মেরিনা লাভলী
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪৩ পিএম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৭:১০ পিএম
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিক মজিবর রহমান মাস্টার গ্রাম : কুতুবপুর খিয়ারপাড়া উপজেলা : বদরগঞ্জ জেলা : রংপুর স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তীর-ধনুক, লাঠি-বল্লম, দা, লাঙল নিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাওয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেক্টর : ৬ সেক্টর কমান্ডার : উইং কমান্ডার (এয়ার ভাইস মার্সাল) এম কে বাশার, বীর উত্তম
৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে আমি স্বাধীনতা আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হই। বদরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি এলাহী সরকারকে আহ্বায়ক, ন্যাপের আব্দুল জব্বার ও আমাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে বদরগঞ্জ আঞ্চলিক সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। এরপর আমি বিভিন্ন গ্রামের যুবক-ছাত্রদের সংগঠিত করি। আমার দায়িত্ব ছিল বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর এলাকায়। এই দুই থানার যুবক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫ থেকে ৭ জন ছাত্রকে প্রশিক্ষণ দিই। ২৫ মার্চ ইয়াহিয়ার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আলোচনার পর ওই রাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গুলিবর্ষণ, ঘরবাড়ি ধ্বংস করাসহ ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করে।
২৬ মার্চ সকালে রংপুর সদরের এমপি সিদ্দিক হোসেন আমার কাছে আসেন। শ্যামপুর সুগার মিল গেটে শ্রমিক-জনতা নিয়ে মিটিংয়ে ২৮ মার্চ রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাওয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ইপিআরের ক্যাপ্টেন ছিলেন নওয়াজেস। তিনি আমাদের বলেছিলেন, এখন পাঞ্জাবি সৈন্য কম আছে, ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করলে বাঙালি সৈন্যরা অস্ত্র স্যারেন্ডার করবে। সেই আলোকে আমার ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয় পশ্চিম এলাকার। ছাত্রনেতা মুখতার এলাহী, রফিকুল ইসলাম গোলাপ ছাত্রদের নিয়ে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ২৮ তারিখে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করতে আসি। অ্যাডভোকেট গণি বলদীপুকুরের সাঁওতাল ও জনতাদের নিয়ে, তৈয়বুর রহমান শহরের লোকদের নিয়ে নিসবেতগঞ্জের ঘাঘট নদীর কাছে আসেন। তখন আমাদের কাছে ভারী কোনো অস্ত্র ছিল না। তীর-ধনুক, লাঠি-বল্লম, দা, লাঙ্গল নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করি। ক্যান্টনমেন্ট থেকে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। প্রথমে ভাবছিলাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে বাঙালি সৈন্যরা আমাদের স্বাগত জানাচ্ছে। খুশিতে স্লোগান দিয়ে এগিয়ে যাই। কাছে পৌঁছে বুঝতে পারি, ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্যাংকবাহিনী বের হয়ে আমাদের ওপর গুলিবর্ষণ করছে। এতে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহীদ হন। আমি সদর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি শেখ আমজাদসহ দুজন হাঁটু গেড়ে পানবাজারে রাত ১০টার দিকে একজনের গোয়ালঘরে পৌঁছাই। রাতে সেখানেই অবস্থান করি। পরে সকালে জানতে পারি, জিওসির হুকুমে রক্তগৌরবের কাছে শহীদদের পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে পুঁতে ফেলা হয়েছে। এরপর আমি সকালে শ্যামপুরে গিয়ে দেখি আন্দোলনে অংশ নেওয়া খড়িয়া নামে এক লোক মারা গেছেন এবং আমার ছাত্র আনোয়ারুল আহত হয়েছে।
সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাকিস্তানি সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিলে ক্যাপ্টেন আনোয়ার বদরগঞ্জে আমাদের কাছে আসেন। আমরা যমুনা নদীর তীরে স্থানীয় আনসার ও সৈয়দপুর থেকে আসা সেনাসদস্যদের নিয়ে বাংকার তৈরি করেছিলাম। সেখানে আহত সৈন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। ক্যাপ্টেন আনোয়ার ও আমার নেতৃত্বে পহেলা এপ্রিল থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বদরগঞ্জকে শত্রুমুক্ত রেখেছিলাম। ৮ এপ্রিল সকালে দেশের স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্যান্টনমেন্টে খবর দিলে পাকিস্তানি বাহিনী ভোরে আমাদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। আমরাও পাল্টা গুলি চালাই। এতে শহিদুল্লাহ নামে এক সুবেদার মারা গিয়েছিলেন। এ সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা অনেক দোকানপাট পুড়িয়ে দিয়েছিল। এতে ক্যাপ্টেন আনোয়ার আহত হন এবং পরে তিনি ফুলবাড়ীতে ক্যাম্প করেন। আমি সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে গ্রেনেড এনে শ্যামপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা ও গ্রেনেড বিস্ফোরণের প্রশিক্ষণ দিই। এরই মধ্যে ৭ মে লাহিড়ীর হাটে জুমার নামাজ পড়তে গেছে এমন ৩২ জন মানুষকে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। এতে আমি খুবই মর্মাহত হই।
এরপর ১৭ মে আমি ভারতে গিয়ে সিতাই বন্দরে মুক্তিযোদ্ধাদের রিসিপশনের কাজ শুরু করি। মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ আমাকে ডেকে পাঠালে আমি কলকাতায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করি। তিনি বলেন, ক্যান্টনমেন্টে এমএনএ অ্যাডভোকেট নুরুল হক, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান ও ডা. সোলায়মান মণ্ডল আটকা রয়েছে। ফলে সংগঠকের অনেক অভাব। তোমাকে সংগঠকের কাজ করতে হবে। তখন সুভাষপল্লীতে এক হাজারেরও বেশি ছেলে গিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে। কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মুখতার এলাহী প্রশিক্ষণ নিয়ে হাতিবান্ধার কাকিনা এলাকায় পাকিস্তানি সৈন্যদের গুলিতে শহীদ হন। সুভাষপল্লীর পর আমাকে সেন্ট্রাল ইয়ুথ ক্যাম্পে সহকারী রিক্রুটিং অফিসার, মোটিভেটর ও রিলেশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। আমি ভারতীয় আর্মিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতাম।
একটা স্মৃতি আজও আমাকে কাঁদায়। আমি কুচবিহারের একটি হাসপাতালে কাজ করছিলাম। একদিন যুদ্ধাহত এক মুক্তিযোদ্ধা আমাকে ইশারায় ডাকলেন। নাম কাজী মকবুল হোসেন। তার কাছে গেলাম। সে আমার হাতের ওপরে হাত রেখে বলল, কিছুক্ষণ পর আমি মারা যাব। আমি সুখে মারা যাব, যদি আপনি আমার ওয়াদা রাখেন। কী ওয়াদা জানতে চাইলে সে বলে, ওয়াদা করেন দেশ স্বাধীন না হলে বাড়িতে যাবেন না। মকবুলকে কথা দিয়েছিলাম, দেশ স্বাধীন না করে বাড়ি ফিরব না। এ কথা শোনার পরপরই মকবুল মারা গেল। আমি নিজেই তার গোসল, জানাজা পড়ানো, কবরে নামানো, দাফন ও দোয়া করেছি।৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে আমি স্বাধীনতা আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হই। বদরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি এলাহী সরকারকে আহ্বায়ক, ন্যাপের আব্দুল জব্বার ও আমাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে বদরগঞ্জ আঞ্চলিক সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। এরপর আমি বিভিন্ন গ্রামের যুবক-ছাত্রদের সংগঠিত করি। আমার দায়িত্ব ছিল বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর এলাকায়। এই দুই থানার যুবক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫ থেকে ৭ জন ছাত্রকে প্রশিক্ষণ দিই। ২৫ মার্চ ইয়াহিয়ার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আলোচনার পর ওই রাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গুলিবর্ষণ, ঘরবাড়ি ধ্বংস করাসহ ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করে।
২৬ মার্চ সকালে রংপুর সদরের এমপি সিদ্দিক হোসেন আমার কাছে আসেন। শ্যামপুর সুগার মিল গেটে শ্রমিক-জনতা নিয়ে মিটিংয়ে ২৮ মার্চ রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাওয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ইপিআরের ক্যাপ্টেন ছিলেন নওয়াজেস। তিনি আমাদের বলেছিলেন, এখন পাঞ্জাবি সৈন্য কম আছে, ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করলে বাঙালি সৈন্যরা অস্ত্র স্যারেন্ডার করবে। সেই আলোকে আমার ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয় পশ্চিম এলাকার। ছাত্রনেতা মুখতার এলাহী, রফিকুল ইসলাম গোলাপ ছাত্রদের নিয়ে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ২৮ তারিখে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করতে আসি। অ্যাডভোকেট গণি বলদীপুকুরের সাঁওতাল ও জনতাদের নিয়ে, তৈয়বুর রহমান শহরের লোকদের নিয়ে নিসবেতগঞ্জের ঘাঘট নদীর কাছে আসেন। তখন আমাদের কাছে ভারী কোনো অস্ত্র ছিল না। তীর-ধনুক, লাঠি-বল্লম, দা, লাঙ্গল নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করি। ক্যান্টনমেন্ট থেকে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। প্রথমে ভাবছিলাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে বাঙালি সৈন্যরা আমাদের স্বাগত জানাচ্ছে। খুশিতে স্লোগান দিয়ে এগিয়ে যাই। কাছে পৌঁছে বুঝতে পারি, ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্যাংকবাহিনী বের হয়ে আমাদের ওপর গুলিবর্ষণ করছে। এতে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহীদ হন। আমি সদর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি শেখ আমজাদসহ দুজন হাঁটু গেড়ে পানবাজারে রাত ১০টার দিকে একজনের গোয়ালঘরে পৌঁছাই। রাতে সেখানেই অবস্থান করি। পরে সকালে জানতে পারি, জিওসির হুকুমে রক্তগৌরবের কাছে শহীদদের পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে পুঁতে ফেলা হয়েছে। এরপর আমি সকালে শ্যামপুরে গিয়ে দেখি আন্দোলনে অংশ নেওয়া খড়িয়া নামে এক লোক মারা গেছেন এবং আমার ছাত্র আনোয়ারুল আহত হয়েছে।
সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাকিস্তানি সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিলে ক্যাপ্টেন আনোয়ার বদরগঞ্জে আমাদের কাছে আসেন। আমরা যমুনা নদীর তীরে স্থানীয় আনসার ও সৈয়দপুর থেকে আসা সেনাসদস্যদের নিয়ে বাংকার তৈরি করেছিলাম। সেখানে আহত সৈন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। ক্যাপ্টেন আনোয়ার ও আমার নেতৃত্বে পহেলা এপ্রিল থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বদরগঞ্জকে শত্রুমুক্ত রেখেছিলাম। ৮ এপ্রিল সকালে দেশের স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্যান্টনমেন্টে খবর দিলে পাকিস্তানি বাহিনী ভোরে আমাদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। আমরাও পাল্টা গুলি চালাই। এতে শহিদুল্লাহ নামে এক সুবেদার মারা গিয়েছিলেন। এ সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা অনেক দোকানপাট পুড়িয়ে দিয়েছিল। এতে ক্যাপ্টেন আনোয়ার আহত হন এবং পরে তিনি ফুলবাড়ীতে ক্যাম্প করেন। আমি সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে গ্রেনেড এনে শ্যামপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা ও গ্রেনেড বিস্ফোরণের প্রশিক্ষণ দিই। এরই মধ্যে ৭ মে লাহিড়ীর হাটে জুমার নামাজ পড়তে গেছে এমন ৩২ জন মানুষকে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। এতে আমি খুবই মর্মাহত হই।
এরপর ১৭ মে আমি ভারতে গিয়ে সিতাই বন্দরে মুক্তিযোদ্ধাদের রিসিপশনের কাজ শুরু করি। মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ আমাকে ডেকে পাঠালে আমি কলকাতায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করি। তিনি বলেন, ক্যান্টনমেন্টে এমএনএ অ্যাডভোকেট নুরুল হক, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান ও ডা. সোলায়মান মণ্ডল আটকা রয়েছে। ফলে সংগঠকের অনেক অভাব। তোমাকে সংগঠকের কাজ করতে হবে। তখন সুভাষপল্লীতে এক হাজারেরও বেশি ছেলে গিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে। কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মুখতার এলাহী প্রশিক্ষণ নিয়ে হাতিবান্ধার কাকিনা এলাকায় পাকিস্তানি সৈন্যদের গুলিতে শহীদ হন। সুভাষপল্লীর পর আমাকে সেন্ট্রাল ইয়ুথ ক্যাম্পে সহকারী রিক্রুটিং অফিসার, মোটিভেটর ও রিলেশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। আমি ভারতীয় আর্মিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতাম।
একটা স্মৃতি আজও আমাকে কাঁদায়। আমি কুচবিহারের একটি হাসপাতালে কাজ করছিলাম। একদিন যুদ্ধাহত এক মুক্তিযোদ্ধা আমাকে ইশারায় ডাকলেন। নাম কাজী মকবুল হোসেন। তার কাছে গেলাম। সে আমার হাতের ওপরে হাত রেখে বলল, কিছুক্ষণ পর আমি মারা যাব। আমি সুখে মারা যাব, যদি আপনি আমার ওয়াদা রাখেন। কী ওয়াদা জানতে চাইলে সে বলে, ওয়াদা করেন দেশ স্বাধীন না হলে বাড়িতে যাবেন না। মকবুলকে কথা দিয়েছিলাম, দেশ স্বাধীন না করে বাড়ি ফিরব না। এ কথা শোনার পরপরই মকবুল মারা গেল। আমি নিজেই তার গোসল, জানাজা পড়ানো, কবরে নামানো, দাফন ও দোয়া করেছি।
অনুলিখন : মেরিনা লাভলী, রংপুর