আলাপন
লিমন আহমেদ
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪০ পিএম
জায়েদ খান।
জায়েদ খান। নামই যথেষ্ট
তার জনপ্রিয়তার পরিমাপ করতে। আসছে রোজার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা
সোনার চর। পরিচালনার পাশাপাশি এর কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন জাহিদ হাসান।
জায়েদ খানের বিপরীতে এ ছবিতে অভিনয় করেছেন নবীন চিত্রনায়িকা জান্নাতুল
স্নিগ্ধা। সিনেমার বিশেষ দুই চরিত্রে আছেন মৌসুমী ও ওমর সানী। বহুল আলোচিত এ
সিনেমার আদ্যোপান্ত এবং সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন প্রতিদিনের
বাংলাদেশের সঙ্গে। লিখেছেন লিমন আহমেদ
অবশেষে আসছে সোনার চর। কেমন লাগছে?
নিঃসন্দেহে দারুণ একটা
অনুভূতি হচ্ছে। এটা বলে বোঝানো যাবে না। প্রথমত, অনেকদিন পর একটা সিনেমা আসছে
আমার। দ্বিতীয়ত, ঈদের যে মহোৎসব শুরু হয়েছে সেখানে আছে আমার অভিনীত সিনেমাটিÑ এটা
ভালো লাগছে। তারপর সিনেমাটি নিয়ে অনেকদিন ধরেই মানুষের আগ্রহ ছিল, আলোচনা চলেছে।
অবশেষে সোনার চর মুক্তি পাচ্ছে এজন্য আমি খুবই আনন্দিত। আমি এ সিনেমার প্রযোজক ও
পরিচালককে ধন্যবাদ জানাই ঈদে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।
এই ছবিটি নিয়ে অনেক ট্রল হয়েছে। এটাকে সিনেমাটির জন্য কীভাবে দেখছেন আপনি?
আমি মনে করি সবটাই
প্রচারণা। সোনার চরের মতো তার সমসাময়িক আর কোনো সিনেমা নিয়ে এত আলোচনা হয়নি। আমার
শুটিংয়ের প্রায় সব ছবি প্রকাশ্যে আসতেই আলোচনার বন্যা বয়ে গেছে। আমি মনে করি এতে
করে সোনার চরের প্রচারটা হয়েছে দারুণ। সিনেমা দেখেন এমন কেউ নেই এই দেশে যে সোনার
চরের নাম শোনেনি। কোটি টাকা দিয়েও কিন্তু এই প্রচার পাওয়া যেত না। আমরা দেখছি
প্রচারের জন্য সিনেমাগুলো এখন কত চেষ্টাই করে। সবাই কিন্তু এত প্রচার পায় না।
কিন্তু ট্রলটা তো নেতিবাচক বিষয়। সোনার চর কি লাভবান হবে?
অবশ্যই হবে। ঈদে মানুষ
সিনেমা দেখে। গেল কয়েক বছরে সেই প্রমাণ মিলেছে। এবারেও দেখবে। নইলে ঈদে এতগুলো
সিনেমা আসত না। সবার একটা আত্মবিশ্বাস আছে। আমাদেরও আছে। অনেকে হয়তো ট্রল করার
ফ্যান্টাসিতে মজা করতে ঢুকবেন, কিন্তু সিনেমা শেষে সবাই মুগ্ধ হয়ে বের হবেন হল
থেকে। সোনার চরের গল্পটাই তার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা। আমি বিশ্বাস করি দর্শক এ ছবি
দেখার পর ভাববে, তৃপ্তি নিয়ে অন্যদের বলবে যে এ ছবিটা দেখ। দর্শকই সোনার চরকে
এগিয়ে নেবে।
ছবির ট্রেলার প্রকাশের পর একটা আলোচনা হচ্ছে আপনি মারা যাবেন। নায়ক মারা গেলে ছবির জন্য বিষয়টা ঝুঁকির হয়ে যায় না?
এ নিয়ে আমি এখন কিছু বলব
না। আমার কথা হলো সিনেমাটা দেখতে হবে। অনেক টুইস্ট এতে আছে। কে বাঁচল বা কে মারা
গেল সে নিয়েও রহস্য আছে। আমি তো বলেছি এ সিনেমার গল্পটা এত সুন্দর যে দর্শকের ভালো
লাগবেই।
প্রচারে কী চমক থাকছে?
আমরা একটু ভিন্ন কিছু
করার প্ল্যান করেছি। সারা ঢাকা শহরে এলইডি বিজ্ঞাপন থাকবে সোনার চরের। মোড়ে মোড়ে
চলবে ট্রেলার, টিজার ও গান। ঢাকার বাইরেও বড় বড় শহরগুলোতে থাকবে এই আয়োজন। তা ছাড়া
আমাদের গান নিয়ে টিকটকারদের মধ্যে একটা আয়োজন থাকছে। যার ভিডিওতে সবচেয়ে বেশি ভিউ
হবে তাকে ৩২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন দেওয়া হবে। এই প্রচারণাগুলো সোনার চরকে সবার কাছে
পৌঁছে দেবে বলে আশা করছি।
ঈদে এক ডজনেরও বেশি সিনেমা মুক্তি পাবে। শাকিব খানসহ অনেক তারকারা হাজির প্রতিযোগিতায়। কোথাও কি চাপ মনে হচ্ছে?
একদমই না। আমি কোনো
কিছুকেই চাপ মনে করি না। অন্যদের নিয়ে নেতিবাচক চিন্তাও করি না। আমি নিজের কাজটা
করে যেতে চাই। আমি বিশ্বাস করি আমি যদি ভালো কিছু করি তার রেজাল্ট আসবেই। সেটা কেউ
আটকে রাখতে পারবে না। আর ঈদের সবগুলো ছবিই আমাদের। এখানে কোনো প্রতিযোগিতা নেই।
আমরা সবাই মাঠে আছি, সবাই আনন্দ উৎসবে উপভোগ করব এই অংশগ্রহণ।
সোনার চর কয়টি হল পাবে?
এটা এ মুহূর্তে বলা
মুশকিল। তবে প্রায় সব সিনেপ্লেক্সেই সোনার চর থাকবে। যমুনা ব্লকবাস্টার দিয়ে
আমাদের হল বুকিং শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন
সিনেপ্লেক্সগুলোও যুক্ত হবে। কিছু সিঙ্গেল স্ক্রিনেও দেখা যাবে সোনার চর।
ঈদ কোথায় করবেন, প্রস্তুতি কী?
এবার যেহেতু সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে তাই কিছু হলে যেতে হবে। ঈদ কাটবে দর্শকের সঙ্গে। পাশাপাশি পরিবারের সদস্য ভাই-বোনেরা আছেন, তাদের সঙ্গে থাকা হবে। খাওয়াদাওয়া হবে। সবার কাছে দোয়া চাই যেন সুস্থ থাকি, ভালো থাকি। আমিও সবার জন্য দোয়া করি। অগ্রিম ঈদ মোবারাক।