× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

যে হাট বদলে দিল কৃষকের জীবন

আবু বকর সিদ্দিক বাবু

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪৬ পিএম

 যে হাট বদলে দিল কৃষকের জীবন

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের বৃহত্তম একটি উপজেলা উল্লাপাড়া। এই উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন জুড়ে বিস্তৃত চলনবিল। যে গ্রামগুলো বছরের ছয় মাস পানিতেই ভাসে। এক সময় এই চলনবিলের মানুষের জীবনযাপন ছিল মানবেতর। এদের জীবিকা নির্ভরশীল ছিল চলনবিলের মাছ ও শস্যর ওপর। পলি পড়া মাটিতে বিলের বুকে ফলত সোনালি ফসল। ন্যায্যমূল্যের সমস্যা ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপট। নিকট অতীতে এতদঞ্চলের কৃষকদের শস্যপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের একমাত্র বাহন ছিল গরু-মহিষের গাড়ি। সম্প্রতি সড়কপথ উন্নয়নের ফলে গরুর গাড়ির বদলে এখন ট্রাক, বাস, মোটরগাড়ির চলছে এই নিম্ন অঞ্চলের বুকে। এর ফলে কৃষকের উৎপাদিত শস্যপণ্য পৌঁছে যাচ্ছে সারাদেশে। উপযুক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে শস্যপণ্য। এই অঞ্চলের কৃষকেরা এখন সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন খিরা চাষে। খিরার বড় হাট এখন লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের চরবর্দ্ধনগাছা। এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খিরা বেচাকেনা চলে। সপ্তাহে সাতদিনই বসে এই হাট। এখানেই আমদানি হয় চলনবিলে উৎপাদিত সব খিরা। এই মৌসুমে চাষিরা খিরার ভালো দাম পাচ্ছেন। ২২শ থেকে ২৫শ টাকা পর্যন্ত প্রতিমণ বিক্রি করেছেন তারা।  বিক্রির জন্য কৃষকদের দিতে হয় না কোনো খাজনা।

এই খিরা হাটের আড়তদার মামুন হোসেন জানান, ‘চলতি খিরা মৌসুমে তার আড়তে শুরু থেকেই প্রচুর খিরা আমদানি হচ্ছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাপারীরা আসেন তার আড়তে। তারা ট্রাকযোগে নিয়ে যান এসব খিরা।’ তিনি আরও জানান, ‘প্রতিদিন এই অঞ্চল থেকে অন্তত ৫০ ট্রাক খিরা ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যান ব্যাপারীরা।’ এ অঞ্চলের খিরার ৮০ ভাগ উৎপাদিত হয় চলনবিল বেষ্টিত লাহিড়ী মোহনপুর, বড় পাঙ্গাসী ও উধুনিয়া ইউনিয়নে, শাহজাদপুর এবং পাবনা জেলার ফরিদপুর ও ভাঙ্গুড়ায়। এই হাটকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে কৃষকদের নীরব বিপ্লব ঘটেছে। সরেজমিনে লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের চরবর্দ্ধনগাছা খিরার হাটে গিয়ে দেখা যায় অন্তত ১ হাজার মণ খিরা স্তূপ করা রয়েছে। এসব খিরাচাষির নিকট থেকে কেনা। কথা হয় আড়তে খিরা বিক্রি করতে আসা চাষি রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ বছর তিনি ১৫ বিঘা জমিতে খিরার চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বেশ ভালো ফলন হয়েছে। প্রথমদিকে প্রতিমণ খিরা তিনি ২২শ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতিমণ ৬শ টাকা। তবে দাম কমে গেলেও গড় হিসেবে তার এবার যথেষ্ট লাভ হয়েছে।’ 

চাষি আবুল হোসেন জানান, তিনি ৮ বিঘা জমিতে খিরার চাষ করেছেন। ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে দামও পাচ্ছেন ভালো। এখন পর্যন্ত ১ লাখ টাকারও বেশি খিরা বিক্রি করেছেন। আরও খিরা তার রয়েছে। রফিকুল ইসলাম ও আবুল হোসেনের মতো আরও বেশ কয়েকজন খিরাচাষি খিরাচাষে লাভবান হওয়ার কথা শোনালেন। প্রতিবছর ডিসেম্বরের শুরু থেকে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত তারা প্রচুর কেনাবেচা করে থাকেন। এ বছর ভালো উৎপাদন হওয়ায় চলনবিল অঞ্চলের চাষিরা আগামীতে আরও বেশি জমিতে খিরার চাষ করবেন বলে স্থানীয় খিরা ব্যবসায়ীদের ধারণা।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা