কি কেন কিভাবে
টিএইচ মাহির
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩ ১৩:১২ পিএম
রুবিকস কিউব কিংবা ম্যাজিক কিউব এক ধরনের চার কোনা ঘনকাকৃতির ধাঁধা; যার ছয়টি তল রয়েছে এবং প্রতি তলে ভিন্ন ভিন্ন রঙ থাকে। সাধারণত রুবিকস কিউব ৩×৩×৩ হয়। আবার ২×২×২, ৫×৫×৫সহ আরও অনেক রকমের হয়ে থাকে। মেলানো অবস্থায় প্রতিটি তলে একই রঙ থাকে। ৩×৩×৩ রুবিকস কিউবের তিনটি লেয়ার। প্রতিটি তলকে ঘুরিয়ে এলোমেলো করা যায়। পাজলটির লক্ষ্য এলোমেলো অবস্থা থেকে প্রতি তলে একই রঙে সাজিয়ে বা মিলিয়ে দেওয়া।
১৯৭৪ সালে হাঙ্গেরির এর্নো রুবিক নামে এক ব্যক্তি এ কিউব প্রথম তৈরি করেন। প্রথমে তিনি এর নাম দেন ম্যাজিক কিউব। পরে এর বাণিজ্যিক প্রস্তুতকারী কোম্পানি নাম দেয় রুবিকস কিউব। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
রুবিকস কিউব পরে আরও অনেক সংস্করণে বাজারে আসে। পিরামিক্স, স্কিউব, ক্লক, মেগামিনিক্স কিউব ইত্যাদি নামে। রুবিকস কিউব দ্রুত মেলানোর প্রতিযোগিতা হয়। এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন সময়ে ৩×৩×৩ রুবিকস কিউব মেলানোর রেকর্ডটি চীনের ইউশেং ডুয়ের। তিনি সময় নিয়েছিলেন ৩.৪৭ সেকেন্ড। বাংলাদেশের রেকর্ডটি তওসিউ আমিন সাহিলের দখলে। তিনি পুরো কিউব সমাধানে নিয়েছেন ৬.১১ সেকেন্ড।
রুবিকস কিউব সমাধানের বেশ কিছু সূত্র আছে। সবচেয়ে সহজ সমাধান ধরা হয় লেয়ার বাই লেয়ার (LBL) মেথডকে। এ প্রক্রিয়ায় রুবিকস কিউবের প্রতি লেয়ার বাই লেয়ার মিলিয়ে সমাধান করা হয়। স্পিড কিউবাররা ব্যবহার করেন CFOP অথবা ROUX মেথড। এসব মেথডের এলগরিদম দিয়ে দ্রুত কিউব মেলানো যায়। তবে নতুনদের জন্য এ মেথড বুঝে ওঠা কঠিন। তাই প্রথমে LBL শেখেন অধিকাংশই। এ ছাড়া আরও অনেক মেথড আছে রুবিকস মেলানোর। এক হাতে রুবিকস কিউব মেলানোর জন্য আছে ZZ মেথড। আবার চোখ বন্ধ করে মেলানোর জন্য আছে BLD মেথড। অন্যান্য কিউব মেলানোরও নিজস্ব এলগরিদম এবং ভিন্ন ভিন্ন মেথড আছে। অনেকের কাছে রুবিকস কিউব মেলানো কঠিন মনে হলেও আদতে একবার মেলানো শিখে গেলে রুবিকস কিউব সমাধান খুবই সহজ।
রুবিকস কিউবের অ্যাসোসিয়েশনও রয়েছে। রুবিকস কিউবের সংগঠন World cube association বা (wca)-এর অধীনে ১৭টি ভিন্ন ক্ষেত্রে কিউবিং প্রতিযোগিতা হয়। প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে রুবিকস কিউবের প্রতিযোগিতা হয়। চোখ বন্ধ রেখে মেলানো, এক হাতে মেলানোসহ সবচেয়ে কম মুভে মেলানোর প্রতিযোগিতাও হয়। বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময় রুবিকস কিউবের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হয়।