে।
খুব একটা আলোচনা বা সাফল্য পায়নি সিনেমাটি।
সেই লাভ মিনিস্ট্রি প্রকল্পে ফারুকী
পরিচালিত আরেক সিনেমা ‘মনোগামী’। যেখানে প্রথম চমক ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। দীর্ঘদিন পর
এই সিনেমা দিয়ে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা আসে ফারুকী ও চঞ্চলের। সেটি অবশ্যই এ দেশের
দর্শকের জন্য দারুণ একটি খবর। এরপর জানা যায় সিনেমাটিতে চঞ্চলের বিপরীতে অভিনয় করছেন
সংগীতশিল্পী জেফার রহমান। তরুণ প্রজন্মের কাছে আলোচিত এই গায়িকার অভিনয়ে হাতেখড়ি বলা
চলে এ সিনেমা দিয়েই।
শুটিং তো শেষ হয়েছে আগেই। অপেক্ষা
ছিল এটি কবে মুক্তি পাবে? অবশেষে এলো সেই ঘোষণা। ফারুকী নিজে নিশ্চিত করলেন, আসছে ঈদেই
দেখা যাবে ‘মনোগামী’।
এর আগে গেল বছরের আগস্টে সিনেমার
শুটিংয়ের কিছু ছবি পোস্ট করে ফারুকী বিস্তারিত জানিয়েছিলেন এর প্রসঙ্গে। তিনি লিখেছিলেন,
‘আমার দর্শকরা অনেক দিন ধরে দুইটা অভিযোগ-অনুযোগ করতেছিল আমার কাছে। একটা হলো- প্রেমের
বা নারী-পুরুষের সম্পর্কের গল্প করছেন না অনেক দিন। দুই আপনার হিউমার আর স্যাটায়ার
মিস করতেছি। এটা নিয়ে আমি নিজেও আমার ভেতরে এক ধরনের ক্ষুধা টের পাচ্ছিলাম। মিনিস্ট্রি
অব লাভ প্রজেক্টটা আমার সেই ক্ষুধার একটা অংশ মেটাচ্ছে। মনোগামী (ওরফে লাস্ট ডিফেন্ডারস
অব মনোগামী) আর অটোবায়োগ্রাফি (ওরফে সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি) এই প্রজেক্টের
ব্যানারে আমার বানানো দুটি ছবি। আজকে প্রকাশ করা হলো মনোগামীর মূল পাত্র-পাত্রী আর
তাদের লুক। চঞ্চল ভাইয়ের সঙ্গে অনেক দিন পর কাজ করা হচ্ছে। আর জেফারের এটা প্রথম অভিনয়।
সঙ্গে আছেন আরেক ডেব্যুটেন্ট প্রেমা। এই ছবির গল্পটা আমাদের মনের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ায়।
ফলে গল্পটা উইট, ইমোশন আর কখনও ট্র্যাজিডির রঙ ধারণ করে, অনেকটা আমাদের জীবনের মতোই!
চঞ্চল ভাই তার দুর্দান্ত কারিশমা দিয়ে এই বিচিত্র মুহূর্তগুলাকে জলবৎ তরলং করে দিয়েছেন।
জেফার তো গানের লোক। কিন্তু সমান তালে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছে সে। একই কথা প্রেমার ক্ষেত্রেও
বলতে চাই। অভিনয়শিল্পীরা যখন তাদের পিকে থাকেন, তখনই আমি সবচেয়ে ভালো থাকি।’
এবার ঈদে বড়পর্দায় মুক্তি পেতে
চলেছে রাজকুমার, দেয়ালের দেশ, ওমরের মতো বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা। আর ওটিটির দর্শকদের
জন্য বড় ধামাকা হয়ে আসতে চলেছে ‘মনোগামী’। ছবিটি নিয়ে আশাবাদী চঞ্চল চৌধুরীও। তিনি
বলেন, ‘আমি ওটিটির সব দর্শককে আমন্ত্রণ জানাই ঈদ উৎসবে চরকিতে মনোগামী উপভোগ করার জন্য।
গল্প ও নির্মাণে কাজটি দর্শককে মুগ্ধ করবে, সম্পর্ক নিয়ে ভাবাবে বলে আমার বিশ্বাস।’
কোঁকড়ানো-ঝাঁকড়া চুলে, পাশ্চাত্যের
পোশাকে এক উচ্ছল তরুণীর প্রতিশব্দ ছিলেন জেফার। মনোগামী সিনেমায় লামিয়া চরিত্রে খোলা
চুলে, শাড়িতে বাঙালি বেশভূষায় পাওয়া যাবে তাকে। সিনেমার দৃশ্যধারণ শেষ হলেও সেই বেশভূষাকে
ব্যক্তিগত জীবনেও ধারণ করেছেন তিনি। যেখানেই যান সেখানেই খোলা চুলে, শাড়ি, হাতকাটা
ব্লাউজে, কানে ঝুমকায় স্নিগ্ধ সাজে ধরা দেন তিনি। সিনেমার দৃশ্যধারণের সময় দিনের পর
দিন চুল খোলা রাখতে রাখতে মানিয়ে নিয়েছেন জেফার। পরে এই লুকেই থিতু হয়েছেন। জেফারের
ভাষ্যে, ‘অনেকেই আমাকে দেখে চিনতেই পারেন না, এটা খুব উপভোগ করছি।’
সিনেমাটি নিয়ে বেশ আশাবাদী জেফার।
এতে অভিনয়ের পাশাপাশি একটি গানও লিখেছেন জেফার। নিজের সুরে গানে কণ্ঠও দিয়েছেন তিনি।