× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সার সংকটে বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১১:৩৮ এএম

আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১১:৩৯ এএম

সার সংকটে বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এড়াতে পারছে না বিশ্ব। যুদ্ধের কারণে একদিকে তৈরি হয়েছে অর্থনৈতিক সংকট, অন্যদিকে কৃষি উৎপাদনেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কেননা ইউক্রেন আক্রমণের কারণে রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাশিয়ার সার পাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কৃষকরা।

বিশ্বের অন্যতম জৈব সার সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে বিশ্বব্যাপী সার সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। 

পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও সার সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতির বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তবে রাশিয়াকে বিশ্ব বাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করায় সার রপ্তানিও অনেকাংশে কমে গেছে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের-ডব্লিউইএফ ২০২৩ সালের বিশ্বের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান সময়ে বিশ্বের শীর্ষ চারটি সংকটের মধ্যে একটি হলো খাদ্যের সরবরাহ সংকট। 

প্রতিবেদনে চলতি বছর আরও কিছুদিন বিশ্ববাজারে সারের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এ বছরের খাদ্য উৎপাদনে। একই সময়ে ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম ও যুদ্ধের কারণে ইউরোপীয় অঞ্চলে সার উৎপাদন ৭০ শতাংশ কমেছে।

যা বিশ্বের সার সরবরাহকে আরও সীমিত করে দিয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলছে, বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠী জৈব সার দিয়ে উৎপাদিত খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল।

তবে এই খাদ্য সংকটের কারণ হিসেবে কানাডাভিত্তিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে। এগুলো হলো- সারের ঘাটতি, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রতিকূল আবহাওয়া।

এদিকে বিশ্বে সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে রাশিয়ার সঙ্গে মধ্যস্থতা করেছিল জাতিসংঘ। একই জায়গায় খাদ্য সংকট কাটাতে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির বিষয়েও একটি চুক্তি করেছিল সংস্থাটি।

কিন্তু পরবর্তীতে রাশিয়া অভিযোগ করেছিল, তাদের সার বিশ্বের দক্ষিণ অঞ্চলের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি রাশিয়ার ব্যাংকগুলোকে বৈশ্বিক সুইফট পেমেন্ট সিস্টেম থেকে বাদ দেওয়ার কারণেও সার রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।  

বিশ্বব্যাংক বলছে, দেশের চাহিদা মেটাতে ৫০ শতাংশ ফসফেট রপ্তানি কমিয়েছে চীন। দেশটির এমন সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী ফসফেট সারের জোগান কমবে ৩০ শতাংশ। তবে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের- ডব্লিউএফপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২০ সালের মে মাস থেকে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত সারের দাম ১৯৯ শতাংশ বেড়েছে। 

যদিও চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সারের দাম কিছুটা কমেছে। এদিকে উচ্চমূল্যে সার কিনতে না পেরে অনেক দেশের কৃষকদের কেবলমাত্র গোবরের মতো কম কার্যকর বিকল্পের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। কিন্তু এখন বিশ্বের অনেক জায়গায় শস্য রোপণের সময় চলে এসেছে। তাই অবশ্যই সব কৃষককে প্রয়োজনীয় সার দ্রুত ও সাশ্রয়ী মূল্যে দিতে হবে। 

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের প্রধান শন ডোহার্টি বলেন,  ‘আগে যে রুটে সার সরবরাহ হতো সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে  ইউক্রেন ও মধ্য এশিয়াও হতে পারে সার পাওয়ার একটি বিকল্প উপায়। এদিকে ডব্লিউএফপি নেদারল্যান্ডসে আটকে রাখা ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন রাশিয়ার তৈরি সার পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে এবং মালাউইতে অগ্রিম চালানের জন্য একটি জাহাজও ভাড়া করেছে।’

বর্তমান উৎস থেকে সারের ওপর বৈশ্বিক নির্ভরতা কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গার্হস্থ্য সার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ৫০ কোটি ডলারের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। সেখানে ইইউকেও অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এদিকে কানাডাও ২০২২ সালের নভেম্বরে ২০ শতাংশ পটাশ সার রপ্তানি বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। যা অনেক দেশের চাহিদা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

সূত্র : ডব্লিউইএফের ওয়েবসাইট 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা