× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রচ্ছদ

অফিসেও ক্যাজুয়াল

তাবাসসুম রহমান

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৫১ পিএম

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:২৬ পিএম

মডেল : ইসরাত ও বাপ্পা; ছবি : ফারহান ফয়সাল

মডেল : ইসরাত ও বাপ্পা; ছবি : ফারহান ফয়সাল

অফিস মানেই ফরমাল পোশাক। শার্ট-প্যান্ট থেকে শুরু করে জুতা-মোজাও চাই ফিটফাট। হ্যাঁ, পরিপাটি তো হবেই। তাই বলে করপোরেট মানেই কি ফরমাল পোশাক! এমন সেকেলে ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে আসছে অনেকে। বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানও খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছে না সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট, স্যুট বা কোট আর সঙ্গে টাইয়ের বিষয়টি নিয়ে। অনেকে তাই খুঁজে নিচ্ছেন ফরমালের মাঝেই ক্যাজুয়াল লুকের পোশাক।

মডেল : ইসরাত ও বাপ্পা; ছবি : ফারহান ফয়সাল

রেজওয়ান পাভেজ দ্বীপ চাকরি করেন আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিষ্ঠানে। নয়টা পাঁচটা অফিস হলেও, প্রায়ই থাকে ক্লায়েন্ট মিটিং। প্রতিষ্ঠানটির লিগ্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন করপোরেট অফিসেও যাওয়া-আসা আছে তার। তাই পোশাকের ব্যাপারে যেমন সতর্ক থাকতে হয়, তেমনি মাথার রাখতে হয় আরামের বিষয়টিও। সেদিক থেকে তার পছন্দ একটু ক্যাজুয়াল লুকের পোশাক। ব্যান গলার শার্ট, আর সেটি যদি হয় ডিজিটাল প্রিন্টের তবে তো কথাই নেই। একেবারে সোনায় সোহাগা। করপোরেট চাকরিতে ক্যাজুয়াল পোশাকে বাধ্যবাধকতা আসে কি না জানতেই তিনি খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলেন। দ্বীপ বলেন, করপোরেট পোশাক বলতেই একরঙা পোশাকের চল এখন আর নেই। এমনকি স্যুট বা কোটের অনেক পরিবর্তন এসেছে। শুধু শার্ট নয়, অনেকে তো কোর্টও পরছেন ফুল-পাতাসহ নানা প্রিন্টের। দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। করপোরেট এরিয়াতে এমন পোশাক বেশি নজর কাড়ছে। অনেকে তো মোটামুটি পাল্লা দিয়ে থাকেন ক্যাজুয়াল পোশাকে নিজেকে কীভাবে করপোরেট লুকে প্রকাশ করা যায়। আমাদের বুঝতে হবে যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টেছে করপোরেট ফ্যাশনও।

পোশাক : ক্লাব হাউস; মেকআপ : রাজিয়া’স মেকওভার;

সাধারণত কর্মস্থলে কর্মীরা মূলত কেমন পোশাক পরেন? নানা নামে চিহ্নিত সে-সব পোশাক। যেমন ক্যাজুয়াল, বিজনেস ক্যাজুয়াল, স্মার্ট ক্যাজুয়াল, বিজনেস ইনফরমাল, সেমি ফরমাল ইত্যাদি। তবে এটা ঠিক যে কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো কর্মীদের পোশাক নির্ধারণ করে দেয়। আবার অনেকের থাকে আলাদা ড্রেস কোড। তাদের বিষয় ভিন্ন। পারফেক্ট অফিসিয়াল হিসেবে ধরা হয় বিজনেস বা ফরমাল পোশাককে। এখানে সম্পূর্ণ ব্লেজার সেট থাকতে হবে। যেখানে শার্টে হালকা রঙ বেছে নেওয়া হয়। সাদা, হালকা নীল, ক্রিম ইত্যাদি রঙ থাকতে পারে শার্টে। ফুলহাতা শার্টের ওপরে টাই পরতে হবে। অক্সফোর্ড জুতা এই পোশাকের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। ঘড়ি পরলে সেটা চেইন বা বেল্ট। আর কোমরের বেল্টটাও হবে ফরমাল।

অফিস পোশাকের ধারণায় এসেছে অনেক পরিবর্তন। ক্যাজুয়াল আউটফিট এখন ফ্যাশনে ইন। একরঙা এবং গাম্ভির্যপূর্ণ পোশাক ধারণা থেকে বেরিয়েছে ফ্যাশন প্রেমীরা। ইজি টু ওয়্যার ধরণের পোশাক ধরা দিয়েছে আধুনিক অফিস আউটফিটে।
যামান বিন নাযির
সিনিয়র ডিজাইনার, ক্লাব হাউস

আরও পড়ুন: আলোর উৎসবে কালো

স্মার্ট ক্যাজুয়ালে শার্টের ওপরে ঠিক ব্লেজার নয়, জ্যাকেট স্টাইলের কোট মানাবে। রাখতে পারেন ওয়েস্ট কোট। স্মার্ট ক্যাজুয়ালে ফিতা দেওয়া জুতা পরা উচিত। আবার ফুলহাতা শার্ট-প্যান্ট স্মার্ট ক্যাজুয়াল ঘরানার। শার্ট-প্যান্টে গোঁজা বা ইন করতে হবে। শার্টের ক্ষেত্রে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন চেক, স্টাইপ বা প্রিন্টের শার্ট।

মডেল : ইসরাত ও বাপ্পা; ছবি : ফারহান ফয়সাল

মেয়েদের পোশাকের ক্ষেত্রে অফিসিয়াল ড্রেস হিসেবে চোখ বন্ধ করে বেছে নিতেন শাড়ি ও কামিজ। এখন ট্রেন্ড পাল্টেছে। পোশাকে এসেছে পরিবর্তন। এখন চোখ বন্ধ করে বেছে নিতে বললে, অনেকেই কামিজ বা কুর্তির কথাই বলবে। ফ্যাশন ট্রেন্ডে এ দুটি পোশাক সবার ওপরে রয়েছে। যেকোনো বটম বা প্যান্টে অথবা জিন্সের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে যায় পোশাকগুলো। এর পরেই রয়েছে টপ। শর্ট বা লং টপ হালকা ম্যাটেরিয়ালে তৈরি হওয়ায় বেশ আরামদায়ক। দীর্ঘসময় অফিসে খুব একটা সমস্যা হয় না এই আউটফিটে। এসব টপ বেশিরভাগই ভিসকস বা সুতির হয়ে থাকে। তাই বেশ আরামদায়ক। আউটডোর মিটিংয়ের পোশাক হিসেবে অনেকে পরছেন জাম স্যুট। দ্রুত পরিধেয় এবং আরামদায়ক হওয়ায় এই পোশাকটি পছন্দ করছেন অনেকে। অফিস পোশাক হিসেবে এক সময় একরঙা আউটফিটগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। এখন সেটি নেই। নিজের ইচ্ছেমতো পোশাক পরছেন অনেকে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে পোশাকটি যেন মানানসই হয়। নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে অফিসের নিয়মের বাইরে না যাওয়ায় ভালো। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা