জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ শুরু ১১ মার্চ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪ ২১:৪৯ পিএম
জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ইলিশ বেড়ে ওঠার পথে কোনোভাবেই যাতে বাধা সৃষ্টি না হয় সেজন্য যা যা করা দরকার সরকার তা করবে। তিনি বলেন, ইলিশ হলো মাছের রাজা, জাটকা ধরলে হবে সাজা—এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামী ১১ থেকে ১৭ মার্চ জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। জাটকা আহরণ বন্ধকালে ইলিশ আহরণে জড়িতদের যাতে সমস্যা নয় সেজন্য তাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ব্র্যান্ডেড এবং পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সেরা মাছ হচ্ছে ইলিশ। ইলিশের উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে এটা আরো ব্যাপক আকার ধারণ করবে। ইলিশ উৎপাদনকারী দেশসমূহের মধ্যে আমরা প্রথম স্থানে রয়েছি। জাটকা রক্ষায় ও মা ইলিশ আহরণ বন্ধে জলে, স্থলে ও আকাশপথে বিভিন্নভাবে মনিটর করা হচ্ছে। ইলিশের অভয়াশ্রমে জাটকা নিধনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য ক্ষতিকর জাল তৈরি করে জাটকা নিধন করে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদান ও জরিমানা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর ৩০ দিনে ১৭ জেলায় ৯৩১টি মোবাইল কোর্ট ও ৩ হাজার ৪৭৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ৭ হাজার ৬৬৯টি বেহুন্দি জাল, ৪৪৮.৭১ লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১৯ হাজার ৭৪২টি বেড় জাল, চরঘড়া জাল, মশারি জাল ও পাইজাল আটক করা হয়েছে। প্রায় ২৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১৯২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা খুব কঠোর অবস্থান নিয়েছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ রক্ষা পেলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে দাম কমে আসবে। দাম বৃদ্ধির বিষয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার এসব বিষয় সদিচ্ছার সাথে মনিটর করছে বলে তিনি জানান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।