ইমরুল কায়েস রাফসান
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪৫ পিএম
লেখা ও আঁকা, ইমরুল কায়েস রাফসান
অনেক দিন আগের কথা। নানুবাড়ি বেড়াতে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে মামা আর ছোট খালামণির সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ালাম। হঠাৎ আবিষ্কার করলাম নানুবাড়ির পাশেই একটা বাগানবাডি। তার পাশে একটা ছোট পুকুর। সেখানে অনেক মাছ। সঙ্গে বিশাল মাঠ। মাঠে অনেক গরু ও ছাগল। এর মধ্যে আমার চোখ জুড়িয়ে গেল সূর্যমুখীর মতো একটা ফুল দেখে। কী সুন্দর দৃশ্য।
আমি অনেক ছোটাছুটি করে দৌড়াতে লাগলাম, আর ক্ষেতের ভেতরে ঢুকে গেলাম। তখন সূর্য পশ্চিম দিকে অস্ত যাচ্ছিল। ফুলগুলো সূর্য়ের সঙ্গে নড়াচড়া করতে থাকে। সূর্য ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাপড়িগুলোও গুটিয়ে নেয়। দৃশ্যটা দেখে আমার কাছে খুব অবাক লাগছিল। সন্ধ্যা হয়ে গেছে, কিন্তু আমার বাসায় আসতে মন চাইছিল না। কী আর করা, মামা রাগ করল তাই চলে এলাম বাসায়। পরের দিন যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। রাতেই বাবা নানুবাড়িতে গেল। সকালবেলায় আমরা ঢাকায় চলে এলাম। ওই ফুলের কথা আমার খুব মনে হচ্ছিল। কিন্তু বাবাকে সে কথা বললাম। বাবা বলল, পরে আবার এসো।
আমার স্কুলের বন্ধুদের দেখানোর ইচ্ছে ছিল। ফুলটার ছবি তুলে নিয়ে আসব। কিন্তু সেটা আর পারিনি। অনেকদিন পরে নানুবাড়ি গিয়েছি, সেই ফুল পাইনি। তাই সেখান থেকে ফিরে এসে আমার হঠাৎ একদিন সেই দৃশ্যর কথা মনে পড়ে যায়, আর আমি কল্পনার মাধ্যমে আঁকার চেষ্টা করি। আমি প্রথমে একটি সূর্যমুখী ফুল আঁকি। পুরো একটা বাগান আঁকতে চেয়েছিলাম আর ভিন্নধারার কথা চিন্তা করছিলাম। আমার সেই প্রজাপতির কথাও মনে পড়ে যায়। সেগুলো দেখতে একদম পরির মতো লাগছিল। যা আমি কখনোই ভুলতে পারব না। আর কী যে-ই ভাবা সে-ই কাজ। এঁকে ফেললাম প্রজাপতি ও ফুলপরি।
সপ্তম শ্রেণি
এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজ, মিরপুর, ঢাকা