ভোভার টেবিলে ছিল একটা পেনসিল।
ভোভা এক রাতে ঘুমাচ্ছিল যখন, তখন সেই টেবিলে উঠে এলো এক ইঁদুর। ইঁদুরটা টেবিলে দেখল একটা পেনসিল। পেনসিলটা দেখেই সেটা হাতে নিয়ে সে ফিরতে চাইল তার গর্তে।
-আমাকে ছেড়ে দাও!
-অনুনয় করল পেনসিল।
-আমাকে নিয়ে কী করবে তুমি? আমি তো কাঠের তৈরি, আমাকে তো খেতেও পারবে না।
-আমি তোমাকে কামড় দিতে পারি!
-বলল ইঁদুর।
- আমার দাঁতগুলো কিড়মিড় করছে। সব সময়ই আমার কিছু না কিছু কামড়াতে ইচ্ছে করে। বুঝেছো।
- এ কথা বলেই ইঁদুরটা কামড়ে দিল পেনসিলকে। ব্যথা পেল পেনসিল।
-দাঁড়াও দাঁড়াও। তাহলে আমার শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে দাও। আমাকে আগে একটা ছবি আঁকতে দাও। এরপর তুমি আমাকে নিয়ে যা খুশি কোরো।
- ঠিক আছে- বলল ইঁদুর।
- আঁকো। এরপর কিন্তু তোমাকে কামড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলব।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে পেনসিল একটা গোল্লা আঁকল।
- এটা কী? পনির নাকি? জিজ্ঞেস করল ইঁদুর।
- পনির হতে পারে।
-এই কথা বলে আরও তিনটি ছোট ছোট গোল্লা আঁকল পেনসিল।
- হ্যাঁ হ্যাঁ, এটা অবশ্যই পনির। আর এগুলো পনিরের মধ্যে থাকা ছোট ছোট গর্ত!
- হ্যাঁ হাঁ, হতেই পারে এগুলো পনিরের
মধ্যে ছোট ছোট গর্ত।
-আর এটা তাহলে আপেল!
-বলল ইঁদুর।
- হ্যাঁ হ্যাঁ, এটা আপেল হতেই পারে।
-বলল পেনসিল এবং তারপর কয়েকটি লম্বা গোল্লা আঁকল।
-এগুলো তো সসেজ।
-জিবটা চেটে নিয়ে চিৎকার করে বলল ইঁদুর।
- তাড়াতাড়ি আঁকো, আমার দাঁতগুলো কিড়মিড় করছে, চুলকাচ্ছে।
-এক মিনিট অপেক্ষা করো।
-বলল পেনসিল।
আর যখন এ কোণগুলো আঁকতে শুরু করল, তখন চিৎকার করে বলল ইঁদুর, ‘আমার তো মনে হচ্ছে একটা বি... আর এঁকো না।’
আর এরই মধ্যে পেনসিলটা এঁকে ফেলল
বিড়ালের গোঁফ!
-আরে! এটা তো সত্যিকারের বিড়াল।
- ভয়ে ভয়ে বলল ইঁদুর। তারপর ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে ঢুকে গেল নিজের গর্তে।
এর পর থেকে ইঁদুরটা আর গর্ত থেকে বের হয়ে এই টেবিলে আসেনি।
পেনসিলটা এখনও ভোভার টেবিলে দিব্যি আছে। তবে সে দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে।
এবার তুমিও তোমার খাতায় তোমার পেনসিল দিয়ে এমন একটা বিড়াল আঁকো, যা দেখে ইঁদুররা ভয় পায়!