× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কি কেন কিভাবে

স্মোক ডিটেক্টর যেভাবে এলো

তানিয়া আক্তার

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১২:০৯ পিএম

আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ২১:০৯ পিএম

স্মোক ডিটেক্টর যেভাবে এলো

বর্তমান সময়ের ব্যস্ত বাণিজ্যিক কিংবা আবাসিক ভবনে আগুন থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহৃত হয় স্মোক ডিটেক্টর নামের বিশেষ এক যন্ত্র। এই যন্ত্র আগুনের ধোঁয়ার খোঁজ পাওয়া মাত্রই স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্মের মাধ্যমে ভবনের মানুষদের সতর্ক করে থাকে। যার মাধ্যমে মানুষ আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়ে আগুন নির্বাপণে দ্রুতই কাজ শুরু করতে পারে।

অবাক লাগলেও সত্য, প্রয়োজনীয় এই প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছিল ভুল থেকেই। ১৯৩০ সাল নাগাদ সুইস পদার্থবিজ্ঞানি ওয়াল্টার ইয়েগার এক বিশেষ যন্ত্র উদ্ভাবনের চেষ্টা করছিলেন। যার কাজ হবে বিষাক্ত গ্যাস শনাক্ত করা। দিনের পর দিন চেষ্টার পরও যখন তার সেন্সর মেশিনটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারছিল না, তখন একদিন বিরক্ত হয়ে ল্যাবের মধ্যেই ধরান সিগারেট। সিগারেটের ধোঁয়া ওই সেন্সর পর্যন্ত যেতেই তা কাজ শুরু করে। ওয়াল্টার তার তৈরি মেশিনের এই নতুন কাজে বেশ চমকে ওঠেন। এ নিয়ে নতুন গবেষণায় মন দেন। আর এভাবেই তৈরি হয় আজকের স্মোক ডিটেক্টর।  

১৯৫০ সাল নাগাদ ওয়াল্টার ইয়েগার উদ্ভাবিত যন্ত্র বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা হয়। দারুণ কার্যকারিতার জন্য তা দ্রুতই জনপ্রিয়তা লাভ করে। কিন্তু তখন পর্যন্ত এর দাম, আকার ও স্থাপনের সমস্যার সমস্যার  কারণে তা সাধারণের নাগালের মধ্যে ছিল না। এই সমস্যার সমাধান করেন আমেরিকান প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্ভাবনী উদ্যোক্তা ডুয়ান. ডি পিয়ারসাল। তাকে এ কাজে সহায়তা করেন স্ট্যানলি বেনেট পিটারসন। ১৯৬৫ সালে ওয়াল্টার ইয়েগারের প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা সর্বপ্রথম ছোট আকারের ব্যাটারি চালিত স্মোক ডিটেকটর বাজারে আনেন। ডুয়ান. ডি পিয়ারসাল। ফলে,  ১৯৬৩ সালে ইউনাইটেড স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন স্মোক ডিটেকটর ব্যবহারে লাইসেন্সের প্রবর্তন করলেও ১৯৬৯ সালে আবার লাইসেন্স ছাড়াই যন্ত্রটি ব্যবহারের আদেশ দেয়। 

১৯৭০ সাল নাগাদ প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কারণে পণ্যটি সর্বসাধারণের কাছে বেশ সহজলভ্য হয়ে ওঠে। এবং ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ১২ লাখেরও বেশি স্মোক ডিটেক্টর বিক্রি হয়। 

বর্তমানে উন্নত বিশ্বের প্রতি ১০টি বাড়ির নয়টিতেই স্মোক ডিটেক্টর নিত্য ব্যবহার্য পণ্য হিসেবেই দেখা যায়। আমাদের দেশেও অধিকাংশ বাণিজ্যিক ভবনে স্মোক ডিটেক্টর ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়াও অনেক আবাসিক ভবনেও এর ব্যবহার দেখা যায়। 

বিষাক্ত গ্যাস শনাক্ত করতে না পারলেও ভুল থেকে উদ্ভাবিত আগুনের ধোঁয়া শনাক্তকরণের যন্ত্রটি অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি অর্ধেক পর্যন্ত কমাতে সক্ষম।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা