× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

দাগনভূঞায় দাম ভালো পাওয়ায় মরিচ চাষে ঝুঁকছে কৃষক

ফেনী প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩ ১২:৩৩ পিএম

মরিচের পরিচর্যা করছেন একজন কৃষাণী। প্রবা ফটো

মরিচের পরিচর্যা করছেন একজন কৃষাণী। প্রবা ফটো

দাম তুলনামূলক ভালো পাওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে মরিচের ব্যাপক চাহিদা থাকায় মরিচ চাষে ঝুঁকছেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার কৃষকরা।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, উপজেলায় এবার মরিচের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪১ হেক্টর জমি। আবাদও হয়েছে ৪১ হেক্টর জমিতে।

উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বাতশিরি গ্রামের কৃষক আবু ইউসুফ ৩০ শতক, একই গ্রামের কৃষক একরাম উদ্দিন ৪০; মহি উদ্দিনের ৩০ ও কৃষক মো. সাইফুল ইসলাম ২৫ শতক, পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের কৃষক আবুল খায়ের ৩০ শতক, জায়লস্কর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন মাসুদ ২৪ শতক ও গিয়াস উদ্দিন ৩০ শতক, সিন্দুরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক ওলি আহাম্মদ ৩০ শতক, মাতুভূঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর গ্রামের কৃষক শামসুল হক ২৪ শতক, রামনগর ইউনিয়নের সেকান্দরপুর গ্রামের কৃষক ডা. জসিম উদ্দিন ২৫ শতক, ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের করমুল্লাপুরের কৃষক রুহুল আমিন ৩০ শতক, দেবরামপুর গ্রামের কৃষক আহছান উল্যাহ ১০ শতক, পৌর এলাকার রামান্দপুর গ্রামের কৃষক মো. ইছহাক ১০ শতক, সদর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের কৃষক আবুল কালাম ৩৩ শতক জমিতে মরিচ চাষ করছেন।

রাজাপুর ইউনিয়নের বাতশিরি গ্রামের কৃষক আবু ইউছুফ ও একরাম উদ্দিনের ক্ষেতে দেখা যায়, দুজনে ক্ষেত পরিচর্যা ও মরিচ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ইউসুফ ও একরাম জানান, রমজান মাসে মরিচের চাহিদা থাকায় পাইকারি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। খুচরা বিক্রি করা করা হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা।

কৃষকরা বলেন, এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয় ১২-১৫ হাজার টাকা। মরিচ পাওয়া যায় ২৫-৩০ মণ। রমজানে বাজারে কাঁচা মরিচের ব্যাপক চাহিদা থাকে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান, সরেজমিনে মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, কাঁচা মরিচ গুরুত্বপূর্ণ মসলা ফসল। সারা বছর এর চাহিদা থাকলেও রমজান মাসে চাহিদা আরও বাড়ে। তাই রমজান মাসকে টার্গেট করে পূর্ব থেকেই এ উপজেলায় হাইব্রিড জাতের মরিচ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বিভিন্ন কৃষক মরিচ আবাদ করেছেন। ফলে বাজারে মরিচের চাহিদা পূরণ হবে এবং কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।

তিনি আরও বলেন, দাম ভালো থাকার কারণে উপজেলায় মরিচ চাষে কৃষকরা বাড়তি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা