× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকছেন চাষি

ঈশ্বরদী প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৩ ১০:২৭ এএম

আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৩ ১০:২৭ এএম

গাছে ধরে থাকা ক্যাপসিকাম দেখছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার ও উদ্যোক্তা কৃষক সাজাহান আলী বাদশা ওরফে পেঁপে বাদশা। প্রবা ফটো

গাছে ধরে থাকা ক্যাপসিকাম দেখছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার ও উদ্যোক্তা কৃষক সাজাহান আলী বাদশা ওরফে পেঁপে বাদশা। প্রবা ফটো

দেশে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিদেশি সবজি হিসেবে বিবেচিত ক্যাপসিকাম। স্থানীয়ভাবে মিষ্টিমরিচ নামে পরিচিত এই সবজিকে আধুনিক প্রযুক্তি পলিনেট হাউসে চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন ঈশ্বরদীর চাষিরা। এই প্রযুক্তিতে সারা বছর বিষমুক্ত নিরাপদ ফসল উৎপাদন করা যায়। এ কারণে জেলা কৃষি বিভাগ এ পদ্ধতিতে চাষাবাদের ওপর গুরুত্বারোপ করছেন। 

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুরে উচ্চমূল্যের সবজি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০ লাখ টাকা খরচে পলিনেট হাউস তৈরি করা হয়েছে। এটির বাস্তবায়ন করছে ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ঈশ্বরদীর কৃষিতে নতুন ও আধুনিক এই প্রযুক্তির সংযোজন। ফলে কৃষি ক্ষেত্রে আরও অবদান রাখবেন বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা।

জাতীয় পুরস্কাপ্রাপ্ত কৃষক ঈশ্বরদীর সলিমপুর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের মা-মনি কৃষি খামারের মালিক সাজাহান আলী বাদশা ওরফে পেঁপে বাদশা। তিনি নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য নিজ খামারে পলিনেট হাউস বরাদ্দ পান। এই উদ্যোক্তা তার এক বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো পলিনেট হাউসে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেছেন বলে জানান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। 

পেঁপে বাদশা বলেন, স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় সম্পূর্ণ বিষমুক্ত নিরাপদ উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদনের জন্য পলিনেট হাউস তৈরি করা হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়। বাকি ৪ লাখ টাকা নিজ থেকে খরচ করা হয়েছে। ভারত থেকে চারা এনে ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ক্যাপসিকাম সবজি চাষ শুরু করেছি। 

তিনি জানান, গত নভেম্বরে এক বিঘা জমিতে ৩ হাজার চারা লাগানো হয়েছে। মার্চের শুরুতে গাছ থেকে ফল পাড়া শুরু হয়েছে। এই উদ্যোক্তা বলেন, ঠিকমতো পরিচর্যা করা হলে একটি গাছ থেকে ১৫ থেকে ২০টি ফল পাওয়া যায়। ক্যাপসিকামের ওজন বেশি। ৫ থেকে ৬টিতে এক কেজি। প্রতি কেজি বিক্রি করা হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। তবে এ মৌসুমে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না। আগামী মৌসুমে বিনিয়োগের টাকা উঠে আসবে বলে জানান এই উদ্যোক্তা।

পলিনেট হাউসের ভেতরে লাগানো গাছে ধরে আছে উচ্চমূল্যের ফল ক্যাপসিকাম। প্রবা ফটো

পলিনেট হাউসে এক-দুই মাস আগেই ফসল পাওয়া যায়, গাছ-চারা দীর্ঘদিন সতেজ থাকে। রোগ-বালাই কম ও পোকামাকড় আক্রমণ না থাকায় কীটনাশক ব্যবহার করা লাগে না। যার ফলে এ প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চমূল্যের বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন সম্ভব বলে জানালেন ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল আলম খান। 

তিনি বলেন, পলিনেট হাউস তৈরিতে মোটা ও শক্ত স্টাবিলাইজড পলি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ওপর দিয়ে হেঁটে গেলেও হাউসের কোনো ক্ষতি হবে না। ড্রিপ ইরিগেশন, স্প্রিংলার ইরিগেশন ও ফগার ইরিগেশন পদ্ধতির মাধ্যমে এখানে আধুনিক সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ও সূর্যের রশ্মি ভিতরে প্রবেশ করতে না পারায় ফসল থাকবে অক্ষত। তিনি বলেন, এই পলিনেট হাউসে বিশ্বখ্যাত রিজ জিওয়ান কোম্পানির হলুদ ও লাল জাতের ক্যাপসিকাম সবজির চারা লাগানো হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিতা সরকার বলেন, আধুনিক চাষ পদ্ধতিতে ঈশ্বরদীর কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এই পদ্ধতিতে যারা চাষাবাদ করতে চাচ্ছেন কৃষি বিভাগ তাদের সহযোগিতা করছে। 

তিনি বলেন, উদ্যোক্তা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক সাজাহান আলী বাদশা পলিনেট হাউসে উচ্চমূল্যের ফসল ক্যাপসিকাম চাষাবাদ শুরু করে কৃষিতে নতুন পদ্ধতির সংযোজন করেছেন। তিনি খুব শিগগিরই লাভবান হবেন। 

তিনি আরও বলেন, উচ্চমূল্যের নিরাপদ বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের জন্য পলিনেট হাউস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পদ্ধতিতে রোদ-বৃষ্টি, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সারাবছর উচ্চমূল্যের ফসল চাষাবাদ করা যায়। পৌর এলাকা ও উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নে আরও দুটি পলিনেট হাউস তৈরির বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে এই কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা