× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আমিরাতে বাংলাদেশি কৃষিপণ্যের চাহিদা বাড়ছে

কামরুল হাসান জনি,ইউএই

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৭:০১ পিএম

আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:১৯ পিএম

সংযুক্ত আরব আমিরাতে কৃষিকাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি। প্রবা ফটো

সংযুক্ত আরব আমিরাতে কৃষিকাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি। প্রবা ফটো

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিয়ে কল্পনা করলে চোখে ভাসে তপ্ত মরুভূমি কিংবা বালুবেষ্টিত অঞ্চল। এমন মরুময় দেশে স্বাভাবিক চিন্তায় কৃষি উৎপাদন অনেকটা কঠিন। তবে কঠিনেরে ভালোবেসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনেকেই কৃষি উৎপাদনে ঝুঁকছেন। দেশটির সরকারও কৃষিতে দিচ্ছে উৎসাহ। এতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কাজ করছেন প্রবাসীরাও। এই তালিকায় অগ্রভাগে রয়েছেন বাংলাদেশিরা।

দেশটির আবুধাবি, আল আইন, শারজাহ ও ফুজাইরাহ অঞ্চলের সমতল ভূমিতে নিয়মিত চাষাবাদ হচ্ছে কৃষিপণ্য। নিজেদের চাহিদা যেমন পূরণ হচ্ছে, তেমনি গতি পাচ্ছে কৃষি অর্থনীতি।

স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করতে বড় বড় সবজি বাজারের পাশাপাশি অস্থায়ীভাবেও বাজার বসানো হয়েছে কয়েকটি প্রদেশে। দুবাইয়ে দুই ঘণ্টার কৃষকের বাজার, আল আইনে শনিবারের বাজারসহ বর্তমানে দেশটির বেশ কয়েকটি প্রদেশে সপ্তাহে একদিন বা দুই দিন কৃষকের বাজার বসে।

এসব বাজারে বিক্রি হয় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষিপণ্য। আর এসব কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের পেছনে সংখ্যাগরিষ্ঠ কারিগর প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যাদের অধিকাংশই স্থানীয়দের অধীনে বেতনভুক্ত হিসেবে কাজ করেন।

দেশটিতে কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য রয়েছে নানা পদ্ধতি। শীত মৌসুমে খোলা বাগানে চাষাবাদ হয়। এ ছাড়া গ্রিনহাউসে সবজি ও ফলসহ কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করেন কৃষকরা। তুলনামূলকভাবে গ্রিনহাউসগুলোতে উৎপাদনের পরিমাণ বেশি। সেখানে মূলবান ত্বীনফল, শসা, ক্যাপসিকাম মরিচ, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, ধনিয়া পাতাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক কৃষিপণ্য চাষ হয়ে থাকে।

আল আইনের একটি গ্রিনহাউসে কর্মরত প্রবাসী ফখর উদ্দিন জানান, সবজি উৎপাদনের জন্য দুই ধরনের গ্রিনহাউস ব্যবহার করা হয়। সিঙ্গেল গ্রিনহাউসে দৈনিক দুজন শ্রমিক ও বড় গ্রিনহাউসে অন্তত তিন থেকে চারজন শ্রমিক দৈনিক কাজ করেন। একেকটি সিঙ্গেল গ্রিনহাউসে একবারে অন্তত ৫৬২ মণ শসা উৎপাদন করা সম্ভব। বড় গ্রিনহাউসগুলোতে প্রায় ১১ হাজার মণ শসা উৎপাদন করা যায়। এ ছাড়া এসব গ্রিনহাউসে চাষ করা হয় মূল্যবান ত্বীনফল। পাইকারি মূল্যে এই ফল প্রতি কেজি ২০ দিরহামে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ দিরহাম। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য পড়ে প্রায় ১ হাজার ৮০০ টাকা।  

তবে সামগ্রিক চাহিদা পূরণে নিজস্ব উৎপাদনের বাইরেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত কৃষিপণ্য আমদানি করে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান, ইরান, সৌদি আরবসহ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে একই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নাম। 

গত অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক, পাটপণ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যসহ আমিরাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৮৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রবাসীদের আয় করা রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানি খাতেও যা বড় অর্জন।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত কৃষি উৎপাদন করলেও তাদের চাহিদা পূরণে আরও আমদানি করতে হয়। সেখানে বাংলাদেশে উৎপাদিত কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তবে পানিপথে সরাসরি যোগাযোগ না থাকায় পরিবহন খরচ বেশি হচ্ছে, পণ্য পৌঁছাতেও লেগে যাচ্ছে অনেক সময়।

সবজি আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী রাজা মল্লিক জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর তুলনায় কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য এটি বড় বাজার। প্রায় ১০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির বসবাস সেখানে। সেই তুলনায় দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিশেষ করে সবজি ও ফলের ব্যাপক চাহিদা থাকাটা স্বাভাবিক। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে কার্গো বিমান ব্যবহার করায় ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হয়। আবার সমুদ্রপথে কয়েকটি দেশ ঘুরে পণ্য পৌঁছাতে লেগে যায় বাড়তি সময়। এতে কখনও কখনও সবজি, ফলমূল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

তিনি বলেন, পানিপথে সরাসরি শিপিং লাইন চালু করা গেলে সময় ও রপ্তানি ব্যয় কমে আসবে। খরচ কমে এলে দ্রুত বৃহত্তর এই বাজার ধরাও সম্ভব।

দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সরাসরি পানিপথের যোগাযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত রয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সরাসরি শিপিং লাইন চালুর ব্যাপারেও ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই তা বাস্তবায়ন হতে পারে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা