জাতীয় ফল কাঁঠাল প্রচুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। হলুদ দেখতে এ ফল খেতেও সুস্বাদু। জেনে নেওয়া যাক কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে। তথ্য দিয়েছেন জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটালের ডায়েট অ্যান্ড নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট ও পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিকা
প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ২৪ গ্রাম, আমিষ ১.৮ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ভিটামিন এ ২১৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৬.৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ৩৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০৩ মিলিগ্রাম, বায়াটারি ফাইবার ২ গ্রাম ও ক্যালরি পাওয়া যায় ৯৪ মিলিগ্রাম। এ ছাড়া আছে খনিজ পদার্থ ১.১ গ্রাম, শক্তি কিলোক্যালরি ৪৮ গ্রাম, শর্করা ৯.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি ১.১১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ ১৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ২১ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৪৭০০ মাইক্রোগ্রাম, আঁশ ০.২ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম ও জলীয় অংশ ৮৮ গ্রাম।
- কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ থাকায় চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
- কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ কম। তাই এ ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কম।
- এতে ভিটামিন সি থাকায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাড়িকে করে শক্তিশালী।
- কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- কাঁঠালে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়ন্টেস থাকে। এটি দুর্লভ খাদ্য উপাদান, যা সহজেই আলসার, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ ও বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।
- দীর্ঘদিন ধরে বদহজমজনিত সমস্যায় ভুগছেন যারা, নিয়মিত কাঁঠাল খেলে বদহজমের সমস্যা দূর হবে, সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যও হ্রাস পাবে।
- কাঁঠালে আছে ম্যাঙ্গানিজ, যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- কাঁঠালে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রি- র্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া সর্দি-কাশি রোগের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে।
- কাঁঠালে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম হাড়ের জন্য উপকারী। সঙ্গে রক্তসঞ্চালনের প্রক্রিয়ায়ও ভূমিকা রাখে।
- কাঁঠালে থাকা ভিটামিন বি৬ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।
- কাঁঠালে থাকা খনিজ উপাদান, আয়রন রক্তস্বল্পতা দূর করে।
- ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কাঁঠাল খেতে পারেন সকালে। এ সময় নাশতায় কাঁঠাল খেলে অন্য শর্করা-জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।