নুসরাত খন্দকার
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৪৭ পিএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:০৭ পিএম
মেহেদি আর্টিস্ট ও ছবি : সোহানা নূর দোলন; পেজ : মেহেদি লাভার’স
যেকোনো উৎসবে হাতজুড়ে মেহেদি না থাকলে আনন্দ ঠিক পূর্ণতা পায় না। সেই উৎসবের মধ্যে অন্যতম হলো ঈদ। তাই তো ঈদের আগের দিন অর্থাৎ চাঁদরাতে মেহেদি লাগাতে বসে পড়েন সবাই। গাছের পাতা বেটে হাতে মেহেদি লাগানোর চল এখন আর নেই। হাত রাঙাতে নানা ধরনের মেহেদি কোণই এখন ভরসা
আগের দিনে গাছের পাতা মিহি করে বেটে কাঠি দিয়ে হাতে করা হতো নকশা। যার জন্য ব্যয় হতো অনেকটা শ্রম। হালের আধুনিকতায় সেই চল এখন অতীত। বাজারে নানা ধরনের কোণ মেহেদি পাওয়া যায়। যা একদিকে কষ্ট লাঘব করেছে, অন্যদিকে কোন দিয়ে হাতে করা যায় নানারকমের নকশা। সাধারণত দুই ধরনের মেহেদি পাওয়া যায়। একটি হলো ইনস্ট্যান্ট মেহেদি বা গোল্ড মেহেদি। যা ব্যবহার করার ৫ থেকে ১০ মিনিট পরই রঙ আসে এবং প্রতি ধোয়াতে হাত থেকে রঙ কমতে থাকে। আরেকটি হলো প্রাকৃতিক বা অর্গানিক মেহেদি। বিয়েসহ যেকোনো উৎসবেই অর্গানিক মেহেদি ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভালো। কারণ, এই মেহেদি হাতে তৈরি। তাই এতে রাসায়নিকের ব্যবহার থাকে না। এর রঙ গাঢ় হয় এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়। সম্পূর্ণ অর্গানিক মেহেদি পাতার পাউডার থেকে তৈরি করা হয় এটি।
মেহেদির নকশা কেমন হবে
উৎসবভেদে মেহেদির নকশার ধরন আলাদা হয়। তবে এতে নেই কোনো ধরাবাধা নিয়ম। মেহেদি দেওয়া যেহেতু উৎসবে পরিপূর্ণতা আর আনন্দের জন্য; তাই ইচ্ছেমতো ডিজাইনেই হাত রাঙাতে পারেন। তবে সবাই চায় আকর্ষণীয় নকশায় হাত রাঙাতে। স্মার্ট ও একদম সিম্পল ডিজাইনের নকশা এখন বেশ ট্রেন্ডি। এই ঈদে সিম্পল ডিজাইন আবার ঘন ও মোটা কারুকাজের মেহেদির নকশা দেখা যাবে। সঙ্গে অ্যারাবিক, মন্ডালা প্যাটার্ন বা ফুলের নকশা তো আছেই। পাতার নকশার সঙ্গে ক্যালিগ্রাফি, চরকা, কলকা, ময়ূর, জ্যামিতিক মোটিফসহ নানা নামের নকশা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পেশাদার মেহেদি নকশাকাররা। তরুণীদের আগ্রহ কবজির নিচ থেকে বৃত্তাকারে প্যাঁচানো নকশা। অনেকের আবার যেকোনো একটি আঙুল ধরে কবজি পর্যন্ত নকশা পছন্দ।
মেহেদি হাতে দেওয়ার আগে
মেহেদি দেওয়ার পরে
রঙ গাঢ় করতে