× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নারীর সুরক্ষায় আইন কতটা কার্যকর

দিলরুবা শরমিন

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৩ ১২:৩৪ পিএম

নারীর সুরক্ষায় আইন কতটা কার্যকর

একটি কেসস্টাডি

২০০৩ সালের ঘটনা। স্বামীর বিজনেস পার্টনার পরবর্তীতে শত্রুতে পরিনত হয়ে ছেলের সামনে মায়ের শ্লীলতাহানি করে। বহু কষ্টে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করতে সক্ষম হন ওই ভদ্রমহিলা। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে না। তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে অভিযুক্তরা বসে চা-নাশতা খেলেও পুলিশ আসামিদের খুঁজে পায় না। কারণ অভিযুক্তরা ইউএনডিপিতে কাজ করে, উপরন্ত বিএনপি সংশ্লিষ্ট। পুলিশ বহু চেষ্টা করলো আসামিদের খালাশ দিতে। একজনকে রেখে বাকি চার জনকে চার্জশিট থেকে বাদও দিলো। পরে মামলা কোর্টে গেলে বাদী পুলিশ রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজি দিলে কোর্ট নারাজি গ্রহণ করে সবাইকে জেলে প্রেরণ  করেন। এরপর শুরু হয় অন্য খেলা, আসামিপক্ষের আইনজীবীদের তারিখ নেয়ার খেলা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় অপরাধের সাজা সর্বনিম্ন ৩ বছর সর্বোচ্চ ১০ বছর  অতিরিক্ত অর্থদন্ড এবং এর বিচার কার্যের সময় সীমা ১৮০ দিন হবার পরেও এই মামলাটির বিচার কাজ এখনও শেষ হয় নি। সময়ের মাঝে বিচার শেষ না হলে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্টের কথা বলা আছে। কিন্তু যদি কোন মামলা যদি ২০০৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল অব্দি সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগেই স্থগিত হয়ে থাকে তাহলে কার কাছে অভিযোগ দেবেন ভুক্তভোগী? 


নারী দিবসকেন্দ্রিক ভাবনা

নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রতিবছর ঘুরেফিরে আসে নারী দিবস। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হয় সভা-সেমিনার। নারীর জন্য কী কী করা উচিত, সেই সব নিয়ে চলে চমৎকার সব বয়ান। নারীর অবস্থা ও অবস্থানের ইতিবাচক পরিবর্তন কতখানি হয়েছে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিপর্যায়ে, সেই সব নিয়ে হয় বাগবিতণ্ডা। মাঝে মাঝে বিতর্কও জমে ওঠেÑ কার কী করা উচিত ছিল সেটা নিয়ে। নারী দিবস কি বা কেন বা কীভাবে এই দিবসের আবির্ভাব, সেটা লেখা আমার উদ্দেশ্য নয়। বরং আমরা আলোচনা করি বাংলাদেশের মেয়েরা কেমন আছেন?


সূচকের তীর কোনদিকে

আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, এমনকি ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন সূচকেও উল্লেখ রয়েছে বাংলাদেশের নারীদের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রাষ্ট্র, প্রশাসন, রাজনীতি, ব্যবসাÑ এমনকি শ্রমের জায়গাতেও নারীদের উপস্থিতি সগৌরবে উল্লেখ করার মতোই। কিন্তু কয়েকটা ব্যক্তির পদ-পদবির উন্নয়ন বা উপস্থিতি দিয়ে বাংলাদেশের নারীদের সামগ্রিক অবস্থা বিচার করা কতটুকু যৌক্তিক, সেটা ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে। 

বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যুহার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। মেয়েদের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের মেয়েরা ঘরে-বাইরে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু উন্নয়ন কি কেবল কর্মক্ষেত্রের উপস্থিতি আর অর্থনৈতিক মাপকাঠিতেই বিচার্য? কিংবা মেয়েরা কি নিরাপদ কর্মক্ষেত্র পাচ্ছে? কেন পাচ্ছে না, সেটার কারণ অনুসন্ধান করে সমস্যাগুলো দূর করার চেষ্টা কি করছি? এর সরাসরি উত্তর, ‘না’। 

বাংলাদেশের মেয়েরা উপার্জন করছে, তবে ব্যয়ের ক্ষেত্রে তাদের অধিকার কতটুকু তা বলাই বাহুল্য। অধিকাংশ মেয়ে যারা সরাসরি অর্থ আয়ের সঙ্গে জড়িত, তারা নিজের আয় প্রয়োজন বা পছন্দমতো ব্যয় করতে পারে না। তাই তো পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন পাস করতে হয়েছে। যেখানে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ওপর নিজ নিজ বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়িসহ জীবিত নানা-নানি, দাদা-দাদিদের ওপর মেয়ে-ছেলে, জামাই-বউকে দায়িত্ব পালন করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কয়জন জানি বা মানি সেই আইন; না মানলে যে সাজার ব্যবস্থা আছে সেটাই-বা কতটা কার্যকর করা হচ্ছে? কেবল আইন পাস করাই যে শেষ কথা নয়, সেটার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই আইন। 

স্বাধীনতাপরবর্তী সময় থেকে বর্তমান অবধি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যে বা যারাই এসেছেন নারীর জন্য একের পর এক আইন পাস করেছেন, নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। নারীবান্ধব থানা-পুলিশ, আইন, আদালতের পরিবেশ, কর্মপরিবেশ, শিক্ষালয়, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নানা পর্যায়ে কমিটিসহ অনেক কিছুই করেছেন। জেন্ডার সমতা আনয়নে নানা পলিসি হয়েছে। কিন্তু এত কিছু করেও কাজের কাজ কতটুকু হয়েছে সেটা ভাবার সময় এসেছে।


নারীর জন্য যত আইন

নারীর জন্য আইন পাস করলেই নারীর উন্নয়ন ঘটে না। আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কি না, সেটা দেখা প্রয়োজন। নারীবান্ধব পুলিশ তৈরি করাই শেষ কথা নয়। সেই পুলিশ মানসিকভাবে কতটা নারী সহমর্মী, সেটাও দেখতে হবে। দেশের প্রতিটা জায়গায় নজর দিলে দেখব এসব উন্নয়নসূচক কেবল ‘অর্নামেন্টাল’, যা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।

বাংলাদেশের আইনে দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধির বাইরেও নারীর জন্য, শিশুর জন্য কিছু বিশেষ আইন করা হয়েছে। যেমনÑ

১। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) 

২। পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ নিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১০ 

৩। যৌতুক নিরোধ আইন ১৯৮০ 

৪। ফ্যামিলি কোর্ট অর্ফিনেন্স ১৯৮৫ 

৫। মুসলিম ফ্যামিলি কোর্ট অর্ডিন্যান্স ১৯৬১

৬। মুসলিম ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৯৭৪

৭। ডিজোলিউশন অব মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৮৭২ 

৮। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৮৭২

৯। হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন ২০১২

১০। ক্রিশ্চিয়ান ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৮৭২

১১। ম্যারেড : ওমেন প্রোপার্টি অ্যাক্ট ১৮৭৪ 

১২। চাইল্ড ম্যারেজ প্রোটেকশন অ্যাক্ট ১৯২৯

১৩। পিতামাতার ভরণপোষণ আইন ২০১৩

১৪। সাকসেশন অ্যাক্ট ১৮৭৪

এতগুলো আইন থাকার পরেও বাংলাদেশের নারীরা আসলেই কেমন আছে? বলবো- আমাদের মেয়েরা ভালো নেই। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশে মেয়েদের পক্ষে এতগুলো আইন থাকার পরেও কেন বলছি এখানকার মেয়েরা ভালো নেই। কারণ আইন-আদালত সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে না, করতে পারে না। সমাজের নানা অসঙ্গতির বিচার আইনে-আদালতে হয় না। সবাই আইনও ঠিকঠাক জানেন না। জানলেও সবার ইচ্ছা বা সঙ্গতি থাকে না আইনানুযায়ী আদালতে যাওয়ার বা সব সময় ন্যায়বিচার পাওয়ারও সম্ভাবনা নিশ্চিত করা যায় না। 


কাজীর গরু কেবল খাতায়

বাংলাদেশে ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণের পরে হত্যাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কঠোর আইন আছে । নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ৯, ৯ (১), ৯ (২), ৯ (৩), ৯ (৪), ৯ (৫) ধারাতে ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, ধর্ষণের পরে হত্যা, ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর সর্বোচ্চ সাজা ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। কি এমন ঘটনা ঘটল যে ২০২০ সালে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশবলে সেটাকে সংশোধন করে সাজা বৃদ্ধি করে মৃত্যুদণ্ড করা হলো? নিশ্চয়ই এর পিছনে যৌক্তিক কারণ আছে। নইলে একটি দেশের প্রধান এই আইনের একটি মাত্র ধারা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতেন না। 

একটু ফিরে দেখার চেষ্টা করি বাংলাদেশের মেয়েরা কেমন যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের অবস্থার ভেতর দিয়ে যায়।

২০১৮ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সাল অবধি পাঁচ বছরে নারী নির্যাতনের মোট মামলা হয়েছে ৯৯,৬৩৮টি। ২০১৮ সালে ১৬২৩৪, ২০১৯ সালে ২১৭৫২, ২০২০ সালে ২২৫০১, ২০২১ সালে ২২১২৪ এবং ২০২২ সালে ১৭০২৭টি। এসবই পুলিশ সদর দপ্তরের ২০২২ সালের অক্টোবর অবধি রিপোর্ট। ২০২২ সালের শেষে এসে দেখা গিয়েছে ৯,৭৬৪টি সরাসরি নারী নির্যাতনের ঘটনায় মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে ধর্ষণ ৪,৩৬০, ধর্ষণের পরে হত্যা ৪৫০, দলবদ্ধ ধর্ষণ ২৪০টি, যৌতুকের জন্য নির্যাতন ২৬৭৫, যৌতুক না পেয়ে হত্যা ১৫৫, অপহরণ ১৮৭০ এবং অন্যান্য ১৪টি।

উচ্চ আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত দেশের ৯৯টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন ৪৩ হাজার ১১৪টি মামলা রয়েছে। এসব আদালতে মোট বিচারাধীন মামলা ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৩১টি। অর্থাৎ বিচারাধীন ২৪ শতাংশের বেশি মামলার বিচার পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। ১২ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত জানান, উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতে জুন পর্যন্ত বিচারাধীন মামলা প্রায় ৪২ লাখ। পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করায় বছরের প্রথম ভাগের তুলনায় জুনে ৩২ শতাংশ মামলা কমেছে। তবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার অগ্রগতি তেমন নেই। 

দেশে ৯৯টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল যে যথেষ্ট নয় তার প্রমাণ ২০২২ সালে এই ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৩১টি। লিঙ্গবৈষম্য নারী নির্যাতন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের জেন্ডার অসমতাবিষয়ক গ্লোবার জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টে বলা হয়েছেÑ নির্যাতনের হিসাবে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪৮তম আর ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান এসে দাঁড়িয়েছে ৭১-এ।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এ সুস্পষ্টভাবে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির কথা বলা হয়ে থাকলেও সেটা মানা হয় না। ফলে বছরের পর বছর মামলাগুলো আটকে থাকছে। মামলাগুলো আদালতে দায়েরের পর প্রথম দফায় সময় চলে যায় পুলিশি তদন্তে, মেডিকেল রিপোর্টে। তারপর অপরপক্ষের দ্বারা ক্রমাগত সময় প্রার্থনায়। চার্জ গঠনের সঙ্গে সঙ্গে চার্জের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ চাওয়ার মাঝেই মামলাগুলো ঝুলে থাকে। সেই অর্থে ২% মামলার রায় মোটামুটিভাবে ঠিক সময়ে পাওয়া যায়। 

এই আইনের ক’টি ধারায় অন্যান্য আইনের তুলনায় সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করার কথা আছে। এই বিশেষ আইনের ১০ ধারাতেই ( শ্লীলতাহানি) ন্যূনতম সাজা তিন বছর এবং ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু বিচারপ্রার্থীরা সময়ের মাঝে না পায় বিচার, না নিশ্চিত করা যায় সর্বোচ্চ সাজা। তখন আইন থাকে আইনের বইয়ে আর অপরাধীরা ঘুরে বেড়ায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতাবলে। আর ভুক্তভোগীদের জীবন কাটে হয়রানি-পেরেশানির মাঝেই। 


যে গল্পের শেষ নেই

ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ অবধি এমন একটা সেল গঠনে ব্যর্থ হয়েছে, যেখানে নারী নির্যাতন মামলা, মামলার বর্তমান অবস্থা এবং মামলা নিষ্পত্তির সঠিক তথ্য-উপাত্ত জনগণ পেতে পারে। বরং ভুক্তভোগীদের আক্ষেপ করে বলতে শুনি, ‘থানা-পুলিশ আইন-আদালত সবই বড়লোকদের জন্য, কী হবে অভিযোগ করে? কার কাছে অভিযোগ করব? বিচার তো পাবই না, উল্টো উকিলের পিছনে পয়সা আর সময় যাবে।’ ভুক্তভোগীদের এই কথাকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস আমাদের কারও আছে কী? কেবল অবকাঠামোর উন্নয়নই যে উন্নয়ন নয়, এটা আমরা কবে বুঝব? কেবল নারী দিবস এলেই স্লোগানে ব্যানারে-ফেস্টুনে বাহারি পোশাক পরে গণমাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ভিডিও আপলোড করার মাঝ দিয়েই শেষ করব আমাদের রাষ্ট্রীয় ও নাগরিক দায়িত্ব?


লেখক : আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা