শরিফুল ইসলাম
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫৬ পিএম
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৩ ১৭:০৬ পিএম
প্রযুক্তির দৌড়ে ক্রমশ বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবন। স্মার্ট বাড়ি-গাড়ির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্মার্ট ফোন। এবার আরও একধাপ এগিয়ে তৈরি হলো ‘স্মার্ট হেলমেট’। বাইসাইকেল কিংবা মোটরসাইকেলের অত্যাবশ্যকীয় এই বস্তু বন্ধুর মতো আগলে রেখে চালককে সুরক্ষা দেয়। অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন রকম অ্যালার্জিতে আক্রান্ত। একটু ধুলোবালি বা ঠান্ডা বাতাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে হেলমেটের ব্যবহার ওই চালককে বেশ নিরাপত্তা দিতে পারে। তবে স্মার্ট হেলমেট ব্যাপারটা কিছুকাল আগেও ছিল কল্পনার অতীত। তবে ইদানীং দোকানে গিয়ে বাইকাররা যে হেলমেটগুলোর ব্যাপারে চূড়ান্ত আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তা হলো স্মার্ট হেলমেট।
তার আগে এতদিন পর্যন্ত বাইকপ্রেমীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল ভালো স্টাইলিশ হেলমেট। বিশেষ করে যারা স্পোর্টস বাইকার, তাদের নজর থাকে বাইকের মতোই স্টাইলের হেলমেট। তবে হেলমেটের আদিতে যে ইতিহাস রয়েছে, তাতে দেখা যায়—এর উৎপত্তি ১৯১৪ সালের শুরুর দিকে ব্রুকল্যান্ডস রেস ট্র্যাকে। চিকিৎসা বিভাগের একজন অফিসার ডা. এরিক গার্ডনার লক্ষ করেছিলেন যে প্রতি দুই সপ্তাহে তিনি একজন করে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত মোটরসাইকেলচালকের চিকিৎসা করছেন। পরে তিনি আঘাত প্রতিরোধে বেথনাল গ্রিনের মি. মসকে দিয়ে হেলমেট তৈরি করান, যেটি ভারী আঘাত সহ্য করায় যথেষ্ট শক্ত এবং মসৃণ, যাতে কোনো বস্তুর আঘাতে সেটি ভেঙে না গিয়ে বস্তুটিকে সরিয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ই-বাইক তাকিওন লিও
জাতিসংঘের এক গবেষণায় জানা যায়, যাত্রীবাহী গাড়ির চালকদের তুলনায় মোটরসাইকেল আরোহীদের সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার প্রবণতা ২৬ গুণ বেশি। এ অবস্থায় মাথায় হেলমেট থাকলে মোটরসাইকেল আরোহীদের প্রাণে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৪২ শতাংশ বেশি হতে পারে। আর আঘাত এড়ানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায় ৬৯ শতাংশ।
ফলে স্মার্ট যুগে এসে গবেষকরা ভাবছেন শতভাগ সুরক্ষা নিয়ে। সেই প্রবণতা অনুসরণ করে স্মার্ট মোটরসাইকেল হেলমেটের প্রচলন শুরু হয়েছে বেশ জোরালোভাবেই এবং চমৎকার যোগাযোগ ও বিনোদনের সরঞ্জামে পরিণত করেছে আমাদের হেলমেটগুলোকে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে বিভিন্ন হেলমেটের কোম্পানিগুলো আমাদের নিরাপদ রাখতে ধীরে ধীরে উন্নত প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। ফলে দেশে অল্পস্বল্প পাওয়া যাচ্ছে স্মার্ট হেলমেট।
এটি এমন একটি হেলমেট যার মধ্যে কিছু হার্ডওয়্যার ইনস্টল করা হয়ে থাকে, যা একজন রাইডারকে নিরাপদ এবং প্রযুক্তির বেশ ভালো ব্যবহার করার মাধ্যমে রাইডিংয়ের সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করতে সাহায্য করে। এতে ব্লুটুথের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের সঙ্গে সংযোগ করে কল করা থেকে শুরু করে মিউজিক কন্ট্রোল, অটোমেটিক ভাইজর, ভেন্ট, স্ট্র্যাপ এবং আরও অনেক কিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত করার ব্যবস্থা থাকে।