× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আলু ফলিয়ে ঠেকে গেছেন চাষিরা!

মোহন আখন্দ, বগুড়া

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪ ১০:৫৭ এএম

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫৩ পিএম

আলু ফলিয়ে ঠেকে গেছেন চাষিরা!

হাড়ভাঙা খাটুনির পর মাঠভরা যে আলু বিক্রি করে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা, সেই আলু এখন মাথাব্যথার কারণ। বগুড়ার আলুচাষিদের ক্ষেত্রে এ যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোগবালাইয়ের উৎপাতে ফসলের ক্ষতি তো আছেই, তার সঙ্গে কীটনাশক ও সারের মূল্যবৃদ্ধি যোগ হয়ে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। ফলে এ অঞ্চলের কৃষকদের কাছে এই আলু এখন শাঁখের করাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। না পারেন ফেলতে, না পারেন ন্যায্য দামে বেচতে। সম্প্রতি বগুড়ার চার উপজেলায় বেশ কয়েকজন চাষিসহ সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবার রোগবালাই বেশি হওয়ায় বগুড়ায় আলুর ফলন হয়েছে ৩০ শতাংশ কম। এ ছাড়া অতিরিক্ত কীটনাশক, সার, সেচ ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ। প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা ৫৭ পয়সা উৎপাদন খরচের হিসাব পাওয়া গেছে মাঠপর্যায় থেকে। শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী এ খরচ ২২ টাকা ১৯ পয়সা। অন্যান্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারাও এবার বাড়তি উৎপাদন খরচের বিষয়ে একমত। তবে জেলা কৃষি বিভাগ থেকে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ দেখানো হয়েছে ১৪ টাকা ২ পয়সা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে সেটা আরও কমে গেছে। গতকাল শুক্রবার অধিদপ্তর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে সর্বশেষ যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, সেখানে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ দেখানো হয়েছে মাত্র ১৩ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ মাঠপর্যায়ের হিসাব আমলেই নেওয়া হয়নি। বরং সেই হিসাবের চেয়ে ৪ টাকা ৬৭ পয়সা কম ধরা হয়েছে সরকারি হিসাবে। হিসাবের এমন আকাশ-পাতাল গরমিলের কারণে বলির পাঠা হচ্ছেন বরাবরের মতো সেই প্রান্তিক কৃষক।

জেলার একাধিক কৃষি কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেছেন, আলু আবাদে জেলা কৃষি বিভাগের দেখানো হিসাবের চেয়ে কৃষকরা ক্ষেত্রবিশেষে দেড়-দুই গুণ বেশি সার ব্যবহার করেন। পাশাপাশি এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে কীটনাশকের ব্যবহারও বেশি করতে হয়েছে। এসব কারণে গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি কেজিতে উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। অথচ ফলন হয়েছে কম। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা প্রকৃত উৎপাদন খরচ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠালেও মন্ত্রণালয় এটা মানবে নাÑ এমন অজুহাতে তাদের তৈরি করা প্রকৃত হিসাব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমলে নেননি। 

বৈরী আবহাওয়া, সার-বীজ-শ্রমের মূল্য বৃদ্ধি

গত বছর ডিসেম্বরের শেষদিকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করে, যা জানুয়ারির মাঝামাঝি অব্যাহত ছিল। কুয়াশার কারণে লেটব্রাইট রোগে আক্রান্ত আলুগাছ বাঁচাতে ঘনঘন কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়েছে। এভাবে শেষ পর্যন্ত ফসল রক্ষা করা গেলেও এর প্রভাব পড়ে ফলনে। অন্যান্যবারের চেয়ে কমে যায় উৎপাদন। 

শিবগঞ্জ উপজেলার চালুঞ্জা গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, তাকে সাতবার কীটনাশক ছিটাতে হয়েছে। কেউ কেউ নয়বার পর্যন্ত ছিটিয়েছেন। অথচ গত বছর মাত্র দুবার কীটনাশক দিয়েছিলেন তারা। অতিরিক্ত কীটনাশকের এজন্য এবার বাড়তি খরচ করতে হয়েছে ৪ হাজার টাকা।

পাশের ভালুকখালি গ্রামের চাষি ফজলুল হকও বলছেন একই কথা। তিনি গত বছর এক বিঘা (৩৩ শতাংশ জমি) জমিতে সাদা জাতের (সানসাইন) আলু চাষ করে ১০০ মণ ফলন পেয়েছিলেন। কিন্তু এবার সেই একই জমিতে একই আলু ফলিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৭০ মণ। তিনি বলেন, ‘যারা সময়মতো কীটনাশক দিতে পারেননি, তাদের ফলন আরও কমেছে।’

তাদের কথার মিল পাওয়া যায় শিবগঞ্জ উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ কুমার সরকারের কথায়। তিনি বলেন, ‘এবার রোগবালাই বেশি হয়েছে। এর আগে গত চার মৌসুমে এমনটা দেখা যায়নি। আলুর ক্ষেতে তিন-চারবার কীটনাশক স্প্রে করলেই হয়। কিন্তু এবার প্রতি সপ্তাহে দুবার করে মোট সাত থেকে নয়বার পর্যন্ত কীটনাশক স্প্রে করতে হয়েছে। এতে কৃষকদের খরচ বেড়েছে। আবার ফলনও কমেছে গড়ে ৩০ শতাংশ।’

সারের দাম বৃদ্ধিও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার আরেক কারণ। চাষিরা বলছেন, গত বছর এপ্রিলে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সারের দাম প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বাড়ায় সরকার। এছাড়া জিপসামের দাম কেজিপ্রতি ৩ টাকা এবং জিংক বা দস্তার দাম ২০ টাকা বাড়ানো হয়। একইভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনও (বিএডিসি) আলুবীজের দাম ৩০ টাকা থেকে ২৪ টাকা বাড়িয়ে ৫৪ টাকা নির্ধারণ করে।

উৎপাদন খরচের হিসাব

মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফলন বিপর্যয় ও কীটনাশক খাতে বাড়তি ব্যয় ছাড়াও এবার কৃষকের সেচ খরচ এবং শ্রমিকদের বাড়তি মজুরি গুনতে হয়েছে। এ কারণেও বেড়েছে উৎপাদন খরচ। 

কৃষকরা জানান, গত বছর এক বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এর সঙ্গে লিজ নেওয়া জমির ভাড়া সাত হাজার টাকা যোগ করলে দাঁড়ায় ৪২ হাজার টাকা। কিন্তু এবার শুধু আবাদেই খরচ হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। জমির ভাড়া যোগ করলে তা দাঁড়ায় ৫২ হাজার টাকায়। আবার গত বছর এক বিঘা জমিতে ফলন মিলেছে কমপক্ষ ১০০ মণ। কোনো কোনো জমিতে ১১০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়। তাহলে গড় উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর এবার ৫২ হাজার টাকার বিপরীতে গড় ফলন ৭০ মণ ধরলে প্রতি কেজিতে খরচ আসে ১৮ টাকা ৫৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় উৎপাদন খরচ প্রায় ৭৭ ভাগ বেড়েছে।

কৃষক ও কৃষি দপ্তরের হিসাবে গরমিল যে কারণে

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতি শতাংশ জমিতে ১ দশমিক ৩৫ কেজি ইউরিয়া, একই পরিমাণ এমওপি, ০.০৯ কেজি টিএসপি, ০.৪৫ কেজি জিপসাম ও ০.৩৫ কেজি দস্তা সার ব্যবহারের কথা বলে থাকে। কিন্তু আলু চাষিরা বলছেন, তারা সরকারি পরিমাণের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি ইউরিয়া ব্যবহার করেন। একইভাবে ২৩ শতাংশ বেশি এমওপি, পৌনে তিন গুণ বেশি টিএসপি, ৩৩ শতাংশ বেশি জিপসাম ও প্রায় আড়াই গুণেরও বেশি দস্তা সার ব্যবহার করেন। কৃষি বিভাগ উৎপাদন খরচের মধ্যে জমি তৈরি, শস্য রোপণ, পরিচর্যা, ফসল তোলা ও বাজারজাত করার খরচ ধরলেও কৃষকের নিজের শ্রম ও বিনিয়োগ করা অর্থের সুদের হিসাব ধরে, এ হিসেবে কৃষকের উৎপাদন খরচ আরও কম।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবর রহমান বলেন, ‘আলু আবাদে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের নির্ধারিত যে নীতিমালা রয়েছে আমরা সে অনুযায়ী উৎপাদন খরচ হিসাব করে থাকি। এবার কুয়াশার কারণে রোগবালাই কিছুটা বেশি হয়েছে। কিন্তু সেটি প্রতিরোধে যেভাবে কীটনাশক প্রয়োগের কথা, কৃষক তা না করে নিজের ইচ্ছামতো প্রয়োগ করেছেন। একইভাবে তারা হয়তো সারও অতিরিক্ত ব্যবহার করেছেন। এসব করতে গিয়ে তারা উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে ফেলেছেন।’

ডিএপি সার নিয়ে লুকোচুরি

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর এ জেলায় ৪১ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি ডিএপি সার বরাদ্দ হয়, যা ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হয়। কিন্তু এই সারের ব্যবহারের কথা কৃষি বিভাগ স্বীকার করে না। এমনকি এই সার প্রয়োগের তথ্য কেন গোপন করা হয় তার কারণও কৃষি কর্মকর্তারা স্পষ্ট করেন না। এই সার বাবদ যে ব্যয় তা সরকারের উৎপাদন খরচে ধরা হয় না।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবর রহমান বলেন, ‘খরচের এই বিবরণীটি সেন্ট্রালি তৈরি করা হয়েছে। আমরা সেটি অনুসরণ করি।’ মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের প্রকৃত খরচ উল্লেখ করতে চাইলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তা গ্রহণ করতে চান না এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এটা বলে থাকেন তাহলে তিনি সঠিক কথা বলেননি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আলুসহ সব ফসলে কৃষি বিভাগের নির্ধারণ করে দেওয়া মাত্রায় সার প্রয়োগ করেও যে ভালো ফলন পাওয়া যায় তা দেখানের জন্য আমরা অনেক ফসলের প্রদর্শনী খামার তৈরি করি। এগুলো দেখে কৃষক ধীরে ধীরে বেশি পরিমাণে সার ব্যবহার থেকে সরে আসছেন।’

চাষিরা কোথায় যাবেন

জেলা কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, স্টিক জাতের আলু ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করলে কৃষক লাভবান হবেন। অন্যদিকে কৃষকের হিসাবে এক মণ আলুর উৎপাদন খরচই পড়েছে ৭৪৩ টাকা। শিবগঞ্জের গ্রামাঞ্চলে স্টিক জাতের ভেজা (জমিতে উত্তোলন করা) আলু ৬০০ টাকা মণ আর শুকনা আলু ৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব এলাকার জহুরুল ইসলাম নামে এক আলুচাষি আক্ষেপ করে বলেন, সরকারের হিসাবে ভেজা আলু ৬০০ টাকায় বিক্রি করলে আমরা ৪০ টাকা লাভ পাব। কিন্তু বাস্তবে ভেজা আর শুকনা কোনো আলু বিক্রি করেই আমরা লাভ করতে পারছি না। ভেজা আলু বিক্রি করে প্রতি মণে ১৪৩ টাকা লোকসান হচ্ছে। আর শুকনা আলু বিক্রি করে লোকসান ৪৩ টাকার কাছাকাছি।

চাষিরা বলেছেন, এক-দেড় মাস আগে যারা আলু বিক্রি করতে পেরেছে তারা সামান্য লাভ করেছেন। কারণ তখন প্রতিমণ আলু ক্ষেতেই বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়। তখন প্রতিমণ আলুতে কৃষক লাভ করেছেন ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। আরও আগে যারা আগাম আলু বিক্রি করেছেন তারাও ভালো দামে বিক্রি করতে পেরেছেন। বর্তমানে কৃষকরা হিমাগারে আলু মজুদ শুরু করেছেন। যখন দাম বাড়তে থাকবে তখন তারা বিক্রি শুরু করবেন। জানতে চাইলে বগুড়ার মহাস্থান বাজারের পাইকাড়ি আড়ত সফুরা ভাণ্ডারের মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু কৃষক আলু হিমাগারে রাখতে শুরু করেছন। এটা আরও বাড়বে। বাজার পরিস্থিতি তখন কেমন হবে সেটা বলা যাচ্ছে না।

সরকারি নীতির সামলোচনা

সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক কেজিএম ফারুক বলেন, কৃষি বিভাগ তাদের নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকদের সার ও কীটনাশক দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে নির্ধারিত পরিমাণের চাইতে কয়েকগুণ বেশি সার-কীটনাশক প্রয়োগ করছেন কৃষক। এতে তাদের উৎপাদন খরচ যেমন বাড়ছে, কমছে খাদ্যের মানও। কিন্তু কৃষি বিভাগ নিজেদের ব্যর্থতার দায় নিতে চায় না। 

তিনি বলেন, কৃষকদের অবশ্যই সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সার প্রয়োগে উৎসাহিত করতে হবে। সেটা যত দিন সম্ভব না হবে ততদিন তাদের উৎপাদিত ফসলের প্রকৃত খরচ বিবরণে উল্লেখ করতে হবে। এটা না করলে বাজার ব্যস্থাপনায় জটিলতা সৃষ্টি হবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এবার বগুড়ার ২ লাখ ২৪ হাজার ৮৪৫ হেক্টর আবাদি জমির ৪০ শতাংশে (৫৫ হাজার ২৬০ হেক্টর) আলু আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসাবে, সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলু চায় হয় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়।

সাধারণত নভেম্বরের মাঝামাঝি আমন ধান কাটার পর আলুর চাষ শুরু হয়। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আলু উত্তোলন শুরু হয়। তবে কোনো কোনো এলাকায় অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে আগাম জাতের আলু আবাদ করা হয়, যা জানুয়ারির মাঝামাঝি উত্তোলন করা হয়। আগাম জাতের ওই আলুর দাম স্বাভাবিক সময়ে উত্তোলন করা আলুর দেড় থেকে দুই গুণ পর্যন্ত বেশি হয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা