× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাম্পার ফলনের হাতছানি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৩ ১৫:৫৭ পিএম

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩ ১৬:১৩ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগানগুলো আমের গুটিতে ভরে গেছে। প্রবা ফটো

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগানগুলো আমের গুটিতে ভরে গেছে। প্রবা ফটো

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানগুলোর আমগাছে মুকুল থেকে মসুর দানার মতো আমের গুটি বের হয়েছে। আবহওয়া অনুকূলে থাকলে যে পরিমাণ আমের গুটি বের হয়েছে তার অধিকাংশই টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বাগান পরিচর্যা খরচ বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিতা বেড়েছে আম চাষিদের। আবহওয়া ভালো থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে জানিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর।

আম চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর প্রলম্বিত শীতের কারণে ছোট গাছের তুলনায় বড় আমগাছে মুকুল কম এসেছিল। এবার সেই সব গাছে আগাম মুকুল এসে আমের গুটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এদিকে পুরাতন বাগানের কিছু বড় আম গাছগুলোতে মুকুল এখনও আসেনি। ওই গাছগুলোতে ফের মুকুলের পরিবর্তে ডালের ডগায় কচি পাতা গজিয়েছে। কীটনাশক, সেচের খরচ আর শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে চাষিদের।

জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এই বছর জেলায় ৩৭ হাজার ৫৮৮ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। সদরে ৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর, শিবগঞ্জে ২০ হাজার ২৬০ হেক্টর, গোমস্তাপুরে ৪ হাজার ২৩০ হেক্টর, নাচোলে ৪ হাজার ২৭১ হেক্টর এবং ভোলাহাটে ৩ হাজার ৬৬২ হেক্টর জমিতে আম চাষা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ৪২৩ হেক্টর বেশি জমিতে আম চাষ হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আম চাষি রেজাউল ইসলাম জানান, চলতি বছর বাগানের আমগাছগুলোতে আশানুরূপ মুকুল এসেছিল এবং প্রায় সব গাছে মুকুল ফুটে মসুর দানার মতো আমের গুটি বের হয়ে গেছে। উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড জাত) আমের গাছগুলোতে মুকুল আসায় গুটিগুলো মার্বেল দানার মতো হয়ে গেছে। 

আম চাষি মুনিরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এই বছর আমের অবস্থা ভালো আছে। গাছে গাছে মুকুল এসেছিল, এখনও গুটি বের হচ্ছে। কিন্তু বালাইনাশকের খরচ বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ৫০ কেজির একটি সারের বস্তার দাম গত বছরের চেয়ে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ঘণ্টায় বাগানে সেচ খরচ বেড়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় শ্রমিকদের মজুরি বাবদ জনপ্রতি একশ থেকে দেড়শ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে।

শহিদুল ইসলাম নামের আরেক চাষি বলেন, বাগান থাকলেই গাছের পরিচর্যা করতে হবে। গাছের যত্ন না নিলে ভালো ফলনও আশা করা যায় না। বালাইনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায়, বাগান পরিচর্যা খরচও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বাড়তি খরচ করে যদি আমের ন্যায্য দাম না পাওয়া যায় তাহলে খরচ করা বৃথা হয়ে যাবে।

জেলা কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক বলেন, ‘এই বছর আম গাছগুলোতে মুকুল পর্যাপ্ত এসেছে এবং ইতিমধ্যে অনেক গাছে গুটিও বের হয়েছে। আবহওয়া ভালো থাকলে এই বছর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরি সব কিছুরই মূল্য বেড়ে যাওয়ায় চাষিদের পরিচর্যা খরচ বেড়েছে। চাষিদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করলে কিছুটা হলেও তারা স্বস্তি পাবেন।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পলাশ সরকার বলেন,  জেলার আম বাগানগুলোতে ৯০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে। ইতিমধ্যে অনেক আমগাছে মুকুল ফুটে গুটিও বের হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে।

কৃষিপণ্যের দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে আমচাষ করলে বালাইনাশকের ব্যবহার কিছুটা কমানো যাবে। এতে করে কৃষকদের পরিচর্যা খরচ কিছুটা সাশ্রয় হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা