প্রকৃতির অনন্য উপাদান অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী। যুগ যুগ ধরে যা গুণের কারণে সমাদৃত। উৎপত্তি আজ থেকে প্রায় ৫৫০০ হাজার বছর আগে। সাকুলেন্ট প্রজাতির উদ্ভিদটির উৎপত্তিস্থল মিসরে ধরা হলেও বর্তমানে পৃথিবীর সর্বত্রই মেলে। ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন-এ, ই, সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন পুষ্টির উৎস এটি।
সুস্বাস্থ্যে অ্যালোভেরা
- অ্যালোভেরা জুসে আছে বেটা-ক্যারোটিন। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানো সম্ভব।
- এতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা শুষ্ক ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
- অ্যালোভেরা জুসে রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- অ্যালার্জির সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায় নিয়মিত ব্যবহারে।
- রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমায়, ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- পুড়ে যাওয়া, আঁচ লাগা ত্বকে লাগালে তাৎক্ষণিক উপশম ঘটে।
- ভিটামিন-সি থাকায় দাঁতের সমস্যায় খুবই কার্যকর।
- মহিলাদের একটি পরিচিত সমস্যা হলো ইউরিন ইনফেকশন। অ্যালোভেরা জুস মিছরিসহযোগে খেলে এ থেকে খুব সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
রূপচর্চায় অ্যালোভেরা
- এটি রোদ থেকে ত্বক আগলে রাখে। সানট্যান দূর করতেও সহায়তা করে।
- নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। মলিনতা দূর করে ত্বক রাখে সতেজ।
- ব্রণ ও ব্রণের দাগ নির্মূল করতে ঠান্ডা পানি কিংবা বরফের সঙ্গে ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর।
- মাথার ত্বকের খুশকি দূর করে এটি। এছাড়া চুলের গোড়া শক্ত করে ঝরে পড়া রোধ করে।
- ভিটামিন-ই ক্যাপসুলের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে চুলের গোড়ায় দিলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- সামান্য চিনিসহযোগে অ্যালোভেরা জুস ঠোঁটে ম্যাসাজ করলে মৃত কোষ দূর করে ঠোঁট করে কোমল ও গোলাপি।
- অ্যালোভেরার ব্যবহার ভঙ্গুর নখের সমস্যা থেকে বাঁচায়, নখের প্রাণ ফিরিয়ে আনে।
- যেকোনো ধরনের পোড়া বা ক্ষত দাগ দূর করতে এবং নতুন কোষ সৃষ্টিতে অ্যালোভেরার ভূমিকা অপরিসীম।
- শরীরের যেসব ভাঁজে কালো দাগ হয়, সেই স্থানে এর নির্যাস লাগালে ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসে।