× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নারী-পুরুষ বৈষম্য: জন্মগত নাকি সমাজসৃষ্ট

তৌহিদুল হক

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:১০ পিএম

আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:১১ পিএম

নারী-পুরুষ বৈষম্য: জন্মগত নাকি  সমাজসৃষ্ট

বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় নারী-পুরুষ বৈষম্য বেশ প্রকট। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই বৈষম্য চোখে পড়ে। দৈহিক ভিন্নতার কারণে লিঙ্গগত এই বৈষম্যের সৃষ্টি কি আমাদের জন্মগত নাকি সমাজ ও সমাজের আইনই তৈরি করেছে এ ভেদাভেদ- হিসেব না মেলা এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার প্রয়াশ...


মানুষকে সমগ্র জীবন ধরে সবচেয়ে বড় সংগ্রামটি করতে হয় ‘মানুষ’ হয়ে ওঠার জন্য। জন্মগতভাবে পাওয়া দৈহিক অবয়বকে মানুষের যথার্থতার পরিচয়ে পরিচিতি করানো কঠিনতর এবং সাধনাসাপেক্ষ। যে বা যারা মানবিক দর্শনের ধারণাগুলো ধারণ করতে পারে এবং ত্যাগ করতে পারে ‘বাস্তবতা’ নামক চলমান প্রাসঙ্গিকতা, কেবলমাত্র অতিমানবের বৈশিষ্ট্য তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। দেশ কিংবা সমাজের চালচিত্রের কারণে মানুষের মানবিক সংগ্রামের ধরন ও পরিধিতে পার্থক্য দৃশ্যমান। সেটি থাকবে এবং এটি প্রাসঙ্গিকও বটে। কারণ একটি দেশের জন্ম-ইতিহাস, আদর্শিক পরিচয় এবং এর ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সমাজের গাঁথুনি জীবন দেখার দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে দেয়। মানুষের দেখা বা বিচার-বিশ্লেষণ চোখের কার্যক্ষমতার ওপর নির্ভর করে না। নির্ভর করে সমাজ যেভাবে দেখায়, মানুষ সেইভাবে দেখে। এবং ধারণার ধারাগুলো বিকশিত হয়, ছড়িয়ে পড়ে। এখান থেকেই সৃষ্টি হয় সম্পর্ক অথবা দূরত্ব।

সম্পর্কের গভীরতা ও তাৎপর্যতার প্রভাবে মানুষ হাঁটে পাশাপাশি, ভাগ করে নেয় সঞ্চিত সম্পদের অংশবিশেষ। এই সম্পর্ক মানুষকে ভাবায়, নিজের গণ্ডি অতিক্রম করে নিয়ে যায় সামগ্রিকতার চাদরে মোড়া সামাজিক পরিমণ্ডলে। যেখানে অনুশাসনের নিমিত্তে ব্যক্তিস্বার্থের পাপাচার বা চাহিদার তীব্রতা কমিয়ে পরস্পর সমবণ্টনের ব্যবস্থা প্রচলনের তাগিদ অনুভব করে। মানুষের মনোজগতে ধারণার প্রলেপ তৈরি করে। যা তৈরি করে এক যথাযোগ্য পরিবেশ। যে পরিবেশে সংস্কৃতির উপমা ছড়িয়ে যায় সমগ্র জীবনপ্রবাহে এবং মানুষ খুঁজে পায় বেঁচে থাকার নিগূঢ় অর্থ। যা কখনও রহস্যঘেরা বা কৌশলী কায়দায় চলতে পারে। তবে মূল বৈশিষ্ট্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না। জীবনব্যবস্থার এরূপ চর্চা যুগ যুগ ধরে প্রত্যাশিত ভঙ্গিতে মানুষকে ব্যবস্থার চলমান প্রবাহ পরিবর্তনে প্রেরণা দিয়েছে। কিন্তু জীবনের হিসেবে এ ধরনের সমাজ বা সম্পর্ককেন্দ্রিক চলাচল সৃষ্ট হলেও ধরে রাখা কঠিনসাধ্য। কারণ মানুষ প্রভাবিত হয় অথবা প্রভাব বিস্তার করে।

মানুষের প্রভাব বিস্তার করার মানসিকতা কিংবা আধিপত্য সৃষ্টির ব্যাকুলতা সমাজের মধ্যে বৈষম্যের অসুখ ছড়িয়ে দেয়। বিভাজনের এসব রেখা দৃশ্যমান এবং প্রতিরোধে সংস্কারের উদ্যোগও লক্ষণীয়। কিন্তু বৈষম্যের মূল গোড়াপত্তন যদি মনস্তাত্ত্বিক গড়নে আদৃত থাকে, তবে আধিপত্য বা শক্তির মহড়ায় বৈষম্যের মিছিলটি বেশি ভারী হয়। সেখানে বঞ্চিত বা অনগ্রসরমাণ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কূলকিনারা খুঁজে পায় না। কেবলই নিজের তলিয়ে যাওয়ার রূপ দেখতে পায়। এক সময় মননে চিত্রায়িত হয় ‘নিজের বিরুদ্ধে নিজের প্রতিচ্ছবি’।

বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় বৈষম্যের ওঠানামা মূলত লিঙ্গগত পরিচয়ের সূত্র ধরেই সূচনা। এই সূচনার হাত ধরেই বৈষম্যেও নানা ডালপালা বিস্তৃত হয়েছে। পরিবারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সুযোগসুবিধা ভোগের প্রশ্নে নারী-পুরুষের মধ্যকার ভিন্নতা দৃশ্যমান। পরিবারের আঙিনায় পরিবারের সদস্য ধারণার পরিবর্তে নারী ও পুরুষ পরিচয়ে সম্মান ও অবস্থানের নির্ধারণ অন্যান্য ক্ষেত্রে বৈষম্যের প্রারম্ভিক যাত্রাপালার আয়োজন মঞ্চস্থ হয়। পরিবারের সদস্যরা পরিবার থেকেই শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা লাভ করে যে, নারী ও পুরুষ শুধু দৈহিক অবয়ব থেকেই আলাদা নয় বরং নারীকে দাবিয়ে রাখা যায়। সমাজের প্রতিক্রিয়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীর বিপক্ষে বিধায় আধিপত্য বিস্তারকারী শ্রেণি হিসেবে পুরুষের স্বেচ্ছাচারী মনোভাব ও দখলে রাখার মানসিকতা প্রকাশ পায়। একজন মানুষের লিঙ্গগত পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্যের দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারিত হলে অন্যান্য বৈষ্যমের ধরনগুলো খুব সহজে সৃষ্টি হয় এবং স্বার্থান্বেষী মহল বা ব্যক্তি বৈষ্যমের পরিধি তুঙ্গে তুলে রাখে। কারণ ‘নারী পারবে না, পুরুষ পারবে’- এর মধ্য দিয়ে সমাজে পুরুষের লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

বাংলাদেশে নারী-পুরুষের মধ্যকার বৈষম্য ‘পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি’ ধারণার কারণে দীর্ঘসময় ধরে চলমান। দৃষ্টিভঙ্গির অনমনীয়তা, রুক্ষতা এবং লিঙ্গের ওপর নির্ভর করে মতামত ব্যক্ত করার প্রবণতা বৈষম্যের অন্যতম কারণ ও ক্ষেত্রগুলো বাড়ায়। নারীর প্রতি সহিংসতার সূত্র কিংবা বঞ্চনার সূচনা পরিবার থেকেই। বাংলাদেশে জীবনব্যবস্থা পরিবারকেন্দ্রিক এবং অর্থনৈতিক লড়াই-সংগ্রামে পুরুষরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কর্মসংস্থানের জোগানে বেশি ঘাম ঝরিয়েছে। ফলে পুরুষশ্রেণি পরিবার ও সমাজে নেতৃত্বের এক পর্যায়ে উপলব্ধি করেছে যে, তাদের ব্যতীত নারী বা অন্যরা চলতে পারবে না। সহিংসতার মূলমন্ত্রের হাতেখড়ি এখান থেকেই। ‘পুরুষ ছাড়া নারী অচল’- এরূপ অনগ্রসর দৃষ্টিভঙ্গি নারীর প্রতি সহিংসতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এবং নারীকে ঘরবন্দি করে রাখার কৌশল চর্চা হয়েছে। সময়ের প্রেক্ষাপটে এরূপ ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। নারীরা ঘরের চৌকাঠ মাড়িয়ে কর্মের ঠিকানায় সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে সহিংসতার প্রকাশ্য রূপ কমেছে। নারী কর্তৃক প্রতিবাদ কিংবা নারীর পক্ষে সমাজের অগ্রসরমাণ শ্রেণির সম্মিলিত আয়োজন নির্যাতনমনস্ক পুরুষের নির্যাতনী ভিত অনেক ক্ষেত্রে কাঁপিয়ে দিয়েছে। তবে বৈষম্যের সামগ্রিক চিত্রপট সংস্কার হয়নি। বৈষম্য আছে। তবে প্রকাশ্য বৈষম্যের পরিবর্তে অপ্রকাশ্য বা ঘরোয়া কায়দায় বৈষম্যগুলো এখন বেশি হচ্ছে। দৈহিক নির্যাতনের পরিবর্তে মানসিক, সামাজিক বা সম্পর্কগত নির্যাতন ও বৈষম্য বেশি হচ্ছে। বাংলাদেশে এখনও ২৬ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে। অতি দরিদ্র মানুষগুলোর মধ্যে নারীকে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হতে হয়। খাদ্য বঞ্চনা, প্রয়োজনীয় পোশাকের অভাব, মানসম্মত চিকিৎসা ও অন্যান্য সামাজিক মর্যাদার প্রশ্নে অতিদরিদ্র পরিবারের নারীদের সংগ্রামের চিত্র ভয়ংকর, কষ্টদায়ক ও নিষ্ঠুরতার কঠিনে মোড়া।

অনানুষ্ঠানিক খাতে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত নারীরা পুরুষের তুলনায় ২০ শতাংশ মজুরি কম পায়। এ চিত্র অল্পদিনের নয়, দীর্ঘসময় ধরে চলছে। বৈষম্য বিলোপের সবচেয়ে কার্যকর প্রক্রিয়া হলো- সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও গৃহীত সিদ্ধান্তের জন্য লড়াই করার মানসিকতা থাকা। বিভিন্ন গবেষণা ও কার্য-কারণিক বিশ্লেষণে প্রকাশিত যে, নির্ভরশীলতা বৈষম্যের হার বাড়িয়ে দেয়। নারী বা নির্যাতিত ব্যক্তির প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে যায় এবং প্রতিবাদের পরিবর্তে মেনে নেওয়ার সংস্কৃতি তৈরি হয়। 

চাপিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি এবং মেনে নেওয়ার প্রবণতা বঞ্চনার গল্পে চরিত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। একটি নির্যাতন থেকে অসংখ্য মনোপীড়ন সৃষ্টি হয়। সম্পর্ক বা পরিবারে সময়ের প্রভাবে নির্যাতনকারী বা চাপিয়ে দেওয়া ব্যক্তিও যে মানবিক ঔদার্যে ভালো থাকতে পারে না- তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। চারপাশের দেশ ও বৈশ্বিক অবস্থানে বাংলাদেশের নারী-পুরুষের সমতা এখনও সন্তোষজনক নয়। কখনও এগিয়ে থাকে, আবার কখনও পিছিয়ে যায়। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের তথ্যমতে, অধিকার ও অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অর্থাৎ নারী-পুরুষের সমতার প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থান ৭১তম। বিশ্বের ১৪৬টি দেশকে নিয়ে তৈরীকৃত প্রতিবেদনে এ চিত্র প্রকাশিত।

বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক সকল দেশ লিঙ্গগত সমতার বিষয়টি বিবেচনা করে বেশ কয়েকটি ইস্যুর ওপর নির্ভর করে। কর্ম সম্পৃক্ততা, শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ ও সৃষ্ট ক্ষমতায়ন- এগুলো নারী-পুরুষের সমতা বিধান করে। কিন্তু এসব বিষয়ে বাস্তব পরিস্থিতি বাংলাদেশে অস্থিতিশীল। বাংলাদেশে সময়ের সূচকে দীর্ঘসময় ধরে প্রচলিত পুরুষাধিক্য নারী-পুরুষ সমতার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। এই প্রতিবন্ধকতা সমাজজীবনে নারীর আত্মনির্ভরশীলতাকেও মেনে নিতে চায় না। অথবা নানা প্রশ্নে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের ব্যাকরণে ফেলে দেয়। এগিয়ে যাওয়া নারীরাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ভঙ্গুর মননে এগিয়ে যাওয়ার সূত্রগুলো অনেকের ক্ষেত্রে মরীচিকায় পরিণত হয়। কারণ সমতা বিধানের অন্যতম পূর্ব-পরিস্থিতি হলো- সহযোগিতা ও কণ্ঠস্বর সোচ্চার করা। এই সূচকের বাস্তব পরিস্থিতি বাংলাদেশে মোটেই প্রত্যাশিত নয়। বরং নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হচ্ছে এবং এভাবেই নারী-পুরুষের সমতার বিরুদ্ধে সমাজে একটি বিরুদ্ধ গোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে।

সর্বশেষ বৈশ্বিক সংকট হিসেবে করোনার সময়ও নারীরা ঘরে-বাইরে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশে করোনার উচ্চ সংক্রমণের সময়ে কর্মজীবী নারীদের এক-তৃতীয়াংশ বেকার হয়েছে। বেকার হয়ে পড়া নারীরা পরিবারে আপনজনের ওপর নির্ভর হওয়া এবং অর্থনৈতিক সংকটে পড়া পরিবারগুলোতে নানা ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশে দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোসহ অস্থিতিশীল আয়ের পরিবারগুলোতে নারীর প্রতি বঞ্চনার মনোভাব নতুন কিছু নয়। গবেষণায় বঞ্চনার পরিসংখ্যানিক চিত্র কখনও বাড়ে, কখনও কমে। তবে প্রত্যাশিত পরিবর্তন বা সহিংসতামুক্ত হয় না। কারণ সংকটের নেতিবাচক প্রভাব সমাজ কর্তৃক চিহ্নিত ‘দুর্বল শ্রেণি’ হিসেবে নারীকেই বেশি সহ্য করতে হয়। এবং বর্তমানেও তা বহমান।

প্রচলিত ধারণা মতে, একজন বিবাহিত নারীর সবচেয়ে আপনজন তার স্বামী। সন্তান জন্মের পর সন্তানই হয়ে ওঠে বাঁচার অবলম্বন। তবে কোনো কোনো নারী, স্বামী এবং সন্তান উভয় শ্রেণি দ্বারা নির্যাতিত হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৭২ শতাংশ নারী পরিবারে স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে নিরাপত্তাহীন জীবনযাপন করছে। থেমে নেই ঘরের বাইরের পুরুষরাও। বাস টার্মিনাল বা গণপরিবহন স্টেশনগুলোতে ৮৭ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়। কিন্তু প্রতিবাদ বা আইনি ব্যবস্থার আশ্রয় নেওয়া নারী ভুক্তভোগীর সংখ্যা নির্যাতনের চেয়ে অনেক কম। সমাজে নিজের অবস্থান কিংবা পরিবারের মর্যাদার কথা চিন্তা করে নারী ‘মেনে নেয়’ অথবা ‘মানিয়ে নেয়’। বাংলাদেশের মতো দেশে একজন নারীর সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার বড় অস্ত্র হলো দুটি। প্রথম হলো- প্রতিবাদী হওয়া। নিজের ওপর কোনো অন্যায়, অবিচার চাপিয়ে দিলে প্রতিবাদ করে আইনের দ্বারস্থ হওয়া। দ্বিতীয় হলো- নিজের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন। অর্থাৎ শিক্ষার্জন শেষে কর্মের সাথে জড়িত হওয়া। 

বৈষম্যের কাঠামো বা প্রকৃতি সমাজ তথা সমাজের সংখ্যাধিক্য মানুষের সৃষ্টি। বাংলাদেশে নারী-পুরুষের মধ্যকার বৈষম্যের গীত একদিনে তৈরি হয়নি, একদিনে নির্মূলও হবে না। প্রয়োজন সকল স্তরের মানুষের সক্রিয়তা এবং নারী বা পুরুষ না ভেবে মানুষ ভাবার মানসিকতা ধারণ করা।


লেখক : কবি ও শিক্ষক, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা