অবনীল মৃন্ময়ী
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:২৯ পিএম
আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে সংসার সামলানো আবার এমন কী! কিন্তু গৃহিণীরাই জানেন সংসারে কত ধরনের কাজ থাকে। আর যাদের সংসার সামলে কর্মজীবনেও পদচারণা, তাদের জীবন আরও কঠিন। অনেক দিক সামলে নারীকে এগিয়ে চলতে হয়। কিন্তু সেই চলার পথের অন্যতম একটি বাধা হলো মানুষের কথা। অনেক দৃঢ় ও আত্মবিশ্বাসী হওয়ার পরও অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন শুধুমাত্র উপহাস বা নেতিবাচক কথার জন্য।
কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের কাছ থেকে বন্ধুসুলভ আচরণ ও সহযোগিতা প্রতেক্যের প্রাপ্য। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় নারী সহকর্মীদের প্রতি পুরুষ সহকর্মীদের মনোভাব ভিন্ন থাকে। সরাসরি যৌন হয়রানি করতে না পারলেও চলে মানসিক হয়রানি।
নারী সহকর্মীকে ইঙ্গিত করে বলা কথা যেমন- ‘ম্যাডামের তো খুব সহজেই পদোন্নতি হবে’ কিংবা ‘ম্যাডামের সঙ্গে বড় স্যারের সঙ্গে সম্পর্ক দেখি অনেক ভালো’, এমন ধরনের কথা শুনতে হয়। অনেক সময় উচ্চপদস্থ সহকর্মী সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বা বঞ্চিত করার হুমকি দিয়ে যৌনসুবিধা দাবি করে। একজন সহকর্মীর কাছ থেকে অবাঞ্ছিত স্পর্শ, উপহাস বা আপত্তিকর কৌতুকও হতে পারে হয়রানির একটি অংশ। নারী সহকর্মীকে ইশারা-ইঙ্গিতে বোঝানো যে তাকে পছন্দ করে। কিংবা মুঠোফোনে দিনের পর দিন বার্তা পাঠানোÑ এটাও হয়রানি। এ ছাড়া প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অফিসে কাজের প্রেশার দেওয়া, কারণে-অকারণে বাজে ব্যবহার করাও হয়রানির অংশ। এ ছাড়া পুরুষ সহকর্মীর তাকানোর দৃষ্টিও হতে পারে আপত্তিকর।
শুধু পুরুষ সহকর্মীই নয়, নারী সহকর্মীর থেকেও শুনতে হয় আপত্তিকর কথা। কিন্তু এমন কথা বলা বা আচরণ করার আগে আমরা একটা ভাবি না অপরপক্ষের মানুষটি কষ্ট পেতে পারে বা তার খারাপ লাগতে পারে। কিংবা এমন পরিস্থিতিতে যদি নিজে পড়েন, তাহলে কেমন লাগবে?
কর্মক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সহকর্মীদের মধ্যকার সম্পর্ক হওয়া উচিত বন্ধুর মতো, সহোদরের মতো। একে অন্যকে সম্মান ও সহযোগিতা করা উচিত।